বিষয়বস্তুতে চলুন

নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নব্বই এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন বা নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান
ঢাকা অবরোধের গণসমাবেশ, ১০ নভেম্বর ১৯৮৭
তারিখ১০ অক্টোবর – ৪ ডিসেম্বর ১৯৯০
অবস্থান
কারণস্বৈরাচারী শাসন
ফলাফলগণতন্ত্রবাদীদের বিজয়
পক্ষ

গণতন্ত্রবাদী

নেতৃত্ব দানকারী

নব্বই এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন বা নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান সূচনা হয় ১৯৮২ সালের ২৪শে মার্চ যখন তৎকালীন সেনাপ্রধান লেঃ জেঃ হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অবৈধভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেন । সে সময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিএনপি মনোনীত ও জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তার। সেনাপ্রধান লেঃ জেঃ হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বিচারপতি সাত্তারকে হটিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেই সামরিক আইন জারি করেন । সেই সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ করে ছাত্ররা । পরবর্তীতে গণঅভ্যুত্থানে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পতন ঘটে স্বৈরাচার এরশাদের।

১৯৮৩ ও ১৯৮৪ সালে বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গড়ে উঠা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের মিছিলে সেনাবাহিনীর হামলায় জাফর, জয়নাল, কাঞ্চন, দীপালী সাহা সহ অনেক ছাত্র/ছাত্রী নিহত হয় ।১৯৮৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাউফুন বসুনীয়া সরকার সমর্থিতদের গুলিতে নিহত হন।১৯৮৭ সালে বুকে ও পিঠে স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক লেখা যুবক নূর হোসেন শহীদ হন। তখন থেকে জেনারেল এরশাদের বিরুদ্ধে একটি লাগাতার ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। জেনারেল এরশাদের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটে ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর। ১৯৯০ সালের ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ডা. শামসুল আলম খান মিলন শহীদ হন, ১০ই অক্টোবর শহীদ জেহাদ নামে একজন ছাত্র পুলিশ কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হলে সেই মৃত জেহাদের লাশকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে তৎকালীন ক্রিয়াশীল সকল ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত হয় । ২৪টি ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে গড়ে উঠে "সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য" । উল্লেখ্য এই সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য গড়ে উঠার আগে বৃহৎ দুই ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আলাদাভাবে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিল । সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য গঠনের মাধ্যমে ছাত্র সংগঠনের সকল শক্তি একই জায়গায় মিলিত হয়েছিল । এছারাও আরও কিছু শক্তিশালী বামধারার ছাত্র সংগঠন যথেষ্ট পরিমাণে সাংগঠনিক শক্তির অধিকারী ছিল এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, জাতীয় ছাত্রদল, জাসদ সমর্থিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ , সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী ইত্যাদি । এছাড়া আওয়ামীলীগ এর নেতৃত্বে ৮ দলীয় জোট, বিএনপির নেতৃত্বে ৭ দলীয় জোট এবং বামপন্থী ৫ দলীয় জোটের তিন জোটের রূপরেখা আন্দোলনে অনন্য মাত্রা যোগ করে। আন্দোলন দমন করতে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের প্রধান নেতৃত্ব খালেদা জিয়াশেখ হাসিনা-কে একাধিকবার গ্রেফতার বা গৃহবন্দী বা অন্তরীণ করেও সব কয়টি রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠনের মিলিত শক্তির আন্দোলনের কাছে সেনাবাহিনী সমর্থিত জেনারেল এরশাদ টিকতে পারে নাই । সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য ও রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলিত আন্দোলনের সাথে দেশের জনগণ সম্পৃক্ত হলে তা গণ আন্দোলন থেকে গণ অভ্যুত্থানে রুপ নেয় । সেই গণ অভ্যুত্থানে জেনারেল এরশাদ ৪ঠা ডিসেম্বর পদত্যাগের ঘোষণা দেন এবং ৬ই ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন । দীর্ঘ ৯ বৎসর পরিচালিত আন্দোলন ১৯৯০ এ এসে গণ আন্দোলনের রুপ নেয় । সেই গণ আন্দোলনে এরশাদ পদত্যাগ করেছিল । ইতিহাসে তা ৯০'র আন্দোলন হিসেবে পরিচিত । ১৯৯০ এর আন্দোলনের সফল সমাপ্তি ঘটেছিল মূলত ছাত্রনেতাদের দৃঢ়তায় । তৎকালীন ছাত্র নেতারা নিজ নিজ রাজনৈতিক পিতৃ সংগঠনের নির্দেশ উপেক্ষা করে , সকল আপোষকামী প্রস্তাবের বিপক্ষে দৃঢ় থাকায় ৯০'র আন্দোলনের সফল সমাপ্তি ঘটেছিল ।

