বিষয়বস্তুতে চলুন

খন্দকার মোশাররফ হোসেন (ফরিদপুরের রাজনীতিবিদ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
খন্দকার মোশাররফ হোসেন
মোশাররফ হোসেন, ২০১১
জন্ম (1942-09-25) ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪২ (বয়স ৮৩)
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্বব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশ
পেশারাজনীতিবিদ
পরিচিতির কারণপ্রাক্তন মন্ত্রী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ
আত্মীয়সায়মা ওয়াজেদ পুতুল (ছেলের বউ)

খন্দকার মোশাররফ হোসেন (জন্ম ১৯৪২) বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ। তিনি ২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারী অব্দি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন। [] তিনি ৩০শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেফরিদপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।[]

জন্ম ও শিক্ষা জীবন

[সম্পাদনা]

খন্দকার মোশাররফ হোসেনের জন্ম ১৯৪২ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির ফরিদপুর জেলায় (বর্তমান বাংলাদেশ)। তিনি ১৯৬৩ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ১৯৭৪ সালে যুক্তরাজ্যের স্ট্রেথক্লেইড ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭১ সালর মুক্তিযুদ্ধের সময় তার পিতা খন্দকার নুরুল ইসলাম ওরফে নুরু মিয়া ফরিদপুর শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।[]

বিতর্ক

[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় খন্দকার মোশাররফ হোসেন পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিলেন বলে জানা যায়। []

[]

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

খন্দকার মোশাররফ হোসেন ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে যোগদান করেন। তিনি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রধান কারিগরি পরামর্শক হিসেবে সিয়েরা লিওনে (১৯৮০-৮৯) এবং উগান্ডায় (১৯৮৯-৯০) কর্মরত ছিলেন। তিনি যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি প্রবাসীদের অধিকার সংরক্ষণের লক্ষ্যে মহারাণী এলিজাবেথের সঙ্গে দুটি ফলপ্রসূ সভায় নেতৃস্থানীয় অংশ গ্রহণকারী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ চেম্বার অফ ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সাবেক সভাপতি ছিলেন এবং তিনি ফরিদপুর বিভাগ ও পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন কমিটির বর্তমান চেয়ারম্যান। খন্দকার মোশাররফ হোসেন স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোস্থ বাংলাদেশ সমিতিরও সভাপতি এবং উত্তরা ক্লাবেরও সভাপতি ছিলেন।

রাজনৈতিক জীবন

[সম্পাদনা]

২০০৯ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।[] ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ১০ম সংসদ নির্বাচনে খন্দকার মোশাররফ হোসেন ফরিদপুর-৩ আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।[] এর আগেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ৯ জুলাই মোশাররফ হোসেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পান। তিনি নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে ২০১৮ সালের ১১ ডিসেম্বর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী। "খন্দকার মোশাররফ হোসেন"www.lgd.gov.bd। ২৪ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০১৭
  2. "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (পিডিএফ)ecs.gov.bdবাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯
  3. bdnews24.com। "রাজাকার হলেও বেয়াই তো আমার!"রাজাকার হলেও বেয়াই তো আমার!। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৫{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: সাংখ্যিক নাম: লেখকগণের তালিকা (লিঙ্ক)
  4. "আমার বেয়াই রাজাকার নয়–প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা"thebarta.com। ১৫ মে ২০১৬।
  5. "রাজাকার হলেও বেয়াই তো আমার!"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। ১ ডিসেম্বর ২০১১।
  6. "৯ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ২৭ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১৯
  7. "১০ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ২৭ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০২৩