বিষয়বস্তুতে চলুন

প্রগতি (গাড়ী নির্মাতা)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
প্রগতি ইন্ড্রাস্টিজ লিমিটেড
ধরনসরকার চালিত
শিল্পমোটরগাড়ি শিল্প
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৬৬
সদরদপ্তরআগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ
প্রধান ব্যক্তি
মো. তৌহিদুজ্জামান
পণ্যসমূহগাড়ি সংযোজন, মোটরগাড়ি যন্ত্রাংশ
মাতৃ-প্রতিষ্ঠানবাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন
ওয়েবসাইটhttps://pragotiindustries.gov.bd/

প্রগতি একটি বাংলাদেশী গাড়ি সংযোজন এবং গাড়ির যন্ত্রাংশ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। এটি বিদেশী বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি করা যন্ত্রাংশের সমন্বয়ে গাড়ি সংযোজন করে থাকে, যা স্থানীয়ভাবে বাজারজাত করা হয়।

১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের জেনারেল মোটরস-এর কারিগরী সহযোগিতায় চট্টগ্রামের বাড়বকুণ্ডে গাড়ী উৎপাদনের নিমিত্তে ব্যক্তি মালিকানায় গান্ধারা ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ (পিআইএল) নামে জাতীয়করণ করে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন (বিএসইসি) এর নিয়ন্ত্রণে দেয়া হয়-যা অদ্যাবধি বিএসইসি কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পরিবহন সেক্টরের বিপর্যস্ত অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটি জরুরী ভিত্তিতে ইংল্যান্ড থেকে সুপিরিয়র বাস ও বেডফোর্ড ট্রাক আমদানী করে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

প্রগতির প্রধান কার্যালয় চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় অবস্থিত। এর কারখানাটিও চট্টগ্রামে অবস্থিত। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ বর্তমানে বাংলাদেশের বৃহত্তম গাড়ি সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান, যা এ পর্যন্ত ৫০,০০০ এর অধিক প্রাইভেট কার, জিপ, বাস, ট্রাক, পিকাপ, অ্যাম্বুলেন্স, ও ট্রাক্টর সংযোজন করেছে।[]

১৯৭৩ সালে প্রগতি নির্মিত একটি গাড়ি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে উপহার দেয়া হয়েছিল।[]

২০১০ সালে জাপানি গাড়ি নির্মাতা মিতসুবিশি কর্পোরেশন মিতসুবিশির সেডান ও পাজেরো গাড়ি প্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশে নির্মাণ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "BSEC Enterprises"। ১২ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১০
  2. "B'Pragoti has not made a car in 51 years'"। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৭
  3. "'Pragoti has not made a car in 51 years'"