আন্দোলনে কবি ও কবিতা

অন্যদিকে এরশাদের রাজনৈতিক স্বৈরতন্ত্রের বিরোদ্ধে ও মানবিক অধিকারের প্রতিষ্ঠার দাবিতেও সোচ্চার ছিলেন শামসুর রাহমান, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, মোহাম্মদ রফিক, রফিক আজাদ, রুদ্র মোহাম্মদ শহিদুল্লাহদের মত কবিরা।

"খোলা কবিতা" নামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী সাহিত্যের শিক্ষক কবি মোহাম্মদ রফিক একটি নিষিদ্ধ কবিতা লিখেন। নিষিদ্ধ কবিতাটির কয়েকটি পঙ্‌ক্তি এরকম: "সব শালা কবি হবে, পিঁপড়ে গোঁ ধরেছে উড়বেই, দাঁতাল শুয়োর এসে রাজাসনে বসবেই।"

পুরো কবিতাটি ছিল অনেক দীর্ঘ, প্রায় ১৬ পৃষ্ঠা। এটি গোপনে ছাপানো হয় এক ছাপাখানায়। নিউজপ্রিন্টে এক ফর্মায় ছাপানো সেই কবিতা গোপনে বিলি করেন মোহাম্মদ রফিকের ছাত্র-ছাত্রীরা। হাতে হাতে সেই কবিতা ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে।

তরুণ কবিরাও কলম ধরেন। সোচ্চার হন স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে তরুণ কবি মু. নজরুল ইসলাম তামিজীর ‘মুক্তিপণ’ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৯৮৮ সালে। এ কাব্যগ্রন্থ ১৯৮০’র দশকের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে একজন কিশোর কবির সাহসী ভূমিকার নিদর্শন। মু. নজরুল ইসলাম তামিজী কিশোর-তরুণদের বীরত্ব, প্রতিবাদী চেতনা ও মানবিক বোধকে কবিতার ভাষায় তুলে ধরেন। তাঁর লেখায় আন্দোলনের বাস্তব চিত্র—কারফিউ, গুলি, নিখোঁজ, শহীদদের রক্ত—জীবন্ত হয়ে উঠে। ছোট ছড়া-কবিতায় তিনি নির্মমতার বিপরীতে আশার বার্তা দেন। শিশুদের কণ্ঠেও প্রতিবাদের সুর তুলে ধরে সাহসিকতার প্রমাণ রাখেন। শিক্ষক, মাতা, সংখ্যালঘু—সবার অবস্থানও তিনি মানবিকতার দৃষ্টিতে তুলে ধরেন। ‘মুক্তিপণ’ কাব্যগ্রন্থ রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লেখা, যা তখনকার সময়ের রাজনৈতিক দুঃসহ সত্যকে উন্মোচিত করে। এ কবি শুধু কবিতা লেখেননি, বরং তা আন্দোলনের অস্ত্র হিসেবেও ব্যবহার করেছেন। কবি এই কাব্যগ্রন্থে কিশোরদের চোখে গণতন্ত্রের স্বপ্ন জাগিয়ে তোলেন এবং নিজেই হয়ে ওঠেন প্রতিবাদের দলিল।

এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে শহীদ যারা:

[সম্পাদনা]
  • ১৯৮৩ : ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মিছিলে অংশ নিতে গিয়ে নিহত হন কাঞ্চন, জাফর, জয়নাল, আইয়ুব, দিপালী ও ফারুক। ১৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মোজাম্মেল পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
  • ১৯৮৪ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিল চলাকালে নিহত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দেলোয়ার হোসেন ও ইব্রাহিম সেলিম। ১ মার্চ সেলিম ও ইব্রাহিম হত্যার প্রতিবাদে সাত দল ও ১৫ দল হরতাল ডাকে। সেই হরতালে নিহত হন শ্রমিক তাজুল ইসলাম। ২৭ সেপ্টেম্বরের হরতালে ঢাকার কালিগঞ্জে নিহত হন রাজনৈতিক নেতা ময়েজ উদ্দিন। এদিন স্বপন কুমার, নেত্রকোনার তিতাস ও আরেকজন নিহত হন। ঢাকায় পুলিশের গুলিতে একজন রিকশাওয়ালা ও একজন ফুটপাতের দোকানদার এবং ঢাকার বাইরে আরো দুজন নিহত হন। ২৪ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গায় ফজলুর রহমান নামে একজন নিহত হন। ২২ ডিসেম্বর রাজশাহীতে মিছিলে নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের বাবুর্চি আশরাফ, ছাত্র শাজাহান সিরাজ ও পত্রিকার হকার আব্দুল আজিজ।
  • ১৯৮৫ : ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিলে নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র রাউফুন বসুনিয়া। ১৯ মার্চ হরতাল চলাকালে এক কিশোরের মৃত্যু হয়। ২২ এপ্রিল মিছিলে বোমা হামলায় একজন, ৯ অক্টোবর তেজগাঁও পলিটেকনিকে চারজন, ৩০ অক্টোবর ছাত্রনেতা তিতাস, ৩১ অক্টোবর ঢাকার মিরপুরে বিডিআরের গুলিতে ছাত্র স্বপন ও রমিজ নিহত হন। ৭ নভেম্বর আদমজী জুট মিলে ধর্মঘটে হামলায় ১৭ শ্রমিক এবং বিডিআরের গুলিতে তিন শ্রমিক নিহত হন।
  • ১৯৮৬ : ৭ মে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাঁচজন, ১৪ মে হরতালে আটজন, ১৫ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রতিরোধ আন্দোলনে ১১ জন, ১০ নভেম্বর হরতাল চলাকালে ঢাকার কাঁটাবন এলাকায় সাহাদত নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়।
  • ১৯৮৭ : ৯ই মার্চ এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের বীর সেনানি, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল হক বাবলু। ২২ জুলাই জেলা পরিষদ বিল প্রতিরোধ ও স্কপের হরতালে তিনজন, ২৪ অক্টোবর শ্রমিক নেতা শামসুল আলম, ২৬অক্টোবর সিরাজগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কৃষক জয়নাল, ১ নভেম্বর কৃষক নেতা হাফিজুর রহমান মোল্লা,১০ নভেম্বর নুর হোসেন,১১ নভেম্বর থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে ছাত্রনেতা আবুল ফাত্তাহ, ছাত্র বাবলু, যুবনেতা টিটো, শেরপুরের আমিন বাজারে পুলিশের গুলিতে উমেছা খাতুন, গোলাম মোহাম্মদ আসলাম, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে খোকন ও দেশের বিভিন্ন স্থানে তিনজন, ৫ ডিসেম্বর কক্সবাজারের চকোরিয়ায় ছাত্রনেতা দৌলত খান নিহত হন।
  • ১৯৮৮ : ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে নিহত হন ২২ জন। তাঁরা হলেন ক্ষেতমজুর নেতা রমেশ বৈদ্য, হোটেল কর্মচারী জি কে চৌধুরী, ছাত্র মহিউদ্দিন শামীম, বদরুল, শেখ মোহাম্মদ, সাজ্জাদ হোসেন, মোহাম্মদ হোসেন ও আলবার্ট গোমেজ, আবদুল মান্নান, কাশেম, ডি কে দাস, কুদ্দুস, পংকজ বৈদ্য, চান মিঞা, হাসান, সমর দত্ত, পলাশ, সবুজ হোসেন, কামাল হোসেন, সাহাদাত হোসেন। ৩ মার্চ চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিরোধ আন্দোলনের সময় হামলায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়।
  • ১৯৯০ : ১০ অক্টোবর সচিবালয়ে অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের গুলিতে ছাত্র জেহাদ ও মনোয়ার, হকার জাকির, ভিক্ষুক দুলাল, ১৩ অক্টোবর পুলিশের গুলিতে পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের ছাত্র মনিরুজ্জামান ও সাধন চন্দ্র শীল, ২৭ অক্টোবর হরতাল চলাকালে ঢাকার বাইরে দুজন, ১৪ নভেম্বর আদমজীতে ১১ জন, ২৬ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চায়ের দোকানদার নিমাই, ২৭ নভেম্বর ডা. শামসুল আলম মিলন, ২৮ নভেম্বর মালিবাগ রেলপথ অবরোধে দুজন, ৩০ নভেম্বর রামপুরায় বিডিআরের গুলিতে একজন, ১ ডিসেম্বর মিরপুরে ছাত্র জাফর, ইটভাঙা শ্রমিক আব্দুল খালেক, মহিলা গার্মেন্টস কর্মী, নুরুল হুদাসহ সাতজন, আট মাসের শিশু ইমন, নীলক্ষেতে একজন, কাজীপাড়ায় দুজন এবং ডেমরা যাত্রাবাড়ীতে দুজন, চট্টগ্রামের কালুরঘাটে একজন, খুলনার খালিশপুরে মহাব্রজ, নারায়ণগঞ্জের মণ্ডলপাড়ায় এক কিশোর, ৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম ও চাঁদপুরে পুলিশের গুলিতে দুজন, ২৭ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ময়মনসিংহে দুজন, রাজশাহীতে দুজন, ধানমণ্ডিতে একজন ও জিগাতলায় একজন নিহত হন।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]


তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

    1.https://www.bbc.com/bengiপ্রকাশিত হয় ১৯৮৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর। এটি /news-48847912