মহাসাগরীয় গ্রহ
মহাসাগরীয় গ্রহ বা জলবিশ্ব ইংরেজিতে ocean planet বা waterworld একধরনের কাল্পনিক গ্রহ বিশেষ। এ ধরনের গ্রহের পৃষ্ঠ শুধুই মহাসাগর দ্বারা গঠিত। পৃথিবীর মহাসাগরগুলোর চেয়ে এর গভীরতাও কয়েকগুন বেশি।
উৎপত্তি ও গঠন
[সম্পাদনা]আমাদের সৌরজগতের বাইরে যে সব গ্রহের অস্তিত্ব তা অনেক সময় ধূমকেতুর মতো অর্ধেক বরফ ও অর্ধেক পাথুরে বস্তুর সংমিশ্রনে গঠিত হতে পারে। এসব গ্রহের গঠনগত পরিবর্তন দেখে ধারণা করা যায় যে সৃষ্টির এক পর্যায়ে গ্রহের বাইরের অংশের বরফ গলে গিয়ে সম্পূ্র্ণ গ্রহ জুড়ে এক মহাসমুদ্রে পরিনত হয়। এই ধারণা সর্ব প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালে Marc Kuchner[১] এবং Alain Léger এর একটি গবেষণা প্রবন্ধে।[২]
জলবিশ্বের সমুদ্র কয়েক হাজার কিলোমিটার গভীর হতে পারে। সমগ্র গ্রহ জুড়ে এই মহাসমুদ্রের দারুণ চাপে এই সকল গ্রহের কেন্দ্র বরফ দ্বারা গঠিত হতে পারে। যদিও তাপমাত্রার দিক দিয়ে তা পৃথিবীর বরফের মতো হয়ত হবে না। গ্রহটি যদি তার সূর্যের খুব কাছে অবস্থিত হয় তাহলে গলনাঙ্কের কাছাকাছি পৌছানর পর তা বর্ণার অতিত এক পৃষ্ঠদেশে রূপান্তরিত হবে।[২] এমনকি যদি গ্রহটি যদি খুব ঠান্ডাও হয় তাহলেও তার বায়ুমন্ডলে প্রচুর বাষ্পিভূত পানির অস্তিত্ব থাকবে এবং সেখানে মারাত্মক গ্রীন হাউজ এফেক্টের সৃষ্টি করবে।
অপেক্ষাকৃত ছোট মহাসাগরীয় গ্রহের মাধ্যাকর্ষন শক্তি কম হয় এবং বায়ুমন্ডলও হয় অনেক হাল্কা।
উদাহরণ
[সম্পাদনা]ধারণা করা হয় আমাদের সৌরজগতের বাইরের গ্রহ GJ 1214 b এবং কেপলার টুটুবি মহাসাগরীয় গ্রহ। [৩][৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Kuchner, Marc (২০০৩)। "Volatile-rich Earth-Mass Planets in the Habitable Zone"। Astrophysical Journal। ৫৯৬: L১০৫ – L১০৮। আরজাইভ:astro-ph/0303186। বিবকোড:2003ApJ...596L.105K। ডিওআই:10.1086/378397।
- 1 2 Léger, Alain (২০০৪)। "A New Family of Planets ? "Ocean Planets""। Icarus। ১৬৯ (2): ৪৯৯–৫০৪। আরজাইভ:astro-ph/0308324। বিবকোড:2004Icar..169..499L। ডিওআই:10.1016/j.icarus.2004.01.001।
- ↑ David Charbonneau; Zachory K. Berta; Jonathan Irwin; Christopher J. Burke; এবং অন্যান্য (২০০৯)। "A super-Earth transiting a nearby low-mass star"। Nature। ৪৬২ (17 December 2009): ৮৯১–৮৯৪। আরজাইভ:0912.3229। বিবকোড:2009Natur.462..891C। ডিওআই:10.1038/nature08679। পিএমআইডি 20016595। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০০৯।
- ↑ Kuchner, Seager; Hier-Majumder, M.; Militzer, C. A. (২০০৭)। "Mass–radius relationships for solid exoplanets"। The Astrophysical Journal। ৬৬৯ (2): ১২৭৯–১২৯৭। আরজাইভ:0707.2895। বিবকোড:2007ApJ...669.1279S। ডিওআই:10.1086/521346। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
| এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |