বিষয়বস্তুতে চলুন

সিরাজুল ইসলাম (পঞ্চগড়ের রাজনীতিবিদ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সিরাজুল ইসলাম (১৯৪৪-২ জুন ১৯৯৭) বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, মুক্তিযোদ্ধা যিনি দিনাজপুর-২ ও পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।[][][]

এ্যাডভোকেট
সিরাজুল ইসলাম
দিনাজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
৭ এপ্রিল ১৯৭৩  ২৪ মার্চ ১৯৮২
পূর্বসূরীআসন শুরু
উত্তরসূরীসতীষ চন্দ্র রায়
পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
৭ মে ১৯৮৬  ৬ ডিসেম্বর ১৯৮৭
পূর্বসূরীআসন শুরু
উত্তরসূরীআব্দুল কুদ্দুস
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৯৪৪
বোদা উপজেলা পঞ্চগড়
মৃত্যু২ জুন ১৯৯৭
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, ঢাকা
জাতীয়তাবাংলাদেশী
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
সম্পর্কনুরুল ইসলাম সুজন (ভাই)

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন

[সম্পাদনা]

সিরাজুল ইসলাম ১৯৪৪ সালে বর্তমান পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়নের মহাজন পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ইমাজ উদ্দীন আহম্মেদ এবং মাতার নাম কবিজান নেছা। সাত বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন পঞ্চম।[]

পারিবারিক জীবন

[সম্পাদনা]

সিরাজুল ইসলামের একমাত্র ভাই নূরুল ইসলাম সুজন পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী।

রাজনৈতিক জীবন

[সম্পাদনা]

সিরাজুল দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন ১৯৬৬ সালের ছয় দফা এবং ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। রাজশাহী বিভাগীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক এবং ডাকসুর সহসম্পাদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৬নং সেক্টরের বেসামরিক উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ১ম আর্ন্তজাতিক সম্পাদক ছিলেন।[]

তিনি ১৯৭৩ সালের প্রথম ও ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দিনাজপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[][]

১৯৭৫ সালে বাকশালের ঠাকুরগাঁও জেলার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পঞ্চগড়-১ আসন হতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[]

তিনি পঞ্চগড় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন।

সম্মাননা

[সম্পাদনা]

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

সিরাজুল ইসলাম ২ জুন ১৯৯৭ সালে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৩ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. 1 2 "১ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত।
  2. 1 2 "২য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত।
  3. 1 2 "৩য় জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা" (পিডিএফ)বাংলাদেশ সংসদ। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪
  4. "বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম মৃত্যুবার্ষিকী সীমিত আকারে পালন"রংপুরের কন্ঠ (ইংরেজি ভাষায়)। ২ জুন ২০২০। ২১ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০২০
  5. "জাতীয় তথ্য বাতায়ন"। ৭ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০
  6. কালের কণ্ঠ, ২৪ মে ২০১৯