বিষয়বস্তুতে চলুন

১৯১৯–২০ গিলিংহাম এফ.সি. মৌসুম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গিলিংহ্যাম
১৯১৯–২০ মৌসুম
সভাপতিএডওয়ার্ড ক্রলি[]
ম্যানেজারজর্জ কলিন্স
সাউদার্ন লিগ
ডিভিশন ওয়ান
২২তম
এফএ কাপপ্রথম রাউন্ড
সর্বোচ্চ গোলদাতালীগ: আর্থার উড (১২)
মোট: আর্থার উড (১৪)
সর্বোচ্চ স্বাগতিক উপস্থিতিআনুমানিক ১০,০০০ বনাম সোয়ানসি টাউন (২০ ডিসেম্বর ১৯১৯), সুইন্ডন টাউন (১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯২০), এবং ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন (২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯২০)
সর্বনিম্ন স্বাগতিক উপস্থিতিআনুমানিক ২,০০০ বনাম সোয়ানসি টাউন (১৯ এপ্রিল ১৯২০)
নিজস্ব মাঠে রং

১৯১৯–২০ মৌসুমে গিলিংহ্যাম এফ.সি. সাউদার্ন লিগের ডিভিশন ওয়ানে খেলেছিল। এটি ছিল ক্লাবের সাউদার্ন লিগে ২২তম এবং ডিভিশন ওয়ানে ২১তম মৌসুম। এই মৌসুমের আগে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে ক্লাবটি চার বছরের বেশি সময় ধরে খেলায় নিষ্ক্রিয় ছিল। ক্লাবের নতুন ম্যানেজার হিসেবে জর্জ কলিন্সকে নিয়োগ দেওয়া হয়। দলে প্রায় সব খেলোয়াড়ই নতুন ছিল এবং মৌসুমজুড়ে একটি স্থায়ী দল গঠন করতে ক্লাবটি হিমশিম খেয়েছিল। তারা প্রায় ৪০ জন খেলোয়াড় মাঠে নামায়, যার মধ্যে ছয়জন ছিলেন গোলরক্ষক

এই মৌসুমে দলটি অত্যন্ত খারাপ ফল করে, অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৪টি লীগ ম্যাচে কোনো জয় পায়নি। গিলিংহ্যাম লিগ টেবিলের একেবারে নিচে শেষ করে। তবুও, সাউদার্ন লিগের ডিভিশন ওয়ানের পুরো বিভাগ ফুটবল লিগে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় ক্লাবটি জাতীয় ফুটবল লিগে জায়গা করে নেয়।

গিলিংহ্যাম এফএ কাপ প্রতিযোগিতায়ও অংশ নেয়। ষষ্ঠ কোয়ালিফাইং রাউন্ড থেকে প্রথম রাউন্ডে উঠতে তাদের তিনটি রিপ্লে ম্যাচ খেলতে হয়। প্রথম রাউন্ডেই তারা পরাজিত হয়। পুরো মৌসুমে ক্লাবটি ৪৭টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলে, যার মধ্যে ১১টি জিতেছে, ১০টি ড্র করেছে এবং ২৬টিতে পরাজিত হয়েছে।

আর্থার উড ছিলেন দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা; তিনি লীগে ১২টি এবং মোট ১৪টি গোল করেন। টম লেসলি সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেন, মোট ৪০ বার মাঠে নামেন। ঘরের মাঠ প্রিস্টফিল্ড রোডে সর্বোচ্চ দর্শকসংখ্যা ছিল আনুমানিক ১০,০০০; এটি ছিল সুইন্ডন টাউন, ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন এবং সোয়ানসি টাউন-এর বিরুদ্ধে খেলা ম্যাচগুলিতে।

পটভূমি ও প্রাক-মৌসুম

[সম্পাদনা]

