বিষয়বস্তুতে চলুন

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি ব্যবস্থা (বাংলাদেশ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কৃষি গুচ্ছ ভর্তি ব্যবস্থা
ধরনস্নাতক ভর্তি পরীক্ষা
নম্বর / গ্রেডের সীমা১০০
স্কোর / গ্রেডের স্থায়িত্ব১ বছর
বাধানিষেধসর্বোচ্চ ২ বার
দেশ / অঞ্চলবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা ও ইংরেজি
পরীক্ষার্থীদের বার্ষিক সংখ্যা৭৫,০০০+ (২০২৩)
ফি১,২০০ টাকা
স্কোর / গ্রেড ব্যবহারকারীগুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ
ওয়েবসাইটacas.edu.bd

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশে নয়টি সরকারি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানের জন্য শিক্ষার্থী ভর্তির যোগ্যতা যাচাই করা হয়। শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে। সর্বশেষ ২০২৫ সালে ৩৮৬৩টি আসনে জন্য ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।[] ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রায় ৭৫ হাজার ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছিল।[]

২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশে ১১টি কেন্দ্রে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে সর্বমোট আসন রয়েছে ৩ হাজার ৭১৮টি। আবেদন করেছিল ৭৫ হাজার ১৭ জন।[] ৫১ হাজার ৮৩৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল । ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ছিল ৬৯.১০ শতাংশ।[]

বিশ্ববিদ্যালয় ও আসন

[সম্পাদনা]
বিশ্ববিদ্যালয় আসন জেলা স্থাপিত টীকা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১১১৬ ময়মনসিংহ ১৯৬১
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৪২৩ পটুয়াখালী ১৯৭২
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ২৭৫ চট্টগ্রাম ১৯৯৬
গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৪৩৫ গাজীপুর ১৯৯৮
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৭০৫ ঢাকা ২০০১
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৫৮০ সিলেট ২০০৬
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১৫০ খুলনা ২০১৯
হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৯৯ হবিগঞ্জ ২০২০
কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৮০ কুড়িগ্রাম ২০২১

আবেদনের যোগ্যতা

[সম্পাদনা]

বিগত পাঁচ বছরে এসএসসি/সমমান এবং দুই বছরে এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় যারা বিজ্ঞান বিভাগ হতে জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয়সহ উত্তীর্ণ হয়েছে, কেবলমাত্র তারাই আবেদন করতে পারে। আবেদনকারীর এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উভয় ক্ষেত্রে প্রতিটিতে চতুর্থ বিষয় ব্যতীত ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ এবং সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ ৮.৫০ থাকতে হয়। জিসিই এবং এ লেভেল পাসকৃত প্রার্থীর ক্ষেত্রে লেভেল পরীক্ষায় অন্তত ৫টি বিষয়ে এবং এ লেভেল পরীক্ষায় বিজ্ঞানের অন্তত ২টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। উভয় পরীক্ষায় প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ এবং সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ ৮.৫০ থাকতে হবে। এক্ষেত্রে এ ও বি গ্রেডের জন্য যথাক্রমে ৫ ও ৪ জিপিএ গণনা করা হবে।

পরিক্ষার বিষয় ও নম্বর

[সম্পাদনা]

এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা হবে। যা সম্প্রতি সময়ের এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী (ইংরেজি ১০, প্রাণিবিজ্ঞান ১৫, উদ্ভিদবিজ্ঞান ১৫, পদার্থবিজ্ঞান ২০, রসায়ন ২০ এবং গণিত ২০ নম্বর) প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১.০০ (এক) নম্বর প্রদান করা হয় এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যায়। মোট ১৫০ নম্বরের ভিত্তিতে ফলাফল প্রস্তুত করা হয়। ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের সাথে এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের (চতুর্থ বিষয় ব্যতীত) ভিত্তিতে ২৫ এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের (চতুর্থ বিষয় ব্যতীত) ভিত্তিতে ২৫ নম্বর যোগ করে ফলাফল প্রস্তুত করে মেধা ও অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করা হয়।

আর দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "কৃষি গুচ্ছ ভর্তি ব্যবস্থা"acas.edu.bd। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০২৫
  2. "কৃষি গুচ্ছে যত আবেদন পড়ল"thedailycampus.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০২৪
  3. "কৃষির ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ"thedailycampus.com। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  4. "কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ"Barta24 (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০২৪

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]