বিষয়বস্তুতে চলুন

২০২২ সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
২০২২ সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ
বিবরণ
স্বাগতিক দেশশ্রীলঙ্কা[]
শহরকলম্বো
তারিখ৫–১৪ সেপ্টেম্বর
দল (১টি কনফেডারেশন থেকে)
মাঠ
চূড়ান্ত অবস্থান
চ্যাম্পিয়ন ভারত (৪র্থ শিরোপা)
রানার-আপ   নেপাল
পরিসংখ্যান
ম্যাচ
গোল সংখ্যা৩৫ (ম্যাচ প্রতি ৩.৮৯টি)
শীর্ষ গোলদাতাভারত থাংলাসোঁ গাংতে
বাংলাদেশ মিরাজুল ইসলাম
নেপাল উনেশ বুধাথোকি
(৪টি করে গোল)

২০২২ সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ ছিল সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপের ৭ম সংস্করণ আসর, দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সাফ) দ্বারা আয়োজিত পুরুষদের অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় দলের জন্য একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা। টুর্নামেন্টটি ২০২২ সালের ৫ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ অঞ্চলের ৬টি দল অংশ করেছিল।[]

ভারত ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। তারা ৩১ আগস্ট ২০১৯-এ নেপালকে ৭–০ গোলে হারিয়ে আগের মৌসুমের শিরোপা জিতেছে।[]

অংশগ্রহণকারী দলসমূহ

[সম্পাদনা]

ফিফা ৭ এপ্রিল ২০২১ তারিখে পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল,[] কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলেও প্রস্তুত হতে দেরি হয়ে যাওয়ায় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নিতে পারেনি।[]

দলঅংশগ্রহণটুর্নামেন্টে সেরা সাফল্য
 ভারত ৭ম বিজয়ী (২০১৩, ২০১৭, ২০১৯)
 বাংলাদেশ ৭ম বিজয়ী (২০১৫, ২০১৮)
   নেপাল ৭ম রানার্স-আপ (২০১৩, ২০১৭, ২০১৯)
 ভুটান ৫ম চতুর্থ স্থান
 শ্রীলঙ্কা ৬ষ্ঠ গ্রুপ পর্ব
 মালদ্বীপ ৫ম গ্রুপ পর্ব

ভেন্যু

[সম্পাদনা]

সবগুলো ম্যাচ শ্রীলঙ্কার কলম্বোর রেসকোর্স মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

কলম্বো
রেসকোর্স মাঠ
ধারণক্ষমতা: ১০,০০০

কর্মকর্তারা

[সম্পাদনা]

গ্রুপ পর্বের জন্য ড্র

[সম্পাদনা]

স্বাগতিক দেশ ঘোষণা করা হলে, এটি পট ১ এর প্রথম অবস্থানে থাকবে এবং মালদ্বীপকে পট ৩ এ স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।

পাত্র ১ পাত্র ২ পাত্র ৩
 শ্রীলঙ্কা (স্বাগতিক)
 ভারত
   নেপাল
 বাংলাদেশ
 ভুটান
 মালদ্বীপ
উৎস: সাফ

খেলোয়াড়দের যোগ্যতা

[সম্পাদনা]

২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পরে জন্মগ্রহণকারী খেলোয়াড়রা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। প্রতিটি দলকে সর্বনিম্ন ১৬ জন খেলোয়াড় এবং সর্বোচ্চ ২৩ জন খেলোয়াড়ের একটি দল নিবন্ধন করতে হবে, যাদের মধ্যে কমপক্ষে ২ জন গোলরক্ষক হতে হবে।

গ্রুপ পর্ব

[সম্পাদনা]
গ্রুপ টেবিলে রঙের চাবিকাঠি
গ্রুপ বিজয়ী ও রানার্স আপ ফাইনালে অগ্রসর হবে

টাইব্রেকার

[সম্পাদনা]

প্রত্যেক দলের পয়েন্টের ওপর ভিত্তি করে দলের অবস্থান নির্ণয় করা হয় (জয়ের জন্য ৩ পয়েন্ট, ড্রয়ের জন্য ১ পয়েন্ট, হারের জন্য ০ পয়েন্ট), এবং যদি পয়েন্টের সমতা হয় তবে গ্রুপ পর্বের সবগুলো খেলা শেষে নিম্নে বর্ণিত মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে শীর্ষ দুই দল নির্ণয় করা হবে:

  1. যেসকল দলের পয়েন্ট সমান, তাদের ম্যাচে পয়েন্ট;
  2. যেসকল দলের পয়েন্ট সমান, তাদের গোল পার্থক্য;
  3. যেসকল দলের পয়েন্ট সমান, তাদের গোল সংখ্যা;
  4. যেসকল দলের পয়েন্ট সমান, তাদের হেড-টু-হেড গোল পার্থক্য;
  5. যেসকল দলের পয়েন্ট সমান, তাদের হেড-টু-হেড গোল সংখ্যা;
  6. যেসকল দলের পয়েন্ট সমান এবং তারা যদি সর্বশেষ ম্যাচে একে অপরের মুখোমুখি হয়, তবে তাদের মধ্যে পেনাল্টি শুট-আউট;
  7. গ্রুপ পর্বের সকল ম্যাচে সর্বনিম্ন শাস্তিমূলক পয়েন্ট (একটি নির্দিষ্ট ম্যাচে একজন খেলোয়াড়ের জন্য শুধুমাত্র একটি নিয়ম প্রয়োগ করা হবে):
    1. হলুদ কার্ড = −১ পয়েন্ট;
    2. এক ম্যাচে দুটি হলুদ কার্ডের জন্য বহিষ্কার = −৩ পয়েন্ট;
    3. লাল কার্ড = −৩ পয়েন্ট;
    4. হলুদ কার্ডের পর সরাসরি লাল কার্ড = −৪ পয়েন্ট;
  8. লটারি।

গ্রুপ এ

[সম্পাদনা]
অব দল ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো গোপা পয়েন্ট যোগ্যতা অর্জন
 বাংলাদেশ ১০ +৯ নকআউট পর্বে অগ্রসর
 শ্রীলঙ্কা (H)
 মালদ্বীপ
উৎস: জিএসএ
(H) স্বাগতিক।

বাংলাদেশ ৫–১ শ্রীলঙ্কা
রুবেল গোল ৭'
মোরশেদ গোল ১০', ৭৫'
রানা গোল ৭৯'
নাজিম উদ্দিন গোল ৯০+২'
প্রতিবেদন ইয়াসির গোল ৭৭'
দর্শক সংখ্যা: ৫৫৬
রেফারি: কাবিন বিয়ানজঙ্কার (নেপাল)

মালদ্বীপ ০–৫ বাংলাদেশ
প্রতিবেদন ফয়সাল গোল ৫'
মোরশেদ গোল ৩৮'
মিরাজুল গোল ৭৪', ৭৭', ৯০+৭'
দর্শক সংখ্যা: ২০৬
রেফারি: পেমা শেওয়াং (ভুটান)


গ্রুপ বি

[সম্পাদনা]
অব দল ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো গোপা পয়েন্ট যোগ্যতা অর্জন
   নেপাল +৩ নকআউট পর্বে অগ্রসর
 ভারত +১
 ভুটান
উৎস: জিএসএ

ভুটান ০–৩ ভারত
প্রতিবেদন গাংতে গোল ৯', ১৫'
ভ্যানলালপেকা গোল ৪৭'
দর্শক সংখ্যা: ৩০২
রেফারি: আথাম্বাওয়া মোহাম্মদ জাফরান (শ্রীলঙ্কা)

নেপাল   ২−১ ভুটান
বুদাথোকি গোল ১৩'
এস থাপা গোল ৫৭'
প্রতিবেদন জে. দর্জি গোল ৬৮'
দর্শক সংখ্যা: ৩৪৬
রেফারি: আব্দুল্লাহ শাথির (মালদ্বীপ)


নকআউট পর্ব

[সম্পাদনা]

বন্ধনী

[সম্পাদনা]
 
সেমি-ফাইনালফাইনাল
 
      
 
১২ সেপ্টেম্বর – কলম্বো
 
 
 বাংলাদেশ
 
১৪ সেপ্টেম্বর–কলম্বো
 
 ভারত
 
 ভারত
 
১২ সেপ্টেম্বর – কলম্বো
 
   নেপাল
 
   নেপাল
 
 
 শ্রীলঙ্কা
 

সেমি-ফাইনাল

[সম্পাদনা]
বাংলাদেশ  ভারত
মিরাজুল গোল ৬১' (পে.) প্রতিবেদন গাংতে গোল ৫০', ৫৮'
রেফারি: কাবিন বিয়ানজঙ্কার (নেপাল)
নেপাল    শ্রীলঙ্কা
লক্ষ্মণ গোল ২২'
বুধাথোকি গোল ২৩', ৫১'
সুভাষ গোল ৩০'
কারকি গোল ৩৮'
রাই গোল ৯০'
প্রতিবেদন

ফাইনাল

[সম্পাদনা]
ভারত    নেপাল
ববি গোল ১৮'
কোরু গোল ৩০'
গুইট গোল ৬৩'
আমান গোল ৯০+৪'
প্রতিবেদন
রেফারি: আলমগীর সরকার (বাংলাদেশ)

বিজয়ী

[সম্পাদনা]
 ৭ম সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২ 

ভারত
চতুর্থ শিরোপা

গোলদাতা

[সম্পাদনা]

এই প্রতিযোগিতায় ৯টি ম্যাচে ৩৫টি গোল হয়েছে, যা ম্যাচ প্রতি গড়ে ৩.৮৯টি গোল।

৪টি গোল
৩টি গোল
২টি গোল
১টি গোল

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Sri Lanka to host SAFF U17 Championship"ThePapare.com (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। ৩ আগস্ট ২০২২। ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  2. "All you need to know about the 2021 SAFF calendar"। Goal.com। ১৭ এপ্রিল ২০২১। ১৭ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০২১
  3. "With 28 goals in 5 games, India lift SAFF U-15 Title"saffederation.org। AIFF। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০২১
  4. "FIFA suspends Chad and Pakistan football associations"। ৭ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০২১
  5. "Draw ceremony for SAFF Women's Championship and SAFF U17 Championship held"। ২৮ আগস্ট ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০২২