গিলিংহ্যাম ১৮৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯১২ সাল পর্যন্ত ‘নিউ ব্রম্পটন’ নামে পরিচিত ছিল।[] ক্লাবটি ১৮৯৪ সালে সাউদার্ন লিগ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। তারা ১৮৯৫ সালে ডিভিশন টু থেকে উন্নীত হয়ে ডিভিশন ওয়ানে উঠে আসে এবং এরপর থেকে ডিভিশন ওয়ানে খেলে আসছে। তবে ক্লাবটি খুব কমই লিগ টেবিলের শীর্ষার্ধে থাকতে পেরেছে।[]

১৯১৯–২০ মৌসুম ছিল যুদ্ধ-পরবর্তী প্রথম মৌসুম, যখন সাউদার্ন লিগ পুনরায় শুরু হয়। গিলিংহ্যাম এর আগে সর্বশেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেছিল ১৯১৪–১৫ মৌসুমে, যেখানে তারা লিগ টেবিলের তলানিতে শেষ করেছিল।[][] এর আগে ১৯১৯ সালের শুরুতে সাউদার্ন লিগ জাতীয় ফুটবল লিগের সঙ্গে একীভূত হওয়ার প্রস্তাব দেয়, কিন্তু তা প্রত্যাখ্যাত হয়।[]

জুলাই মাসে জর্জ কলিন্স গিলিংহ্যামের নতুন ম্যানেজার হিসেবে স্যাম গিলিগান-এর স্থলাভিষিক্ত হন; গিলিগান যুদ্ধের পরে ক্লাবে ফিরে আসেননি। সে সময়ের নিয়ম অনুযায়ী, দলীয় কৌশল ও অনুশীলনের দায়িত্ব ছিল ম্যানেজারের ওপর, তবে আধুনিক যুগের ম্যানেজারের অন্যান্য দায়িত্ব, যেমন নতুন খেলোয়াড় চুক্তিবদ্ধ করা, এসবের দায়িত্ব ছিল ক্লাব সচিব উইলিয়াম আয়রনসাইড গ্রুমব্রিজ-এর।[]

যুদ্ধ-পূর্ব শেষ মৌসুমের বেশিরভাগ খেলোয়াড় আর ফিরে আসেননি। তাই ক্লাবটি নতুন অনেক খেলোয়াড় দলে ভেড়ায়।[] নতুন খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিলেন আর্থার উড, একজন ফরোয়ার্ড, যিনি যুদ্ধের আগে ফুলহ্যামের হয়ে ফুটবল লিগ সেকেন্ড ডিভিশন-এ খেলেছেন। তিনি যুদ্ধে মাথায় আঘাত পেয়ে অস্ত্রোপচারে কপালে ধাতব প্লেট বসানোর পরও খেলা চালিয়ে যান, যদিও এতে তিনি হেড করতে পারতেন না।[]

আরও যোগ দেওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিলেন ববি বেল, একজন গোলরক্ষক, যিনি নিকটবর্তী মেইডস্টোন-এ জন্মগ্রহণ করেন এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে শতাধিক ম্যাচ খেলেছেন।[] ডেভিড চ্যালমার্স নামক একজন স্কটিশ ফরোয়ার্ডও দলে যোগ দেন, যিনি যুদ্ধেও সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন।[১০][১১]

দলটি তাদের পুরনো কিট—কালো-সাদা ডোরাকাটা জার্সি, সাদা শর্টস এবং কালো মোজা—আবার পরিধান শুরু করে। যুদ্ধের ঠিক আগে, তারা নীল ও লাল রঙের একটি কিট গ্রহণ করেছিল।[১২][১৩]

সাউদার্ন লিগ ডিভিশন ওয়ান

[সম্পাদনা]

আগস্ট–ডিসেম্বর

[সম্পাদনা]

গিলিংহ্যামের মৌসুমের প্রথম ম্যাচটি তাদের ঘরের মাঠ প্রিস্টফিল্ড রোডে অনুষ্ঠিত হয় ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে, যারা যুদ্ধের আগে শেষ মৌসুমে সাউদার্ন লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।[১৪] গিলিংহ্যামের শুরুর একাদশে টম লেসলিজ্যাক মাহন ছাড়া কেউ যুদ্ধের আগে ক্লাবের হয়ে খেলেননি।[১৫] ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র-তে শেষ হয়। ডেইলি টেলিগ্রাফ-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গিলিংহ্যামের ফরোয়ার্ডরা ভালো খেললেও, ওয়াটফোর্ডের রক্ষণদ্বয় তাদের গোল করতে দেয়নি।[১৪]

