বনগ্রাম আনন্দ কিশোর স্কুল এন্ড কলেজ
প্রাক্তন নাম | বনগ্রাম আনন্দ কিশোর উচ্চ বিদ্যালয় |
|---|---|
| নীতিবাক্য | প্রবেশ কর জ্ঞানের সন্ধানে |
| ধরন | বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজ |
| স্থাপিত | ৩১ ডিসেম্বর ১৯১২[১][২] |
| প্রতিষ্ঠাতা | আনন্দ কিশোর রায় চৌধুরী[ক] |
| অধিভুক্তি | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা |
| অবস্থান | , , ২৩৩০ , ২৪°২০′২১″ উত্তর ৯০°৪৭′৫৪″ পূর্ব / ২৪.৩৩৯১৮৬° উত্তর ৯০.৭৯৮৩৭৪° পূর্ব |
| শিক্ষাঙ্গন | গ্রামীণ, ১.৪৫ একর (০.৫৯ হেক্টর)[১] |
| ভাষা | বাংলা |
| ইআইআইএন (EIIN) | ১১০৩৮৮ |
| ক্রীড়া | ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন |
| ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট |
![]() | |
বনগ্রাম আনন্দ কিশোর স্কুল এন্ড কলেজ বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলাধীন কটিয়াদী উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নে অবস্থিত একটি বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।[৩] এই সুপ্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ১৯১২ সালে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যা পরবর্তীতে একটি বেসরকারি কলেজে উন্নীত হয়েছে।[১][২]
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
[সম্পাদনা]বনগ্রাম এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী তারক নারায়ণ চৌধুরী ও বাবু রামধনের পরামর্শে তৎকালীন বনগ্রাম এলাকার জমিদার আনন্দ কিশোর রায় চৌধুরী বনগ্রামে একটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সম্মত হন এবং তার অর্থায়নে ১৯১২ সালে বনগ্রামে একটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। আনন্দ কিশোর রায়ের পাশাপাশি অর্থায়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন কালী ভৈরব সরকার নামক একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি। তবে আনন্দ কিশোর রায়ের নামানুসারেই বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয় "বনগ্রাম আনন্দ কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়"।[১][২] বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ১০৩ বছর পর ২০১৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ দান শুরু হয়।
অবকাঠামো
[সম্পাদনা]মনোরম গ্রামীণ পরিবেশে ১.৪৫ একর জমির উপর নির্মিত বিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষাঙ্গনে মোট চারটি ভবন রয়েছে। ভবনগুলোর আয়তন যথাক্রমে ৮৮২, ৮৫.২৫, ৭১.২৫ ও ৫৫ বর্গমিটার।[১]
শিক্ষা কার্যক্রম ও অর্জন
[সম্পাদনা]শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে মাধ্যমিক (৬ষ্ঠ থেকে ১০ম) এবং উচ্চ মাধ্যমিক (একাদশ-দ্বাদশ) পর্যায়ের শ্রেণী কার্যক্রম চালু আছে। নবম-দশম শ্রেণি এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় পাঠদান চালু রয়েছে।[৪] ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় অত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গড় পাশের হার ৭৭.৩% তন্মধ্যে সর্বোচ্চ পাশের হার (৯১.৬৭%) ছিলো ২০১৪ সালে। আর ২০১৭ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় অত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গড় পাশের হার ৬২.১৭%।[খ] তাছাড়া অত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২০১০ সালে থানা আন্তঃস্কুল ও মাদরাসা ফুটবল ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।[১]
উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী
[সম্পাদনা]বনগ্রাম আনন্দ কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ[১]:-
- নীরদচন্দ্র চৌধুরী — বাঙালি মননশীল লেখক ও চিন্তাবিদ।
- হামিদুজ্জামান খান — ভাস্কর; চিত্রশিল্পী।
- পরিমল চন্দ্র রায় — সাবেক অধ্যক্ষ, ঢাকা কলেজ।
- প্রমথ নাথ রায় — সাবেক বাংলা ও সংস্কৃত অধ্যাপক, কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়।
- ক্ষিতিশ চন্দ্র রায় — সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা, পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
- বিনয় রায় — সাবেক অধ্যক্ষ, আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ
- রজত বরন দত্ত রায় — সাবেক বাংলা ও সংস্কৃত অধ্যাপক, দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়; সাবেক প্রধান অধিকর্তা, আকাশবাণী।
- শশাঙ্ক জীবন রায় — সাবেক বিচারপতি, কলকাতা উচ্চ আদালত।
- বাবু দারিকানাথ — বন কর্মকর্তা, ব্রিটিশ ভারত।
- বাবু অমরেন্দ্র নারায়ন চৌধুরী — পাঠ্যপুস্তক প্রণেতা।
- নাগ মুক্তা রাম — বিশিষ্ট সাহিত্যিক।
- বাবু প্রনব কুমার চক্রবর্তী — অস্ত্র কারখানার মহা পরিচালাক।
- মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ — সাবেক এম.পি.এ।
- কমরউদ্দীন খাঁ[গ] — প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সৈনিক, পুলিশ কর্মকর্তা।[৫]
- ভানু রঞ্জন রায় — সাবেক ফুটবলার।
- অনিল চন্দ্র পাল — সাবেক ফুটবলার, পূর্ব পাকিস্তান।
- মোঃ আলী মির্জা — সাবেক ফুটবলার, পূর্ব পাকিস্তান।
- মোহাম্মদ নুরুজ্জামান — কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ।
- আখতারুজ্জামান — কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ।
- আনিসুজ্জামান খোকন — ময়মনসিংহ-১৯ আসনের সাবেক সাংসদ।
- মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান খান — সাবেক সাংসদ।
- আব্দুল কাহার আকন্দ — পুলিশ কর্মকর্তা।
- মোঃ হুমায়ুন কবীর — প্রকৌশলী; চালকবিহীন হেলিকপ্টারের উদ্ভাবক।
- মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ — সাবেক এম.পি.এ।
- শ্যামা চরন রায় — সাবেক সভাপতি, ময়মনসিংহ বার কাউন্সিল।
- পি.সি সাহা রায় — সাবেক সদস্য, বার কাউন্সিল লন্ডন।
- মোঃ মেজবাহ উদ্দিন খান — আইনজীবী
- মোঃ মতিউর রহমান — আইনজীবী
- পরেশ চক্রবতী — প্রথম ইংরেজি অধ্যাপক, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ।
- আতিকুর রহমান মিশু — সাবেক ফুটবলার, বাংলাদেশ।
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র ও টীকা
[সম্পাদনা]- 1 2 3 4 5 6 7 8 "বনগ্রাম আনন্দ কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২৪।
- 1 2 3 4 "শিল্পী অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খানের গ্রামের ইতি কথা (চার)"। বাংলাদেশের খবর। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২৪।
- ↑ "BANGRAM ANANDA KISHOR SCHOOL & COLLEGE"। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা। ১১ জুন ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২৪।
- ↑ "কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলাধীন 'বনগ্রাম আনন্দ কিশোর স্কুল এন্ড কলেজ' এর উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে প্রথম অস্থায়ী স্বীকৃতির অনুমতি প্রদান প্রসঙ্গে" (পিডিএফ)। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা। ১৮ এপ্রিল ২০২৩। ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২৪।
- ↑ বাবুল, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর (৩১ জুলাই ২০০৮)। হাবিবুল্লাহ, মোহাম্মাদ (সম্পাদক)। "কাদিয়ানী নেতা রইছ উদ্দীন খাঁ" (পিডিএফ)। পাক্ষিক আহ্মদী। নং ২য় (নব পর্যায় ৭১ বর্ষ সংস্করণ)। ঢাকা-১২১১: আহমদীয়া আর্ট প্রেস। পৃ. ২৭। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪।
{{ম্যাগাজিন উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অবস্থান (লিঙ্ক)
