বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র
| অবস্থান | রাঙ্গামাটি জেলা, চট্টগ্রাম বিভাগ, বাংলাদেশ |
|---|---|
| স্থানাঙ্ক | ২২°৩২′৫৪.৫১″ উত্তর ৯১°৫৯′৪২.২২″ পূর্ব / ২২.৫৪৮৪৭৫০° উত্তর ৯১.৯৯৫০৬১১° পূর্ব |
| সংস্থা | বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড |
| নির্মিত | ১৪ জুন ১৯৭৫ |
| দূরবীক্ষণ যন্ত্রের ধরন | ভূ-উপগ্ৰহ কেন্দ্র |
| ব্যাস | ৩০ মি (৯৮ ফু ৫ ইঞ্চি) |
বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র ১৯৭৫ সালে স্থাপিত একটি টেলিযোগাযোগ ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র। রাঙ্গামাটি জেলার সদর থেকে প্রায় ৩৩ কিলোমিটার দূরে কাউখালি উপজেলার বেতবুনিয়াতে চট্টগ্রাম- রাঙ্গামাটি সড়কের পাশে অবস্থিত কেন্দ্রটি বাংলাদেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র।[১][২] ১২৮ একর ভূমির উপর স্থাপিত কেন্দ্রটি কৃত্রিম উপগ্রহের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করে।[৩] বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগের প্রথম অ্যান্টেনা এই কেন্দ্রে স্থাপিত হয়।[৩] কেন্দ্রটি মূলত টেলিযোগাযোগ, ফ্যাক্ম, টেলেক্ম তথ্যের প্রাপক ও প্রেরক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।[১] ২০১৮ সাল থেকে এটি বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের দ্বিতীয় ভূ-নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হিসেবে সক্রিয়।[৪] কার্যপরিধির নিরিখে বেতবুনিয়াকে বাংলাদেশের স্ট্যান্ডার্ড ‘এ’ টাইপের কেন্দ্র ধরা হয়।[৫]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৭০ সালের ৩০ জানুয়ারি কেন্দ্রটির নির্মাণ শুরু হয়। ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন কেন্দ্রটি সক্রিয় করা হয়।[১] নির্মাণের পর থেকে কেন্দ্রটি যুক্তরাষ্ট্রের কৃত্রিম উপগ্রহ[৩] ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ইন্টেলসেট উপগ্রহের সাথে যুক্ত।[২] ১৯৮২ সালের ২৬ জানুয়ারি তালিবাবাদে দ্বিতীয় ভূ-কেন্দ্র স্থাপনের আগ পর্যন্ত,[৬][৭] দীর্ঘদিন এটি বাংলাদেশে বৈদেশিক কল গ্রহণ ও পাঠানোর একমাত্র মাধ্যম ছিল। কেন্দ্রটি সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, হংকং, ওমান, পাকিস্তান, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, জাপান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভারতের সাথে টেলিযোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়।[১] ১৯৮৯ সালে আংশিক এবং ১৯৯৮ সালে জাপানের এনইসি কোম্পানি কর্তৃক কেন্দ্রটি ডিজিটাল করার জন্য নতুন যন্ত্রপাতি দিয়ে সাজানো হয়।[২]
২০১৬ সালে ফ্রান্সের থ্যালেস এলেনিয়া কোম্পানি এখানে বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ পরবর্তি পরিচালনার জন্য ভূ-নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র তৈরি করে।[২][৮] মূলকেন্দ্রের ৫ একর জায়গায় "সেকেন্ডারি উপগ্রহ ভূকেন্দ্র"[৯] নামে ভূ-নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র সম্প্রসারণ করা হয়।[১০] ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই বেতবুনিয়াকে বাংলাদেশের মালিকানাধীন প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের দ্বিতীয় বা সহায়ক ভূ-কেন্দ্র হিসেবে যুক্ত করা হয়।[৩][৪] তার আগেই ১২ মে থেকে এটি পরিক্ষামূলক সংকেত গ্রহণ শুরু করে।[২]
সক্ষমতা
[সম্পাদনা]বেতবুনিয়া কেন্দ্রে মোট ১ হাজার ৬০০ মেগাহার্টজ কম্পন ক্ষমতার ৪০টি ট্রান্সপন্ডার আছে।[৩] এটির অ্যান্টেনার ব্যাস ৩০ মিটার।[২] এটি ৩৫,৯০০ কিলোমিটার (২২,৩০০ মাইল) উর্ধ্বাকাশে অবস্থিত কৃত্রিম উপগ্রহের তরঙ্গ সংকেত গ্রহণ ও প্রেরণে সক্ষম।[১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- 1 2 3 4 5 "বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র"। রাঙ্গামাটি জেলা আনুষ্ঠানিক তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: ইউআরএল-অবস্থা (লিঙ্ক) - 1 2 3 4 5 6 "৪৮ বছর পূর্ণ করলো বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র"। দেশ রূপান্তর। ১৪ জুন ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০২৫।
- 1 2 3 4 5 বিশ্বাস, মিল্টন (১৪ জুন ২০২৩)। "বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র এবং আজকের প্রযুক্তি"। দৈনিক ইত্তেফাক। ১৪ জুন ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০২৫।
- 1 2 "জয়ের নামে গাজীপুর ও বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধন"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ৩১ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: ইউআরএল-অবস্থা (লিঙ্ক) - ↑ মাহবুবুল আলম (২০১২)। "টেলিযোগাযোগ"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর (সম্পাদকগণ)। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন ৯৮৪৩২০৫৯০১। ওসিএলসি 883871743। ওএল 30677644M।
- ↑ "২৬ জানুয়ারি: ইতিহাসে এই দিনে আলোচিত কী ঘটেছিল"। সময় টিভি। ২৫ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: ইউআরএল-অবস্থা (লিঙ্ক) - ↑ মান্না, ফিরোজ (১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭)। "বেতবুনিয়া থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট"। দৈনিক জনকণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: ইউআরএল-অবস্থা (লিঙ্ক) - ↑ "Country's 1st satellite ground station at Betbunia completes 48 yrs"। ডেইলি সান (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ জুন ২০২৩। ১৪ জুন ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "২ ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র থেকে সরল জয়ের নাম"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ৪ মার্চ ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: ইউআরএল-অবস্থা (লিঙ্ক) - ↑ "৪৩ বছর পর প্রাণ ফিরে পেলো বেতবুনিয়ার ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র"। চ্যানেল আই। ১৮ মে ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: ইউআরএল-অবস্থা (লিঙ্ক)