দুই দিন পর গিলিংহ্যাম লুটন টাউনের মাঠে হেরে যায়, তবে এরপর তারা মৌসুমের প্রথম জয় পায় সোয়ানসি টাউনকে পরাজিত করে; জয়সূচক গোল করেন ডব্লিউ. স্যাভেজ। যুদ্ধ-পূর্ব খেলোয়াড় আবেল লিও এ ম্যাচে ফিরে আসেন।[১৬][১৭] এরপর ১০ সেপ্টেম্বর ঘরের মাঠে লুটন টাউনের বিপক্ষে দ্বিতীয় জয় পায়, যেখানে উড দুটি গোল করেন।[১৬][১৮]

এই জয়ের পর সেপ্টেম্বর মাসে বাকি চারটি ম্যাচে গিলিংহ্যাম একটিতেও গোল করতে পারেনি; একটিতে ড্র করে এবং তিনটিতে পরাজিত হয়।[১৬] এর মধ্যে ছিল কার্ডিফ সিটির বিপক্ষে ৫–০ ব্যবধানে হারের ম্যাচ। ওয়েস্টার্ন মেইল লেখে, এ ম্যাচে গিলিংহ্যামের রক্ষণভাগ, যা পূর্বে লিগের অন্যতম সেরা ছিল, নাটকীয়ভাবে ভেঙে পড়ে এবং কার্ডিফের গোলরক্ষক কার্যত দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন।[১৯]

অক্টোবরে টানা পরাজয়ের ধারা অব্যাহত থাকে; সুইন্ডন টাউনের মাঠে ৫–২ ও ঘরের মাঠে প্লাইমাউথ আর্গাইলের কাছে ২–০ ব্যবধানে হার মানে। সুইন্ডনের বিপক্ষে ম্যাচে ফুল-ব্যাক বিল কার্টরাইট ক্লাবের হয়ে প্রথমবার মাঠে নামেন।[১৬] অবশেষে ১১ অক্টোবর ঘরের মাঠে মিলওয়ালকে ২–০ গোলে হারিয়ে পরাজয়ের ধারা থামায়; উড আবারও দুটি গোল করেন। ডেইলি হেরাল্ড-এর প্রতিবেদক মিলওয়ালের গোলরক্ষককে প্রশংসা করেন এবং উল্লেখ করেন যে প্রতিপক্ষ মাত্র দুটি গোল হজম করে ভাগ্যবান ছিল।[২০]

২৫ অক্টোবর নিউপোর্ট কাউন্টির মাঠে ৩–১ গোলে হারের ম্যাচটি ছিল গোলরক্ষক ববি বেল-এর ক্লাবের হয়ে শেষ ম্যাচ। এরপরের সাত ম্যাচে ক্লাবটি চারজন ভিন্ন গোলরক্ষক ব্যবহার করে, যাদের কেউই দু'টির বেশি ম্যাচ খেলেননি।[১৬] দলে আরও পরিবর্তন আসে; ফরোয়ার্ড অ্যালেক্স রেডপাথ নিউপোর্টের বিপক্ষে অভিষেক করেন এবং হাফ-ব্যাক এ. হ্যারিস ও ফরোয়ার্ড হ্যারি ডসন এবং সি. ডেনি ৮ নভেম্বর নর্থ্যাম্পটনের বিপক্ষে প্রথমবার মাঠে নামেন। ডেনি আর কখনও ক্লাবের হয়ে খেলেননি এবং ডসন ও হ্যারিস কেবল একটি করে অতিরিক্ত ম্যাচ খেলেছেন।[২১]

নভেম্বরের শেষ দিকে গিলিংহ্যাম আরও দুটি ম্যাচে হারে—ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে ৪–১ ও নরউইচ সিটির কাছে ৫–০ ব্যবধানে। সানডে মার্কারি পত্রিকা জানায়, প্যালেস সহজেই শ্রেষ্ঠ দল ছিল এবং নরউইচ যেন প্রতিপক্ষকে নিয়ে খেলছিল।[২২][২৩] এ ম্যাচে নতুন ফরোয়ার্ড এইচ. কেলি অভিষেক করেন, সঙ্গে হাফ-ব্যাক অ্যালেক্স স্টিল এবং জিমি কেনেডি, যারা যথাক্রমে সাউথএন্ড ইউনাইটেড ও ওয়াটফোর্ড থেকে এসেছিলেন।[১৬][২৪]

ডিসেম্বর শুরু হয় আরও দুটি পরাজয়ের মাধ্যমে—ব্রেন্টফোর্ডের কাছে ২–০ ও মার্থার টাউনের কাছে ৪–০। পরবর্তী ম্যাচে টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে আসা স্টিলের ভাই ববি স্টিল নতুন ফরোয়ার্ড হিসেবে অভিষেক করেন।[২৫][১৬][২৬][২৭]

গিলিংহ্যামের ১৯১৯ সালের শেষ তিনটি লিগ ম্যাচ হয় টানা তিন দিনে, যার প্রথমটি ছিল বড়দিনে রিডিংয়ের বিপক্ষে, যেখানে তারা ২–১ গোলে হারে। পরদিন একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আবার খেলে ৩–০ ব্যবধানে হারে। সে ম্যাচে গোলরক্ষক জ্যাক ব্র্যানফিল্ড, যিনি ১৯১৫ সালে ক্লাবের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন, দলে ফিরে আসেন এবং এরপর পুরো মৌসুমে কেবল একটি ম্যাচ বাদ দিয়ে তিনি নিয়মিত একাদশে ছিলেন।[২৮] বছরের শেষ লিগ ম্যাচ ছিল ২৭ ডিসেম্বর, ব্রিস্টল রোভার্সের মাঠে, যা ১–১ গোলে ড্র হয়।[২৯] এর মানে দাঁড়ায়, টানা ১১টি লিগ ম্যাচে গিলিংহ্যাম জয়ের মুখ দেখেনি।[১৬]

জানুয়ারি–মে

[সম্পাদনা]

গিলিংহ্যাম জানুয়ারি মাসে মাত্র দুটি লিগ ম্যাচ খেলে এবং উভয়টিতেই পরাজিত হয়—ওয়াটফোর্ড ও এক্সেটার সিটির বিপক্ষে।[১৬] কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র-র পর, ১৪ ফেব্রুয়ারি সুইন্ডন টাউনকে হারিয়ে অক্টোবর থেকে চলা ১৪টি লিগ ম্যাচে জয়হীন থাকার ধারা ভাঙে; জয়ে হ্যারি লি দুটি গোল করেন।[১৬][৩০]

পরবর্তী দুটি ম্যাচে গিলিংহ্যাম আবার হারে—একটি মিলওয়াল ও অন্যটি ঘরের মাঠে ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন-এর বিপক্ষে।[৩১][৩২] ফেব্রুয়ারি শেষে গিলিংহ্যাম লিগ টেবিলের একেবারে নিচে ছিল, ২১তম স্থানে থাকা নর্থ্যাম্পটনের চেয়ে পাঁচ পয়েন্ট পেছনে। ২৮ ম্যাচে গিলিংহ্যাম মাত্র ১৮টি গোল করে—পুরো বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে কম; অন্য কোনো দল ৩০টির কম গোল করেনি।[৩৩]

মার্চ শুরু হয় নিউপোর্ট কাউন্টির মাঠে ৪–০ ব্যবধানে হারের মাধ্যমে,[১৬] তবে এরপর ঘরের মাঠে শীর্ষে থাকা পোর্টসমাউথের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করে। এ ম্যাচে জ্যাক ব্র্যানফিল্ড প্রতিপক্ষের একটি পেনাল্টি কিক রক্ষা করেন।[৩৪] চ্যাথাম অবজারভার পত্রিকা আবেল লি ও স্টিল ভাইদের প্রশংসা করে, যারা পোর্টসমাউথের আক্রমণ প্রতিহত করেন, এবং শীর্ষস্থানীয় দলের অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক খেলার সমালোচনা করে।[৩৫] উইকলি ডিসপ্যাচ এটিকে "রুক্ষ খেলা" হিসেবে বর্ণনা করে এবং উল্লেখ করে, এক পর্যায়ে খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতি ঘটে।[৩৪]

পরবর্তী ম্যাচে গিলিংহ্যাম আরেক শীর্ষ দলের মুখোমুখি হয়, কার্ডিফ সিটি। মাত্র দুই মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে গিয়ে তারা ৩–০ ব্যবধানে জয়লাভ করে,[৩৬] যা ছিল মৌসুমে তাদের দ্বিতীয়বারের মতো একটি লিগ ম্যাচে তিন গোল করার ঘটনা।[১৬] এরপর দুটি হারের পর, মার্চ মাসের শেষ দিকে সাউদাম্পটনকে ২–০ গোলে হারিয়ে মাসটি শেষ করে।[১৬]

৩ এপ্রিল সাউথএন্ড ইউনাইটেডর বিপক্ষে ১–০ জয়ে ফুল-ব্যাক জক রবার্টসন ক্লাবের হয়ে অভিষেক করেন। পরবর্তী ১৩ বছর তিনি ক্লাবের হয়ে খেলেন এবং ফুটবল লিগে ৩৫০টির বেশি ম্যাচ খেলেন, যা পরবর্তী তিন দশকের জন্য ক্লাব রেকর্ড হয়ে থাকে।[৩৭]

১০ ও ১৭ এপ্রিল যথাক্রমে নরউইচ সিটিব্রেন্টফোর্ডকে হারিয়ে টানা দুটি জয় পায়—যা গত সেপ্টেম্বরের পর প্রথমবারের মতো ঘটে।[১৬][৩৮][৩৯]

পরবর্তী ম্যাচে সোয়ানসি টাউনর বিপক্ষে স্টিল ভাইরা দলে অনুপস্থিত ছিলেন; এ ম্যাচে গিলিংহ্যাম পুরো দ্বিতীয়ার্ধ ১০ জন নিয়ে খেললেও, সোয়ানসি ১–০ গোলে জয় পায়।[৪০]

মার্থার টাউনর বিপক্ষে ঘরের মাঠের পরবর্তী ম্যাচে আরও পরিবর্তন আনা হয়: হাফ-ব্যাক জোসেফ গ্রিফিথস অভিষেক করেন এবং জানুয়ারির পর প্রথমবারের মতো লেন র‍্যামসেল আর্থার উড-এর পরিবর্তে খেলেন। প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ার পর গিলিংহ্যাম তিনটি গোল করে ম্যাচ জেতে; ওয়েস্টার্ন মেইল জানায়, মার্থারকে "খুব সহজেই হারানো হয়েছিল"।[১৬][৪১][৪২]

মৌসুমের শেষ ম্যাচে গিলিংহ্যাম ব্রিস্টল রোভার্সর বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২–২ গোলে ড্র করে।[৪৩] গিলিংহ্যাম লিগ টেবিলের সর্বশেষ স্থানে মৌসুম শেষ করে। যদিও তাদের রক্ষণভাগ সবচেয়ে খারাপ ছিল না, তবে তারা পুরো মৌসুমে মাত্র ৩৪টি গোল করে—যা অন্য যেকোনো দলের তুলনায় কমপক্ষে ১০টি কম।[] মৌসুমজুড়ে এত খেলোয়াড় পরিবর্তন হয়েছিল যে কেবল লেসলিমাহন ছিলেন প্রথম এবং শেষ ম্যাচ—উভয়টিতে খেলা একমাত্র খেলোয়াড়।[১৬]

