সরকারি প্রমথনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
| সরকারি প্রমথনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় | |
|---|---|
| অবস্থান | |
![]() | |
বোয়ালিয়া, রাজশাহী | |
| তথ্য | |
| ধরন | সরকারি |
| প্রতিষ্ঠাকাল | ১৮৬৮ |
| বিদ্যালয় জেলা | রাজশাহী জেলা |
| অধ্যক্ষ | তৌহিদ আরা |
| শ্রেণি | প্রাথমিক, মাধ্যমিক |
| অন্তর্ভুক্তি | |
| ওয়েবসাইট | www |
সরকারি প্রমথনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় রাজশাহী শহরের অন্যতম প্রাচীন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।[১] বিদ্যালয়টি পি এন গার্লস স্কুল নামেও স্থানীয়ভাবে পরিচিত।[২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]এই স্কুল রাজশাহী বিভাগের একটি প্রাচীন ও বিখ্যাত স্কুল। আজ থেকে দেড়শত বছর পূর্বে নাটোরের দিঘাপতিয়ার রাজা প্রমথনাথ রায় ১৮৬৮ সালে এই স্কুলের জন্য ৬ হাজার রুপি দান করেন। তার নামানুসারে এই স্কুলের নাম করণ হয় “সরকারি প্রমথনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। বাংলাদেশের বড় স্কুলের মধ্যে এটি একটি স্কুল।[৩] ইতিহাস থেকে জানা গেছে যে, এই বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয়েছিলো অনেকটা ভিন্ন রকমভাবে। রাজা প্রমথনাথের নামের প্রথম অংশ প্রমথ থেকে পি অক্ষর এবং নাথ এর এস, এই অক্ষর দুইটি নিয়ে পিএন নামকরণ করেছিলেন ব্রিটিশরা। ১৯২৮ সালের আগে এটি নিম্নমাধ্যমিক স্কুল ছিলো পরবর্তীতে মাধ্যমিক স্কুল করা হয় এবং এর নাম হয় পিএন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৬০ সালে স্কুলটি সরকারিকরণ হওয়ার পরে নামের আগে সরকারি শব্দটি যুক্ত হয়। কিন্তু স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা তার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থাকার কারণে প্রতিষ্ঠানের প্রায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী এমনকি রাজশাহী নগরীর অনেকেই জানেন না স্কুলের প্রতিষ্ঠাতার নাম। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সারাদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে একটি আদেশ অনুযায়ী , দেশের সমস্ত বিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত নাম পরিবর্তন করে প্রতিষ্ঠানের পূর্ণনাম ব্যবহারকরণ কার্যক্রম চালু হয়। মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পূর্ণ নাম ব্যবহারের জন্য আদেশ দেন এবং এরই ভিত্তিতেই প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন হয়। ৪ এপ্রিল, ২০২২ সাল থেকে ‘সরকারি প্রমথনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রাজশাহী' নামকরণ হয়। দীর্ঘ ১৫৪ বছর পরে সরকারি নির্দেশনার প্রেক্ষিতে নামটি পূর্ণতা লাভ করলো। এখন থেকে স্কুলের সাইনবোর্ড, সিলসহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় সব ক্ষেত্রে এই নাম ব্যবহার করা হবে।[৪]
অবকাঠামো এবং প্রশাসন
[সম্পাদনা]- রাজা প্রমথনাথের নামের প্রথম অংশ প্রমথ এর ‘পি’এবং‘নাথ‘এর ‘এন’ নিয়ে স্কুলটির নামকরণ করেছিল ব্রিটিশরা।[২]
কৃতিশিক্ষার্থী
[সম্পাদনা]- সেলিনা হোসেন, তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, লেখিকা, বাংলা একাডেমীর সাবেক পরিচালক এবং শিশু একাডেমীর চেয়ারম্যান।
- রাশেদা কে চৌধুরী, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
- শিরিন সুফিয়া বেগম, তত্বাবধায় সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
- সুফিয়া রহমান, বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ [৩]
- জিনাতুন নেসা তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "বাংলাদেশ ব্যুরো অব এডুকেশনাল ইনফরমেশন অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিক্স (ব্যানবেইনস)"। শিক্ষাসংশ্লিষ্ট তথ্য : সরকারি পি এন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৯।
- 1 2 "নারী শিক্ষার ইতিহাসে সরকারি প্রমথনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় দীপ্ত নক্ষত্র"। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস। সংগ্রহের তারিখ ০৩ জানুয়ারি ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}:|সংগ্রহের-তারিখ=এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: ইউআরএল-অবস্থা (লিঙ্ক) - 1 2 e-barta247.com (১৪ ডিসেম্বর ২০১৭)। "রাজশাহী প্রাচীনতম স্কুলের প্রথম পুনর্মিলনী"। Ebarta Online News (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। ৫ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০২০।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: সাংখ্যিক নাম: লেখকগণের তালিকা (লিঙ্ক) - ↑ আহমেদ, ফয়সাল (৯ এপ্রিল, ২০২২)। "১৫৪ বছর পর পূর্ণ নাম পেলো 'পিএন' গার্লস হাইস্কুল"। অনলাইন পত্রিকাঃ জাগো নিউজ ২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগষ্ট, ২০২৪।
{{সংবাদ উদ্ধৃতি}}:|সংগ্রহের-তারিখ=এবং|তারিখ=এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)