লীগ ম্যাচের বিবরণ

[সম্পাদনা]
চাবিকাঠি
ফলাফলসমূহ[১৬]
তারিখ প্রতিপক্ষ ফলাফল গোলদাতা উপস্থিতি
৩০ আগস্ট ১৯১৯ ওয়াটফোর্ড (H) ০–০ ৭,০০০
১ সেপ্টেম্বর ১৯১৯ লুটন টাউন (A) ০–২ ৪,০০০
৬ সেপ্টেম্বর ১৯১৯ সোয়ানসি টাউন (A) ১–০ স্যাভেজ ২,৩০৪
১০ সেপ্টেম্বর ১৯১৯ লুটন টাউন (H) ২–০ আর্থার উড (২, ১ pen.) তথ্য নেই
১৩ সেপ্টেম্বর ১৯১৯ এক্সেটার সিটি (H) ০–০ ৭,৮০৮
১৭ সেপ্টেম্বর ১৯১৯ সাউথএন্ড ইউনাইটেড (H) ০–১ ৬,০০০
২০ সেপ্টেম্বর ১৯১৯ কার্ডিফ সিটি (A) ০–৫ ১০,০০০
২৭ সেপ্টেম্বর ১৯১৯ কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্স (H) ০–১ ৭,৪৩২
৪ অক্টোবর ১৯১৯ সুইন্ডন টাউন (A) ২–৫ ডেভিড চ্যালমার্স, আর্থার উড (pen.) ৫,০০০
৬ অক্টোবর ১৯১৯ প্লাইমাউথ আর্গাইল (H) ০–২ ২,৫০০
১১ অক্টোবর ১৯১৯ মিলওয়াল (H) ২–০ আর্থার উড (২) ৭,০০০
১৮ অক্টোবর ১৯১৯ ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন (A) ০–৩ ৮,০০০
২৫ অক্টোবর ১৯১৯ নিউপোর্ট কাউন্টি (H) ১–৩ জন ৮,০০০
১ নভেম্বর ১৯১৯ পোর্টসমাউথ (A) ০–৪ ১০,০০০
৮ নভেম্বর ১৯১৯ নর্থ্যাম্পটন টাউন (H) ০–০ ৭,০০০
১৫ নভেম্বর ১৯১৯ ক্রিস্টাল প্যালেস (A) ১–৪ রেডপাথ তথ্য নেই
২৯ নভেম্বর ১৯১৯ নরউইচ সিটি (A) ০–৫ ৬,০০০
৬ ডিসেম্বর ১৯১৯ ব্রেন্টফোর্ড (H) ০–২ ৭,০০০
১৩ ডিসেম্বর ১৯১৯ মার্থার টাউন (A) ০–৪ তথ্য নেই
২৫ ডিসেম্বর ১৯১৯ রিডিং (H) ১–২ বি. রিড ৮,০০০
২৬ ডিসেম্বর ১৯১৯ রিডিং (A) ০–৩ ১০,০০০
২৭ ডিসেম্বর ১৯১৯ ব্রিস্টল রোভার্স (A) ১–১ ববি স্টিল ১৪,০০০
৩ জানুয়ারি ১৯২০ ওয়াটফোর্ড (A) ১–২ ডোনাল্ড ম্যাককরমিক ৪,০০০
২৪ জানুয়ারি ১৯২০ এক্সেটার সিটি (A) ১–২ স্যাভেজ ৬,০০০
৭ ফেব্রুয়ারি ১৯২০ কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্স (A) ০–০ ১০,০০০
১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯২০ সুইন্ডন টাউন (H) ৩–১ হ্যারি লি (২), ববি স্টিল ১০,০০০
২১ ফেব্রুয়ারি ১৯২০ মিলওয়াল (A) ০–১ ১২,০০০
২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯২০ ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন (H) ২–৩ আর্থার উড (২) ১০,০০০
৬ মার্চ ১৯২০ নিউপোর্ট কাউন্টি (A) ০–৪ তথ্য নেই
১৩ মার্চ ১৯২০ পোর্টসমাউথ (H) ০–০ ৭,৭৮৩
১৭ মার্চ ১৯২০ কার্ডিফ সিটি (H) ৩–০ হ্যারি লি, বি. রিড, স্যাভেজ ৬,০০০
২০ মার্চ ১৯২০ নর্থ্যাম্পটন টাউন (A) ০–১ ৭,০০০
২৭ মার্চ ১৯২০ ক্রিস্টাল প্যালেস (H) ২–৪ বি. রিড, আর্থার উড (pen.) ৭,০০০
২ এপ্রিল ১৯২০ সাউদাম্পটন (H) ২–০ আর্থার উড, কেলি ৮,৭৯৪
৩ এপ্রিল ১৯২০ সাউথএন্ড ইউনাইটেড (A) ১–০ আর্থার উড ৭,০০০
৫ এপ্রিল ১৯২০ সাউদাম্পটন (A) ০–২ ১২,০০০
১০ এপ্রিল ১৯২০ নরউইচ সিটি (H) ১–০ আর্থার উড ৬,০০০
১৭ এপ্রিল ১৯২০ ব্রেন্টফোর্ড (A) ২–১ হ্যারি লি, আর্থার উড ৮,০০০
১৯ এপ্রিল ১৯২০ সোয়ানসি টাউন (H) ০–১ ২,০০০
২৪ এপ্রিল ১৯২০ মার্থার টাউন (H) ৩–১ ববি স্টিল, আবেল লি (pen.), জোসেফ গ্রিফিথস ৭,০০০
২৬ এপ্রিল ১৯২০ প্লাইমাউথ আর্গাইল (A) ০–২ ৯,০০০
১ মে ১৯২০ ব্রিস্টল রোভার্স (H) ২–২ বি. রিড, জ্যাক মাহন (pen.) ৬,০০০

আংশিক লিগ টেবিল

[সম্পাদনা]
সাউদার্ন লিগ ডিভিশন ওয়ান, চূড়ান্ত অবস্থান (নিচের দলসমূহ)
অব দল ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো গোগ পয়েন্ট
১৯ নর্থ্যাম্পটন টাউন ১২ ২১ ৬৪ ১০৩
২০ লুটন টাউন ১০ ১০ ২২ ৫১ ৭৬
২১ মার্থার টাউন ১১ ২২ ৪৭ ৭৮
২২ গিলিংহ্যাম ১০ ২৫ ৩৪ ৭৪

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Bradley ও Triggs 1994, পৃ. 392।
  2. Mitchell, Reeves এবং Tyler 2013, পৃ. 140।
  3. 1 2 3 "England Southern League Final Tables"Rec.Sport.Soccer Statistics Foundation। ২৪ জুলাই ২০০৫। ২৭ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২৩
  4. Brown 2003, পৃ. 32।
  5. "Football Leagues and amalgamation"Liverpool Post and Mercury। ১৪ জানুয়ারি ১৯১৯। পৃ. । সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  6. Elligate 2009, পৃ. 117।
  7. Bradley ও Triggs 1994, পৃ. 62।
  8. Elligate 2009, পৃ. 196।
  9. Joyce 2004, পৃ. 20।
  10. Joyce 2004, পৃ. 55।
  11. Riddoch ও Kemp 2010, পৃ. 50।
  12. Triggs 1999, পৃ. 27।
  13. Conway 1980, পৃ. 20।
  14. 1 2 "Points for London Teams"The Daily Telegraph। ১ সেপ্টেম্বর ১৯১৯। পৃ. ১২। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০২৩ Newspapers.com এর মাধ্যমে।
  15. Brown 2003, পৃ. 32, 33।
  16. 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 Brown 2003, পৃ. 33।
  17. "Swansea's Defeat"Western Mail। ৮ সেপ্টেম্বর ১৯১৯। পৃ. । সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০২৩ Newspapers.com এর মাধ্যমে।
  18. "Exeter Rob Reading of Both Points"Western Morning News। ১১ সেপ্টেম্বর ১৯১৯। পৃ. । সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০২৩ Newspapers.com এর মাধ্যমে।
  19. "Cardiff's Five Goals"Western Mail। ২২ সেপ্টেম্বর ১৯১৯। পৃ. । সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০২৩ Newspapers.com এর মাধ্যমে।
  20. "Lions Lose in Kent"Daily Herald। ১৩ অক্টোবর ১৯১৯। পৃ. । সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০২৩ Newspapers.com এর মাধ্যমে।
  21. Brown 2003, পৃ. 33, 128।
  22. "Southern League"Sunday Mercury। ১৬ নভেম্বর ১৯১৯। পৃ. ১০। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০২৩ Newspapers.com এর মাধ্যমে।
  23. "Southern League"Sunday Mercury। ৩০ নভেম্বর ১৯১৯। পৃ. । সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০২৩ Newspapers.com এর মাধ্যমে।
  24. Joyce 2004, পৃ. 162, 248।
  25. Joyce 2004, পৃ. 248।
  26. "Southern League"Sunday Mercury। ৭ ডিসেম্বর ১৯১৯। পৃ. ১২। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০২৩ Newspapers.com এর মাধ্যমে।
  27. "Merthyr's Four Goals"Western Mail। ১৫ ডিসেম্বর ১৯১৯। পৃ. । সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০২৩ Newspapers.com এর মাধ্যমে।
  28. Brown 2003, পৃ. 32–33।
  29. "Poor Game at Eastville"Western Daily Press। ১৯ ডিসেম্বর ১৯১৯। পৃ. । সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০২৩ Newspapers.com এর মাধ্যমে।
  30. "Gillingham 3, Swindon 1"Daily Herald। ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯২০। পৃ. । সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০২৩ Newspapers.com এর মাধ্যমে।
  31. "Southern League: No Home Team Defeated"The Weekly Dispatch। ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯২০। পৃ. ১০। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০২৩ Newspapers.com এর মাধ্যমে।
  32. "Southern League: Heavy Scoring at Cardiff"The Weekly Dispatch। ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯২০। পৃ. ১০। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০২৩ Newspapers.com এর মাধ্যমে।
  33. "Southern League"Sunday Pictorial। ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯২০। পৃ. ১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০২৩ Newspapers.com এর মাধ্যমে।
  34. 1 2 "Southern League: Watford's Extraordinary Recovery"The Weekly Dispatch। ১৪ মার্চ ১৯২০। পৃ. ১০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২৩ Newspapers.com এর মাধ্যমে।
  35. Triggs 1999, পৃ. 28।
  36. "Gillingham, 3; Cardiff C., 0"Daily Herald। ১৮ মার্চ ১৯২০। পৃ. । সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০২৩ Newspapers.com এর মাধ্যমে।
  37. Triggs 2001, পৃ. 26, 351।
  38. "Gillingham 1, Norwich C. 0"Daily Herald। ১২ এপ্রিল ১৯২০। পৃ. । সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০২৩ Newspapers.com এর মাধ্যমে।
  39. "Brentford Beaten at Home"Daily Herald। ১৯ এপ্রিল ১৯২০। পৃ. । সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০২৩ Newspapers.com এর মাধ্যমে।
  40. "Swansea Back's Injury"Western Mail। ২০ এপ্রিল ১৯২০। পৃ. । সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০২৩ Newspapers.com এর মাধ্যমে।
  41. "Southern League"Sunday Mercury। ২৫ এপ্রিল ১৯২০। পৃ. ১০। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০২৩ Newspapers.com এর মাধ্যমে।
  42. "Merthyr's Poor Season"Western Mail। ২৬ এপ্রিল ১৯২০। পৃ. । সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০২৩ Newspapers.com এর মাধ্যমে।
  43. "Rovers at Gillingham"Bristol Times and Mirror। ৩ মে ১৯২০। পৃ. । সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০২৩ Newspapers.com এর মাধ্যমে।