তাজিংডং
| তাজিংডং | |
|---|---|
| বিজয় লুংফে তং | |
তাজিংডং | |
| সর্বোচ্চ বিন্দু | |
| উচ্চতা | ২,৮৭১ ফুট (৮৭৫ মিটার)[ক] সরকারিভাবে স্বীকৃত উচ্চতা ৪,২০০ ফুট (১,৩০০ মিটার)[১][৪] (বিস্তারিত) |
| সুপ্রত্যক্ষতা | ৩৬৪ ফুট (১১১ মিটার) |
| তালিকাভুক্তি | বাংলাদেশের পর্বতের তালিকা দেশ অনুযায়ী সর্বোচ্চ স্থানের তালিকা |
| স্থানাঙ্ক | ২১°৪৯′১৬″ উত্তর ৯২°৩২′১১″ পূর্ব / ২১.৮২১২১৯° উত্তর ৯২.৫৩৬৫২২° পূর্ব[১] |
| ভূগোল | |
| অবস্থান | শেরকরপাড়া, ৯ নং ওয়ার্ড, থানচি সদর ইউনিয়ন |
| দেশ | |
| বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
| জেলা | বান্দরবান জেলা |
| উপজেলা | থানচি উপজেলা |
| পর্বতশ্রেণী | সাইচল, পার্বত্য চট্টগ্রাম |
| ভূতত্ত্ব | |
| পর্বতের ধরন | পর্বত |
তাজিংডং বা বিজয় হলো বাংলাদেশের সরকারিভাবে স্বীকৃত সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ[৪][৫][৬] এবং একটি পর্যটনস্থল।[৭] মার্কিন ও সোভিয়েত সামরিক মানচিত্রে তাজিংডং পর্বতকে লুংফে তং বলা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলায় সাইচল পর্বতসারিতে অবস্থিত। সরকারি হিসাবে তাজিংডং পর্বতের উচ্চতা ১,২৮০ মিটার (৪,২০০ ফুট) হলেও এর প্রকৃত উচ্চতা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। বর্তমানে বেসরকারিভাবে সাকা হাফংকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ দাবি করা হয়। তবে এটি এখনও সরকারিভাবে স্বীকৃত নয়।[৮][৯] বাংলাদেশে পর্যটন ও ট্রেকিংয়ের জন্য তাজিংডং একটি জনপ্রিয় স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়।[১০] মূলত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির পরে তাজিংডংয়ে পর্যটক ও পর্বতারোহীদের যাতায়াত বৃদ্ধি পেতে থাকে।[১১] তবে পর্যাপ্ত ও টেকসই পর্যটন পরিকল্পনার অভাব এবং মানবসৃষ্ট কারণে এই পাহাড়ের প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।[১২] বর্তমানে যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হলেও, জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম সংঘাতের কারণে বিদ্যমান বিধিনিষেধ তাজিংডংয়ের পর্যটনকে প্রভাবিত করছে।
ভৌগোলিক অবস্থান
[সম্পাদনা]তাজিংডং বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার সদর ইউনিয়নে সাইচল পর্বতসারিতে অবস্থিত।[৪][১৩][১৪][খ] এটি বান্দরবান সদর থেকে ৫০ কিলোমিটার, রুমা উপজেলা সদর থেকে ৩৪ কিলোমিটার[১৫] এবং থানচি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।[৫][১৪] তাজিংডং পর্বতের পাদদেশে সিমপ্লাংপি, সিমত্লাংপি বা সিম্পলম্পি পাড়া নামে একটি গ্রাম রয়েছে।[৫][১৪] এর পার্শ্ববর্তী শেরকরপাড়াকে অনেক সময় "তাজিংডংয়ের বেসক্যাম্প" নামে আখ্যায়িত করা হয়।[৬][১৬] এই দিকে বোডিংপাড়া ও শেরকরপাড়া হয়ে যোগী হাফং,[১৭] সাকা হাফংসহ বাংলাদেশের উচ্চতম কয়েকটি পর্বতশৃঙ্গে পৌঁছানো যায়।[১৮][১৯] থানচি থেকে রেমাক্রী যাওয়ার জন্য শেরকরপাড়া থেকে তাজিংডংয়ের পাদদেশের সিমপ্লাংপি পাড়া হয়ে যাত্রা করতে হয়।[২০] সীমান্ত সড়ক নির্মাণের ফলে সিমপ্লাংপি পাড়া থেকে সাকা হাফং পর্যন্ত সরাসরি গাড়িতে করে পৌঁছানো সম্ভব।[২১]
তাজিংডংয়ের আশেপাশের গ্রামগুলোতে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।[২২] বুদ্ধজ্যোতি চাকমার মতে, বান্দরবানের তাজিংডং, কেওক্রাডং ও সিপ্পি পাহাড়ে বম, ম্রো বা মুরং, লুসাই, পাংখোয়া ও খুমিদের বসবাস রয়েছে।[২৩] এছাড়া তাজিংডংয়ের নিকটবর্তী শেরকরপাড়ায় বম[৬][২৪] ও ত্রিপুরা,[২৫] সিমপ্লাংপি পাড়ায় বম ও মুরং,[২৫] প্রাতাপাড়ায় বম,[১৪] দোতংপাড়ায় ত্রিপুরা[১৭] এবং বোডিংপাড়ায় মুরং জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।[৬][১৮][২৬] ২০০৮ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তৎকালীন প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদ তাজিংডং পাহাড়ের আশেপাশের গ্রামগুলো পরিদর্শন করেছিলেন।[২৭]
নামকরণ
[সম্পাদনা]
স্থানীয় অধিবাসীদের ভাষায় "তাজিং" শব্দের অর্থ বড় বা সর্বোচ্চ[২৮] আর "ডং" শব্দের অর্থ পাহাড়। এই দুইটি শব্দ থেকে তাজিংডং পর্বতের নামকরণ করা হয়েছে, যার অর্থ "বড় পাহাড়" বা "সর্বোচ্চ পর্বত"।[২৮] আবার কাওসার চৌধুরীর মতে, স্থানীয় মারমাদের ভাষায় "তাজিং" শব্দের অর্থ হলো গাঢ় সবুজ এবং "ডং" শব্দের অর্থ হলো পাহাড়চূড়া বা পর্বতশৃঙ্গ।[২৯] ফলে "তাজিংডং", "তজিংডং" বা "ত-জিং-টং" শব্দের অর্থ দাঁড়ায় "গাঢ় সবুজ শৃঙ্গ"[২৯] বা "সবুজ পাহাড়"।[১২] মারমা লেখক ঞ্যোহ্লা মংয়ের মতে, এই নামের অর্থ "গহীন অরণ্যের পাহাড়"।[৩০][৩১][৩২] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সামরিক ভূসংস্থানিক মানচিত্রে তাজিংডংকে "লুংফে তং" বা "লাংফি তং"[৩৩] বলা হয়েছে।[২][৩] তাজিংডংকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন জোট সরকার এর নামকরণ করে "বিজয়"।[১১][২০][৩০][৩১] সেই সময়ে সরকারিভাবে "বিজয়" নামটিকে জনপ্রিয়করণের চেষ্টা করা হয়।[৩৪] তবে, পার্বত্য অঞ্চলের একটি পাহাড়ের নামের বাংলাকরণের এই প্রচেষ্টাকে সেখানকার অধিবাসীরা ভালোভাবে নেননি[৩০] এবং অনেকে একে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর আত্মপরিচয়ের পরিপন্থী[৩৪][৩৫] ও ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক মানসিকতার সমার্থক বলে মনে করেন।[৩১]
উচ্চতা পরিমাপ ও ইতিহাস
[সম্পাদনা]মার্কিন ও সোভিয়েত ভূসংস্থানিক মানচিত্রে "লুংফে তং" (ইংরেজি: Lungphe Taung; রুশ: Лунгпхе Таунг) নামে তাজিংডং পর্বতের অস্তিত্ব আগে থেকেই বিদ্যমান ছিল। তন্মধ্যে মার্কিন ভূসংস্থানিক মানচিত্রটি ১৯৩৮ সালের ব্রিটিশ ভারত এবং ১৯৪৮ সালের পাকিস্তান আমলের দুইটি মানচিত্রের উপর ভিত্তি করে ১৯৫৪ সালে তৈরি করা হয়েছিল।[৩৬][৩৭] ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি করার পর বাংলাদেশ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলে ভৌগোলিক জরিপ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। এরই অংশ হিসেবে ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তর ফটোগ্রামেট্রিক পদ্ধতিতে জরিপ করে তাজিংডং পর্বতকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বত হিসেবে ঘোষণা করে।[১১] সরকারি জরিপে তাজিংডংয়ের উচ্চতা পরিমাপ করা হয়েছিল ১,২৮০ মিটার (৪,২০০ ফুট)।[৩৮] এর পূর্ব পর্যন্ত কেওক্রাডং বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বত হিসেবে স্বীকৃত ছিল।[১১]
বিভিন্ন বর্ণনায় তাজিংডংয়ে পাশাপাশি তিনটি চূড়ার অস্তিত্ব রয়েছে বলে জানা যায়। এগুলো হলো, যথাক্রমে: সাউথ, নর্থ ও সেন্ট্রাল পিক। এর মধ্যে নর্থ পিক সবচেয়ে উঁচু।[৬][২০][৩৯] নর্থ পিকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া হিসেবে একটি ক্রস চিহ্ন দিয়ে চিহ্নিত করা আছে।[২০][৪০] এছাড়া কোনো কোনো বর্ণনায় সেন্ট্রাল পিক বা "জিনের চূড়া"-কে সর্বোচ্চ চূড়া হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।[৪১] এছাড়াও কোনো কোনো বর্ণনায় তাজিংডংয়ের চারটি চূড়ার উল্লেখ পাওয়া যায়। এর মধ্যে প্রথম চূড়াটি বা সাউথ পিক স্থানীয় বম জনগোষ্ঠীর ভাষায় "চিনচিরময় ত্লাং" নামে পরিচিত। গুগল আর্থ ও জিপিএস পদ্ধতিতে এর উচ্চতা প্রায় ২,৬৪৭ ফুট (৮০৭ মিটার)। তাজিংডংয়ের মাঝের চূড়াটিকেই মূলত বিভিন্ন ভূসংস্থানিক মানচিত্রে "লুংফে তং" নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। গুগল আর্থ থেকে প্রাপ্ত উপাত্ত অনুসারে এর উচ্চতা ২,৭৩৭ ফুট (৮৩৪ মিটার)। গুগল আর্থের উপাত্ত অনুসারে তাজিংডংয়ের সর্বোচ্চ চূড়ার উচ্চতা ২,৮৭১ ফুট (৮৭৫ মিটার)।[১] এছাড়া একই পদ্ধতিতে সিমত্লাংপি পাড়ার নিকটবর্তী অপর আরেকটি চূড়ার উচ্চতা প্রায় ২,৭৭৭ ফুট (৮৪৬ মিটার) পরিমাপ করা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি করার পর থেকেই এই অঞ্চলে পর্বতারোহীদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেতে থাকে।[১১] তখন থেকে ২০০৩–০৪ সাল নাগাদ অনেক পর্বতারোহী এবং সংগঠন এই অঞ্চলের বিভিন্ন পাহাড় ও ঝর্নার অবস্থান এবং উচ্চতা পরিমাপ করে রেকর্ড করতে থাকেন। এর ফলে তাদের কাছে ক্রমশ প্রতীয়মান হয় যে, তাজিংডং কোনোভাবেই কেওক্রাডংয়ের চেয়ে উঁচু নয়[১১] এবং বাংলাদেশে ৩,৬০০ ফুট (১,১০০ মিটার)-এর অধিক উচ্চতার পর্বত থাকা সম্ভব নয়।[৪২] বাংলাট্রেক অনুসারে, জিপিএস পদ্ধতিতে তাজিংডংয়ের উচ্চতা পরিমাপ করা হয়েছিল ৮২৯.৬ মিটার (২,৭২২ ফুট)।[৩৮] নেচার অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের পরিমাপ অনুসারে তাজিংডংয়ের উচ্চতা ৮৩০ মিটার (২,৭২৩ ফুট)।[৪৩][৪৪] রুশ ভূসংস্থানিক মানচিত্র ও এসআরটিএম থেকে প্রাপ্ত তথ্যেও তাজিংডংয়ের উচ্চতা ৩,৩০০ ফুট (১,০০০ মিটার)-এর বেশি নয় বলে জানা যায়।[২৮] ১৯৫৪ সালের মার্কিন ও ১৯৫৯ সালের সোভিয়েত সামরিক মানচিত্রে উল্লিখিত লুংফে তংয়ের উচ্চতা ২,৭৩৭ ফুট (৮৩৪ মিটার),[৪৫] যা জিপিএস পদ্ধতিতে পরিমাপকৃত উচ্চতার প্রায় সমান। ২০০০ সালে মার্কিন ভূতত্ত্ব জরিপ ও জাতীয় মহাকাশ সংস্থা নাসা জাপান ও জার্মানির সাথে মিলে যৌথভাবে স্পেস শাটল এনডেভার-এর সাথে সংযুক্ত বিশেষ রাডারের মাধ্যমে একটি ভূতত্ত্ব জরিপ পরিচালনা করে, যা শাটল রাডার টপোগ্রাফি মিশন (এসআরটিএম) নামে পরিচিত। ৩০ মিটার সূক্ষ্মতাবিশিষ্ট এসআরটিএম থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তাজিংডংয়ের উচ্চতা ছিল ২,৭৯২ ফুট (৮৫১ মিটার)।[৪৬] চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাইদুর রহমান চৌধুরীর মতে, এসআরটিএম থেকে প্রাপ্ত উপাত্ত অনুসারে সাকা হাফং বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এবং এই তালিকায় তাজিংডংয়ের অবস্থান ২৬তম।[৩৬] আবার অন্যদিকে, তাজিংডং পর্বতের প্রকৃত উচ্চতা ৭৮৯–৭৯০ মিটার (২,৫৮৯–২,৫৯২ ফুট) বলেও কেউ কেউ মনে করেন।[২৪][৪৭] এছাড়া পূর্বে বাংলাদেশের সরকারি পাঠ্যপুস্তকে তাজিংডংয়ের উচ্চতা ১,২৩১ মিটার (৪,০৩৯ ফুট) বলে উল্লেখ করা হতো।[৪৮] তবে সাম্প্রতিক পাঠ্যসূচিতে এই তথ্য সংশোধন করে সরকারিভাবে স্বীকৃত ১,২৮০ মিটার (৪,২০০ ফুট) উচ্চতাকে গ্রহণ করা হয়েছে।[৪৯]
২০০০-এর দশকের শুরু থেকে বাংলাদেশের পর্বতারোহীগণ পার্বত্য চট্টগ্রামে কেওক্রাডংয়ের চেয়েও উঁচু পর্বতশৃঙ্গগুলো আবিষ্কারের উদ্দেশ্যে অভিযান পরিচালনা করতে থাকেন।[১১][৪২] ২০০১ সাল থেকেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগে সংরক্ষিত নথি থেকে মোদক অঞ্চলে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হতে থাকে।[১১] তবে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি।[১১] ২০০৬ সালে এইমন জিঞ্জ ফুলেন নামে একজন ব্রিটিশ পর্বতারোহী তার বিশ্ব রেকর্ডের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া মোদক তং বা সাকা হাফং আবিষ্কার করেন এবং তাতে আরোহণ করে এর উচ্চতা পরিমাপ করেন ১,০৬৪ মিটার (৩,৪৯১ ফুট)।[১১] এরপর থেকে সাকা হাফংকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ দাবি করা হলেও,[৩৬] সরকারিভাবে এই শৃঙ্গটি এখনও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি।[১১] ২০১০ সালে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জিপিএস পদ্ধতিতে তাজিংডং, সাকা হাফং ও কেওক্রাডং পর্বতের উচ্চতা জরিপ করার উদ্যোগ নেন।[৫০] পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার ভাষ্যমতে, দেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ নির্ধারণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দুইবার চিঠি দেওয়া হয়েছিল।[৫১] এরপর ২০২২ সালের মে মাসে বান্দরবান জেলা প্রশাসক কর্তৃক বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ পরিমাপ করে গেজেট আকারে প্রকাশ করতে সার্ভেয়ার জেনারেল অব বাংলাদেশকে চিঠি পাঠানো হয়।[৫২] এর প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তর থেকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ নির্ধারণের জন্য পুনরায় জরিপ পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।[৫৩][৫৪]
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির পরে পর্যটন ও পর্বতারোহণে বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর, স্থানীয় এবং বিদেশি পর্যটক ও পর্বতারোহীগণ পার্বত্য চট্টগ্রামে আসতে থাকেন।[১১] তবে শান্তিচুক্তির বিরোধী দলসমূহ এবং মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তৎপরতার ফলে নিরাপত্তাহীনতার কারণে ২০০৭ সাল নাগাদ তাজিংডং পাহাড়সহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন অংশে গমনাগমনে বিধিনিষেধ আরোপিত হতে থাকে।[৫৫][গ] ২০২২ সাল থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও জঙ্গিগোষ্ঠী জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীর সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়।[৫৮] মূলত রাঙ্গামাটি জেলার রাইক্ষ্যং, বান্দরবান জেলার তাজিংডং ও কেওক্রাডং পাহাড় এলাকা এবং মিয়ানমার ও ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সীমান্তবর্তী অঞ্চলসমূহে অভিযান পরিচালনা করা হয়।[৫৯] ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বান্দরবান জেলার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের নেতৃবৃন্দ তাজিংডং ও কেওক্রাডং পাহাড় এলাকায় কেএনএফের উপস্থিতি ও তৎপরতার বিষয়ে উল্লেখ করেন।[৬০][৬১] ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে তাজিংডং পাহাড় থেকে যৌথবাহিনীর একটি অভিযান পরিচালিত হয়।[৬২] এরপর ২০২৪ সালের জুন মাসে তাজিংডং পাহাড়ের সিমপ্লাংপি পাড়ায় যৌথবাহিনী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।[৬৩] অভিযানের সময়ে বন্দুকযুদ্ধে কেএনএফের এক জঙ্গি নিহত হয়, যার মৃতদেহ পরবর্তীতে তাজিংডং পাহাড় থেকে উদ্ধার করা হয়।[১৪][৬৩][৬৪] পার্বত্য চট্টগ্রামে যৌথবাহিনীর অভিযানকালীন ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে কয়েক দফায় বান্দরবান জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পর্যটন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।[৫৮] এই নিষেধাজ্ঞা সামগ্রিকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের, বিশেষ করে বান্দরবান জেলার পর্যটনকে প্রভাবিত করে।[৬৫][৬৬] তাজিংডং পাহাড়ও এই পর্যটন নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত ছিল।[৬৭]
পরিবেশ
[সম্পাদনা]সাঙ্গু সংরক্ষিত বনাঞ্চলের নিকটবর্তী হওয়ার কারণে তাজিংডংয়ে বিভিন্ন পশু-পাখির বিচরণ রয়েছে। তাজিংডংয়ের আশেপাশের বনে গয়াল দেখতে পাওয়া যায়।[৩১][৪১] একসময় এখানে বাঘ, ভালুক ও বিষধর সাপও দেখতে পাওয়া যেত বলে জানা যায়।[৬৮] বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ মনিরুল খান তার রচিত টাইগার্স ইন দ্য ম্যানগ্রোভস বইয়ে তাজিংডং পাহাড়ে ২০১১ সালে বাঘ দেখতে পাওয়ার তথ্য উল্লেখ করেছেন।[৬৯][৭০] তিনি তাজিংডং পাহাড়ে একজন শিকারির কাছে শিকার হওয়া বাঘের চর্বি পেয়েছিলেন। সেই বাঘের হাড় ও চামড়া মিয়ানমারের শিকারিরা কিনে নিয়ে গিয়েছিল বলে জানা যায়।[৭১][৭২] মনিরুল খানের ভাষ্যে, তারের মাধ্যমে একটি বিশেষ ফাঁদ ব্যবহার করে বাঘটিকে শিকার করা হয়েছিল, যেখানে আটকে বাঘটি অনাহারে মারা যায়।[৭১][৭২] পার্বত্য চট্টগ্রামের সাঙ্গু ও কাসালং সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গহীন অরণ্যে এখনও বাঘ এবং হরিণ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হয়।[৭০] এছাড়া তাজিংডং পাহাড়ে জোঁক,[৪১] মশা ও হাতি পোকাসহ বিভিন্ন পোকা-মাকড় রয়েছে, যা অনেকসময় ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর প্রভৃতি প্রাণঘাতী রোগের কারণ হয়।[৭৩] ২০০৫ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী তাজিংডং পাহাড় থেকে ফেরার পর মস্তিষ্কের ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।[৭৪]
পূর্বে বগা লেক থেকে কেওক্রাডং হয়ে তাজিংডং পাহাড়ে পৌঁছানোর ঝিরিপথটি ঘন সবুজ বনে আচ্ছাদিত ছিল। ২০০০-এর দশকের মধ্যভাগ থেকে কৃষিকাজ এবং বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যাপকভাবে বন উজাড় করা শুরু হয়।[৭৫] ২০১০ সাল নাগাদ ঝিরিপথ ঘেঁষে পাহাড়ের ঢালে বনভূমি পরিষ্কার করে তামাক চাষ শুরু করা হয়।[৭৫] তামাক চাষের ফলে ঝিরিপথের পানি দূষিত হতে থাকে, যা স্থানীয় অধিবাসীদের পানীয় জলের প্রধান উৎস।[৭৫] এই পাহাড়ে পর্যটনকে উদ্দেশ্য করে অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করা হলেও যথেষ্ট পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই পর্যটন নীতি গ্রহণ করা হয়নি।[৭৬] এছাড়া তাজিংডং পাহাড়ের মাটি কেটে ও ঝিরি থেকে বালু ও পাথর উত্তোলনের ফলেও পরিবেশ ও পানীয় জলের সংকট তৈরি হয়েছে।[৭৭] খরার মৌসুমে অনাবৃষ্টিতে নদী ও ঝিরির পানি শুকিয়ে গিয়েও এই অঞ্চলের কৃষিকাজ ও জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে।[৭৮] ২০২০-এর দশকের শেষ নাগাদ তাজিংডং পাহাড়ে বন উজাড় ও ভূমি দখল করে বেআইনিভাবে কাঠমহাল[৪১] ও ইটভাটা তৈরি করা হয়।[৭৯][৮০] ইটভাটার জন্য পাহাড় কাটার ফলে তাজিংডং পর্বত ও এর আশেপাশের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।[৮১] বাংলাদেশের আদালত ২০১৯ সালে তাজিংডংয়ের পাদদেশের ইটভাটা বন্ধ করে এর সাথে জড়িতদের শাস্তি প্রদান করে।[৭৯][৮০][৮২] এরপর ২০২২ সালে বাংলাদেশ হাইকোর্ট থেকে তিন পার্বত্য জেলার অবৈধ ইটভাটাসমূহ গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।[৮৩] এছাড়া পর্যটকদের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডকেও তাজিংডং ও অন্যান্য পর্বতকেন্দ্রিক পর্যটনস্থলে প্লাস্টিক-দূষণসহ[৪১] পরিবেশগত বিপর্যয়ের জন্য দায়ী করা হয়।[৭৬]
পর্যটন
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের পর্বতকেন্দ্রিক পর্যটন খুব দ্রুত বিকশিত হয়েছে।[১২][৮৪] তাজিংডং পর্বতকেও বাংলাদেশের বান্দরবান পার্বত্য জেলার অন্যতম প্রধান পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে গণ্য করা হয়,[৭] যেখানে জেলার ৫০% জনগোষ্ঠী জীবিকার জন্য পর্যটনের উপর নির্ভরশীল।[৮৪] রুমা থেকে বগা লেক ও কেওক্রাডং হয়ে তাজিংডং যাওয়ার ঝিরিপথটি বাংলাদেশে ট্রেকিংয়ের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্রেইলগুলোর অন্যতম।[৭৫][৮৫] এই পথে পর্যটনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রেস্তোরাঁ, রিসোর্ট ও অতিথিশালা গড়ে উঠেছে।[৮৬] এছাড়া বান্দরবানের নীল দিগন্ত,[৮৭] সীমান্ত অবকাশ,[৮৮] চন্দ্রপাহাড়,[৮৯] তমা তুঙ্গির মতো যেসকল ভিউ পয়েন্ট থেকে তাজিংডং, কেওক্রাডং প্রভৃতি উঁচু পর্বতশৃঙ্গ প্রত্যক্ষ করা যায়, সেগুলোতে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে।[২৪][৯০][৯১] তবে পাহাড়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কার্যক্রমের ফলে সৃষ্ট নিরাপত্তাহীনতার কারণে প্রশাসন থেকে বিভিন্ন সময়ে নির্দিষ্ট স্থানসমূহে পর্যটনে নিরুৎসাহিতকরণ, নিষিদ্ধকরণ এবং সীমিতকরণ করা হয়।[৮৪] এর ফলে আর্থিক খাতসমূহের মধ্যে পর্যটন খাত সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়।[৯২] এছাড়া পাহাড়ধসসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ,[৯৩] বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারী[৯৪][৯৫] এবং অতীতের রাজনৈতিক অস্থিরতা বিভিন্ন সময়ে পর্যটনখাতকে প্রভাবিত করেছে।[৯৬][৯৭][৯৮]
২০০৭ সালের জুন মাসে ড্যানিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাজেন্সির (ড্যানিডা) একজন বাংলাদেশি কর্মকর্তাকে থানচি উপজেলা থেকে অপহরণ করা হয়।[৯৯] অপহরণের প্রায় দুই সপ্তাহ পর জুলাই মাসে বাংলাদেশ পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিডিআরের সাহায্যে কেওক্রাডংয়ের পার্শ্ববর্তী একটি স্থান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।[১০০][১০১][১০২] উদ্ধারকাজে ডেনমার্ক থেকে একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তাকেও নিযুক্ত করা হয়েছিল।[১০৩][১০৪] অপহরণের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে পিপল'স পার্টি অব আরাকানের সদস্যদের দায়ী করা হলেও[১০৫] পরবর্তীতে আরাকান লিবারেশন পার্টিসহ মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।[১০৬] এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে নিরাপত্তাজনিত কারণে স্থানীয় পর্যটকদের জন্য রুমা থেকে বগা লেক ও কেওক্রাডং পর্যন্ত পাহাড়ে পর্যটনের পূর্বে নাম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়।[৫৫][১০৭] এছাড়াও তাজিংডংসহ দূরবর্তী পাহাড়সমূহ ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপের কথা বলা হলেও,[৫৫][১০৭] পরবর্তীতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে তা অস্বীকার করা হয়।[১০৮] সেই সময়ে এই অঞ্চলে শান্তি বাহিনী,[১০১][১০৩] আরাকান আর্মি, ন্যাশনাল ইউনাইটেড আর্মি অব আরাকান, আরাকান রেভোলিউশনারি ইন্টারন্যাশনাল ফোর্স, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনসহ অন্তত ১২টি গেরিলা গোষ্ঠী তৎপর ছিল।[৫৫][১০৭][গ]
২০২২ সালে কেএনএফ ও জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনার সময়ে সেপ্টেম্বর মাস থেকে বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়ি এবং অক্টোবর মাস থেকে থানচি ও আলীকদম উপজেলায় প্রথম সাময়িকভাবে পর্যটনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।[৫৮][৬৫][১০৯] ২০২২ সালের নভেম্বর মাসেই আলীকদম ও থানচি[১১০] উপজেলায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও, রুমা ও রোয়াংছড়িতে তা কয়েক দফায় বৃদ্ধি করা হয়।[১১১] ডিসেম্বর মাসে পুনরায় থানচিকে অন্তর্ভুক্ত করে রুমা ও রোয়াংছড়িতে নিষেধাজ্ঞা অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্ধিত করা হয়।[১১২] এরপর ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে থানচি[১১২] ও ফেব্রুয়ারি মাসে রোয়াংছড়ি থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও রুমায় বলবৎ থাকে।[১১৩] মার্চ মাসে থানচি ও রোয়াংছড়ি পুনরায় নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত হয়।[১১৪] এরপর ২০২৩ সালের জুলাই মাসে রুমা ও থানচি[১১৫] এবং ২০২৪ সালে জানুয়ারি মাসে রোয়াংছড়ি থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।[১১৬]
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কেএনএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ভেলাখুম যাওয়ার পথে ২২ জন পর্যটককে অপহরণের পর থানচি উপজেলা প্রশাসন তাজিংডংসহ আমিয়াখুম, ভেলাখুম ও সাতভাইখুমে পর্যটনে নিরুৎসাহিত করে।[১১৭] পর্যাপ্ত যোগাযোগব্যবস্থার অভাব এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণে এই পর্যটন স্থানগুলোতে ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল।[১১৭] এরপর ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে রুমা ও থানচিতে সশস্ত্র ব্যাংক ডাকাতি এবং অস্ত্র ও অর্থলুটের পর রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পুনরায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।[১১৬] জুন মাসের শেষ নাগাদ শুধু থানচি উপজেলা থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উঠলেও,[১১৮] ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে[৯৭] অক্টোবর মাসে সম্পূর্ণ পার্বত্য চট্টগ্রামেই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।[১১৯][১২০] তবে নভেম্বর মাসেই রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা এবং রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি ব্যতীত বান্দরবান জেলার সকল উপজেলা থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।[১১৯][১২১] এরপর ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রোয়াংছড়ির দেবতাখুম এবং জুন মাসে রুমা ও থানচি উপজেলা থেকে আংশিকভাবে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।[৫৮][১২২]
যাত্রাপথ
[সম্পাদনা]দুর্গম স্থানে অবস্থিত হওয়ার কারণে একসময় তাজিংডং পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব বলে মনে করা হতো।[১২৩][১২৪] তবে, এখন তাজিংডং পর্বতের চূড়ায় পৌঁছানোর জন্য দুইটি পথ রয়েছে।[১৫] বান্দরবান থেকে রুমা হয়ে বগা লেক ও কেওক্রাডংয়ের পাশ দিয়ে তাজিংডং পৌঁছানো যায়।[২০] আরেকটি পথে বান্দরবান থেকে থানচি হয়ে তাজিংডং পৌঁছানো যায়।[১৫][২০]
আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ফলে বর্তমানে রুমা থেকে তাজিংডং পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি নেই।[৫৮] রুমা থেকে তাজিংডংয়ের পথে শুধু বগা লেক পর্যন্ত পর্যটনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।[৫৮] তবে ২০২৪ সালে রুমা উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর এই পথে শুধু কেওক্রাডং ও জাদিপাই পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।[২০] সেই সময়ে থানচি উপজেলায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা না থাকায় অনেক পর্যটক থানচি দিয়ে তাজিংডংয়ে গমন করতেন।[২০][২৪]
থানচি থেকে তাজিংডং পৌঁছাতে সম্পূর্ণ হাঁটাপথে বোডিংপাড়া,[১২৫] হেডম্যানপাড়া ও শেরকরপাড়া হয়ে তাজিংডংয়ের চূড়ায় পৌঁছাতে হয়।[২০] শেরকরপাড়া থেকে তাজিংডংয়ের চূড়ায় পৌঁছাতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগে।[৬][১৬] এই পথে গমনের জন্য থানচি বাজারে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে নাম লিপিবদ্ধ করে অনুমতি নিতে হয় এবং সাথে একজন নিবন্ধিত গাইড রাখা বাধ্যতামূলক।[১২৬] তবে ২০২৫ সালের জুন মাস থেকে থানচি উপজেলায় কেবল তমা তুঙ্গি ও তিন্দু পর্যন্ত পর্যটনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।[৯৪]
রুমা থেকে তাজিংডং যাওয়ার জন্যও রুমা বাজারে অবস্থিত নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রথমে নাম ও ঠিকানা লিপিবদ্ধ করতে হতো।[৫] দুর্গম রাস্তা এবং উন্নত যোগাযোগ ও পরিবহনব্যবস্থার অভাবে প্রথমে রুমায় পৌঁছানো অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। বর্ষাকালে জিপগাড়ি ভাড়া করে কৈখংঝিরি পর্যন্ত গিয়ে এরপর নৌকায় রুমা সদর পর্যন্ত যাওয়া যায়।[৫] তবে শীতকালে সরাসরি জিপগাড়িতে রুমা সদরের সেনা গ্যারিসন ব্রিজঘাট পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব।[৫][১২৭] রুমা সদর থেকে সীমান্ত সড়কে[১২৮] জিপ, বাস[১২৯] অথবা চান্দের গাড়ি[১৩০] ভাড়া করে বগা লেক হয়ে কেওক্রাডং পর্যন্ত যাওয়া যায়।[১২৭] সীমান্ত সড়ক নির্মাণের পূর্বে বগা লেক থেকে কেওক্রাডং পর্যন্ত পায়ে হেঁটে পৌঁছানো যেত।[২২] এরপর কেওক্রাডং থেকে সম্পূর্ণ পায়ে হাঁটা পথে কেওক্রাডং হয়ে তাজিংডংয়ের চূড়ায় পৌঁছানো যেত।[১২৯] বাকলাই ঝর্না এই পথে তাজিংডং ও কেওক্রাডংয়ের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত।[১৩১][১৩২] বাকলাই ঝর্নাকে অনেক সময় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জলপ্রপাত হিসেবে গণ্য করা হয়।[১৩৩] এই পথটি পর্বতারোহীদের কাছে "ঝিরিপথ" নামে পরিচিত।[৭৫] তবে, আলোর অভাবে ঝিরিপথ অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় বিকেল চারটার পরে কোনো পর্যটককে বগা লেক, তাজিংডং ও কেওক্রাডংয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার অনুমতি দেওয়া হতো না।[৫][১৩৪]
বছরের যেকোনো সময়েই তাজিংডংয়ের চূড়ায় আরোহণ করা যায়।[৬] তবে বর্ষাকালে এই পথ অত্যন্ত কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ।[৬] বর্ষাকালের অতিবৃষ্টিতে ঝিরির পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে পাহাড়ধসের ঘটনাও ঘটে।[৯৩][১৩৫] ফলে বর্ষাকালে প্রায়ই বান্দরবানের পর্যটনস্থলগুলোতে ভ্রমণে নিরুৎসাহিতকরণ ও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।[১৩৬][১৩৭] গ্রীষ্মকালেও তীব্র গরমের মধ্যে দুর্গম পথে হিটস্ট্রোকসহ স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা থাকে।[১৩৮] শীতকালের শুরুতে যখন ঘন কুয়াশার কারণে ঝিরিপথ অন্ধকার হয় না,[২৪] তখন তাজিংডংয়ের চূড়ায় আরোহণের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় বলে গণ্য করা হয়।[২০]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- বাংলাদেশের পর্বতের তালিকা
- জো ত্লাং, বেসরকারিভাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত
টীকা
[সম্পাদনা]- ↑ গুগল আর্থ থেকে প্রাপ্ত উপাত্ত।[১] মার্কিন ভূসংস্থানিক মানচিত্র থেকে প্রাপ্ত উপাত্ত অনুসারে উচ্চতা ২,৭৩৭ ফুট (৮৩৪ মিটার)।[২][৩]
- ↑ বাংলাদেশের অধিকাংশ সরকারি সূত্র এবং সংবাদমাধ্যমে তাজিংডংকে রুমা উপজেলার রেমাক্রীপ্রাংসা ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত বলা হয়েছে। তবে, জিপিএস থেকে প্রাপ্ত ভৌগোলিক স্থানাঙ্কের ভিত্তিতে দেখা যায়, তাজিংডং থানচি উপজেলায় অবস্থিত।
- 1 2 এছাড়া পাকিস্তান শাসনামলে এবং ১৯৭১-এর পরবর্তী সময়ে ভারতের বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীরাও পার্বত্য চট্টগ্রামে তৎপর ছিল। এর মধ্যে মিজোরামের বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এমএনএফ, ১৯৬১–১৯৮৬) তাজিংডংয়ের অদূরবর্তী একটি পাহাড়ে আত্মগোপনে থেকে পাহাড়টিকে নিজেদের অস্থায়ী রাজধানী হিসেবে ব্যবহার করে।[৫৬][৫৭] পাহাড়টি বর্তমানে কপিটাল বা ক্যাপিটাল পাহাড় নামে পরিচিত।[৫৬][৫৭] কপিটাল পাহাড় কেওক্রাডং–তাজিংডং ঝিরিপথেই অবস্থিত।[৫৭]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- 1 2 3 4 চেসলার, আর্চি। "Tazing Dong, Bangladesh"। পিকব্যাগার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০২৫।
- 1 2 "Lungphe Taung, Thanchi, Thanchi, Bandarban, Chittagong, Bangladesh" (ইংরেজি ভাষায়)। মিনডেট.অর্গ। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০২৫।
- 1 2 "Lungphe Taung" (ইংরেজি ভাষায়)। জিওনেমস। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০২৫।
- 1 2 3 ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর, সম্পাদকগণ (২০১২)। "বাংলাদেশ"। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন ৯৮৪৩২০৫৯০১। ওসিএলসি 883871743। ওএল 30677644M। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- 1 2 3 4 5 6 7 মণ্ডল, ইন্দ্রজিৎ (২৩ আগস্ট ২০২২)। "তাজিংডং"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২৫।
- 1 2 3 4 5 6 7 8 মল্লিক, সমির (২৭ নভেম্বর ২০১৫)। "তাজিংডংয়ের চূড়ায়"। বিডিনিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২৫।
- 1 2 "Upazila background"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (ইংরেজি ভাষায়)। থানচি উপজেলা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০২৫।
- ↑ "দেশের সর্বোচ্চ চূড়া মোদক টং"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ তাবাসসুম, রিফাত (৩১ জানুয়ারি ২০২০)। "বান্দরবানের আকর্ষণীয় ৫ পর্যটন কেন্দ্র"। বান্দরবান: ইউএনবি। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২৫।
- ↑ কাবিল, আরমান বিন (১ ডিসেম্বর ২০২৪)। "নেশা যখন পাহাড়ের: ট্রেকিংয়ের প্রস্তুতি যেমন হওয়া দরকার"। প্রথম আলো।
- 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 আরশাদী, সালেহীন (৩ মে ২০২২)। "দেশের সর্বোচ্চ শিখরের খোঁজে"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২৫।
- 1 2 3 পার্থ, পাভেল (১৩ ডিসেম্বর ২০২১)। "টেকসই পাহাড়-পর্যটন নীতি জরুরি"। দেশ রূপান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "তাজিংডং পাহাড়"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। থানচি সদর ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০২৫।
- 1 2 3 4 5 "বান্দরবানে যৌথ অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত"। বান্দরবান: প্রথম আলো। ২৬ জুন ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২৫।
- 1 2 3 "দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার নান্দনিক পর্যটন স্পটের নাম বান্দরবান জেলা"। বান্দরবান: দৈনিক ইনকিলাব। ৪ ডিসেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০২৫।
- 1 2 আলম, মো. আশরাফুল (২৪ ডিসেম্বর ২০২১)। "বিজয়ের ৫০ বছরে তাজিংডং বিজয়"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২৫।
- 1 2 জামান, ফেরদৌস (৬ ডিসেম্বর ২০১৫)। "বিপজ্জনক ট্রেইল ধরে কংদুকত্লাং বিজয়"। রাইজিংবিডি। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২৫।
- 1 2 মল্লিক, সমির (৯ মার্চ ২০২৩)। "দেশের উচ্চতম চূড়া সাকা হাফংয়ের পথে"। খাগড়াছড়ি: আজকের পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০২৫।
- ↑ মল্লিক, সমির (১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫)। "সাকাহাফং চূড়ায়"। বিডিনিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২৫।
- 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 সায়েম, কাউসার মো. (১৮ জানুয়ারি ২০২৪)। "তাজিংডং ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও খরচ"। ইউএনবি। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২৫।
- ↑ ভূইয়া, আকাশ (১০ জুন ২০২৪)। "গহিনে..."। প্রতিদিনের বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০২৫।
- 1 2 নেওয়াজ, শাফি (৫ নভেম্বর ২০১৮)। "Wild beauty of Bandarban" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ডেইলি সান। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০২৫।
- ↑ চাকমা, বুদ্ধজ্যোতি (২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫)। "যে জেলায় একসঙ্গে বাস করেন ১৪ ভাষার মানুষ"। বান্দরবান: প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০২৫।
- 1 2 3 4 5 "বিপজ্জনক ঝিরিপথে ঘেরা তাজিংডং"। ঢাকা ট্রিবিউন। ১৮ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০২৫।
- 1 2 সাদি, মাহমুদ (৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "Spreading the light of literacy in a far-flung place" (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০২৫।
- ↑ নওরীন, নাফিদা (১১ আগস্ট ২০২৩)। "চল দোতং পাহাড়"। হাল ফ্যাশন। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০২৫।
- ↑ "CA starts CHT visit today" (ইংরেজি ভাষায়)। রাঙ্গামাটি: দ্য ডেইলি স্টার। ২৭ মার্চ ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০২৫।
- 1 2 3 "জেনে নিন বাংলাদেশের ৩,০০০ ফুটের বেশি উচ্চতার পাহাড় সম্পর্কে"। ঢাকা ট্রিবিউন। ইউএনবি। ১১ অক্টোবর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০২৫।
- 1 2 চৌধুরী, কাওসার (৫ মে ২০২২)। "অপরূপা বান্দরবানের অভিজ্ঞতা"। দৈনিক সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২৫।
- 1 2 3 পার্থ, পাভেল (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২)। "মাতৃভাষায় আদিবাসী সাহিত্যচর্চা"। দৈনিক সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০২৫।
- 1 2 3 4 জামান, ফেরদৌস (১৫ জুলাই ২০১৪)। "যেখানে মেঘের কোলে পাহাড় ঘুমায়"। রাইজিংবিডি। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২৫।
- ↑ শুভ, শুভাশিস ব্যানার্জি (১০ ডিসেম্বর ২০১৫)। "ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পাহাড়-পর্বত সংরক্ষণ আবশ্যক"। চ্যানেল আই। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২৫।
- ↑ ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর, সম্পাদকগণ (২০১২)। "থানচি উপজেলা"। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন ৯৮৪৩২০৫৯০১। ওসিএলসি 883871743। ওএল 30677644M। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২৫।
- 1 2 পার্থ, পাভেল (২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪)। "আত্মপরিচয়ের রক্তদাগ"। দৈনিক সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০২৫।
- ↑ মং, ঞ্যোহ্লা (২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১)। "চেঙ্গী কেন চিংড়ী হবে!"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০২৫।
- 1 2 3 হোসাইন, শাখাওয়াত (২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "দেশের সর্বোচ্চ চূড়া মোদক টং"। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২৫।
- ↑ ধর, জ্যোতির্ময় (২৩ জানুয়ারি ২০২০)। "New highest hill spotted in Bandarban" (ইংরেজি ভাষায়)। দি এশিয়ান এজ। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২৫।
- 1 2 "Peak List"। বাংলাট্রেক (ইংরেজি ভাষায়)। ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশ। ২৫ জুলাই ২০১৩। ১২ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০২৫।
- ↑ মল্লিক, সমির (১১ মে ২০২৩)। "তাজিংডংয়ের চূড়ায়"। খাগড়াছড়ি: আজকের পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২৫।
- ↑ পন্নী, সাদিকুল নিয়োগী (১৬ মে ২০২৩)। "স্বপ্নের তাজিংডং বিজয়"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২৫।
- 1 2 3 4 5 থিওটোনিয়াস, জুয়েল (১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। "জীবনে জীবন মেলাবার গল্প"। জাগোনিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২৫।
- 1 2 "An observation on the peaks of Bangladesh"। বাংলাট্রেক (ইংরেজি ভাষায়)। ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশ। ২৮ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "'Second highest hill' spotted by 4 youths" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ডেইলি স্টার। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০২৫।
- ↑ "'দুমেলাংকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সব্বোর্চ্চ পাহাড়ের স্বীকৃতি দাবি'"। বাংলানিউজ২৪.কম। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২৫।
- ↑ "Series U542 Sheet NF 46-10 Edition 1-AMS"। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার (ইংরেজি ভাষায়)। আর্মি ম্যাপ সার্ভিস, ইউএস আর্মি কোরস অব ইঞ্জিনিয়ার্স। ১৯৫৫। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২৫।
- ↑ হক, মোয়াজ্জেমুল (৩ মার্চ ২০১৫)। "দেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মোদক টং"। চট্টগ্রাম: দৈনিক জনকণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২৫।
- ↑ সরোয়ার, মো. ইকবাল (১০ ডিসেম্বর ২০২৩)। "পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষায় পাহাড়ে বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার"। বণিকবার্তা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২৫।
- ↑ রাজ্জাক, আব্দুর (২৪ অক্টোবর ২০১৭)। "তাজিংডং"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২৫।
- ↑ খাতুন, হাফিজা; শাহজাহান, সেলিনা; করিম, শেখ মো. রেজাউল; শাহীন, জুলেখা (অক্টোবর ২০২৪)। "বাংলাদেশের ভৌগোলিক বিবরণ"। ভূগোল ও পরিবেশ, নবম–দশম শ্রেণি। ঢাকা: জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। পৃ. ১৫১। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২৫।
- ↑ হাসান, তাহজিব (২৩ নভেম্বর ২০১০)। "দেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের খোঁজে"। বাংলানিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২৫।
- ↑ "তাজিনডং নয়, দেশের সর্বোচ্চ চূড়া ত্লাংময়"। বাংলানিউজ২৪.কম। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২৫।
- ↑ "সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ নির্ধারণে জরিপ শুক্রবার"। বাংলানিউজ২৪.কম। ২৪ নভেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২৫।
- ↑ দাশ, বাসু (২৬ নভেম্বর ২০২২)। "দেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ তাজিংডং নাকি সাকা হাফং, চলছে জরিপ"। বান্দরবান: ঢাকা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ তাজিংডং নাকি সাকা হাফং"। বান্দরবান: প্রথম আলো। ২৩ নভেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০২৫।
- 1 2 3 4 "Tourists' entry to CHT restricted for security reasons" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস। ২৭ ডিসেম্বর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০২৫।
- 1 2 জুয়েল, জাহিদুল ইসলাম। "Kopital (West Face)"। বাংলাট্রেক (ইংরেজি ভাষায়)। ১২ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০২৫।
- 1 2 3 আরশাদী, সালেহীন। "Kapital (Capital)"। বাংলাট্রেক (ইংরেজি ভাষায়)। ৬ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০২৫।
- 1 2 3 4 5 6 "তিন শর্তে রুমা থানচির কিছু পর্যটন স্থান খুলে দেয়া হয়েছে"। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা। ৬ জুন ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২৫।
- ↑ "কেএনএফ ঘাঁটিতে সাঁড়াশি অভিযান"। বান্দরবান: নয়া দিগন্ত। ১৬ অক্টোবর ২০২২। ১৭ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০২৫।
- ↑ "'কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সঙ্গে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর সম্পৃক্ততা নেই'"। বান্দরবান: দৈনিক পূর্বকোণে। ২৮ ডিসেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০২৫।
- ↑ "'কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সঙ্গে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর সম্পৃক্ততা নেই'"। বান্দরবান: দৈনিক ইনকিলাব। ২৮ ডিসেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২৫।
- ↑ চাকমা, বুদ্ধজ্যোতি (১৮ জানুয়ারি ২০২৩)। "বান্দরবানের পাহাড়ি খাদে শ্বাসরুদ্ধকর জঙ্গিবিরোধী এক অভিযান"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২৫।
- 1 2 "বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত"। ঢাকা পোস্ট। ২৬ জুন ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০২৫।
- ↑ "কেএনএফ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার"। কালবেলা। ২৭ জুন ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২৪।
- 1 2 শাহরিয়ার, আলাউদ্দীন (১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪)। "সংঘাত নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বান্দরবানের পর্যটন"। দৈনিক যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২৫।
- ↑ শাহরিয়ার, আলাউদ্দীন (৬ জুলাই ২০২৪)। "বান্দরবানে পর্যটন শিল্পে ধস"। বান্দরবান: দৈনিক আজাদী। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২৫।
- ↑ "বান্দরবানের তিন উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা বাড়লো ১২ নভেম্বর পর্যন্ত, আলীকদমে প্রত্যাহার"। বান্দরবান: দৈনিক আজাদী। ৮ নভেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২৫।
- ↑ জামান, ফেরদৌস (১২ জানুয়ারি ২০১৫)। "ভয়ংকর অভিযান এবং মৃত্যুসংবাদ"। রাইজিংবিডি। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২৫।
- ↑ খান, মনিরুল (২০১১)। টাইগার্স ইন দ্য ম্যানগ্রোভস (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা: আরণ্যক ফাউন্ডেশন। পৃ. ১৮। আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৩৩-৩৫৪৪-৯। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২৫।
- 1 2 "বাঘের খোঁজে"। কালের কণ্ঠ। ২৫ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২৫।
- 1 2 হাসান, ইশতিয়াক (৩০ জুলাই ২০২৩)। "পার্বত্য চট্টগ্রামের অরণ্যে এখনো কি আছে বাঘের বসতি"। আজকের পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০২৫।
- 1 2 হাসান, ইশতিয়াক (২৯ জুলাই ২০২১)। "সত্যি, বাঘ আছে পাহাড়ে"। আজকের পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২৫।
- ↑ থিওটোনিয়াস, জুয়েল (২৯ জানুয়ারি ২০১৮)। "প্রকৃতিই আমার ঘর"। জাগোনিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২৫।
- ↑ "JU resident student dies of cerebral malaria" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ডেইলি স্টার। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০২৫।
- 1 2 3 4 5 হক, আশরাফুল; মারমা, উ শে থোয়াই (৩১ মে ২০২৪)। "How tobacco farming is speeding up deforestation in the hills" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০২৫।
- 1 2 "পরিবেশে বিরূপ প্রভাব ফেলছে পর্যটন অঞ্চলের অপরিকল্পিত অবকাঠামো"। বণিক বার্তা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০২৫।
- ↑ চাকমা, বুদ্ধজ্যোতি; দেওয়ান, জয়ন্তী; চাকমা, সাধন বিকাশ; রহমান, সাদিকুর (২২ মার্চ ২০২১)। "Water scarcity worsens hill people's woes" (ইংরেজি ভাষায়)। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০২৫।
- ↑ ইসলাম, মনু (২৫ আগস্ট ২০২২)। "শঙ্খ নদের পানি শুকিয়ে তলানিতে"। বান্দরবান: কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০২৫।
- 1 2 "তাজিংডং পাহাড়ে ইটভাটা মালিকের ১০ বছর কারাদণ্ড"। দ্য ডেইলি স্টার। ১ জানুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২৫।
- 1 2 "তাজিংডং পাহাড়ে ইটভাটা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের জেল"। প্রথম আলো। ১ জানুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "Tazing Dong under threat" (ইংরেজি ভাষায়)। বান্দরবান: দ্য ডেইলি স্টার। ৪ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "বান্দরবানে বিএনপি নেতার ১০ বছরের সাজা"। বান্দরবান: যুগান্তর। ১ জানুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২৫।
- ↑ "পার্বত্য ৩ জেলার ১৩০ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ"। দ্য ডেইলি স্টার। ১৪ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০২৫।
- 1 2 3 কালাম, মোহাম্মদ আবুল (২৩ জানুয়ারি ২০২৫)। "Hill tourism heats up" (ইংরেজি ভাষায়)। চট্টগ্রাম: দ্য ডেইলি সান। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০২৫।
- ↑ বিন কামাল, আরমান (১ ডিসেম্বর ২০২৪)। "নেশা যখন পাহাড়ের: ট্রেকিংয়ের প্রস্তুতি যেমন হওয়া দরকার"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০২৫।
- ↑ ইসলাম, মনু (১৩ ডিসেম্বর ২০১৭)। "বান্দরবানে ঘরোয়া পর্যটনের হাতছানি"। ঢাকা: কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২৫।
- ↑ চক্রবর্তী, মিলন (২০ মার্চ ২০২২)। "বান্দরবানে ফের চালু হচ্ছে নীল দিগন্ত পর্যটনকেন্দ্র"। বান্দরবান: ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২৫।
- ↑ ফেরদৌসি, নাজমা জামাল (১২ এপ্রিল ২০২৪)। "রেমাক্রি ও অন্যান্য"। মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২৫।
- ↑ করিম, মাসুদ (২৯ নভেম্বর ২০২০)। "চন্দ্রপাহাড় ঘিরে বিকশিত হচ্ছে পর্যটন শিল্প"। বান্দরবান: যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২৫।
- ↑ রাহাত, রিজভী (১৭ জানুয়ারি ২০২২)। "পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা বান্দরবানের তমা তুঙ্গী"। ঢাকা পোস্ট। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০২৫।
- ↑ শাহরিয়ার, আলাউদ্দীন (২৮ ডিসেম্বর ২০২৪)। "তমাতুঙ্গীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ পর্যটকরা"। বান্দরবান: যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২৫।
- ↑ দাশ, এস বাসু (২১ মার্চ ২০২৩)। "KNF disrupting tourism, development works in Bandarban"। ঢাকা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০২৫।
- 1 2 "বান্দরবান-রুমা সড়কে ফের ধস"। বান্দরবান: কালের কণ্ঠ। ৮ জুলাই ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২৫।
- 1 2 "কুকি-চিনের উত্থান বনাম বান্দরবানের পর্যটন"। ঢাকা ট্রিবিউন। ১ জুলাই ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০২৫।
- ↑ "শরতে পাহাড়ের হাতছানি"। ইত্তেফাক। ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২৫।
- ↑ ফারজানা, অনিকা (১৮ ডিসেম্বর ২০১৩)। "দেশের পর্যটন খাত বিধ্বস্ত"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০২৫।
- 1 2 তঞ্চঙ্গ্যা, উজ্জ্বল (৯ নভেম্বর ২০২৪)। "কুকি-চিনের ক্ষত সারাতে পর্যটনে ছাড়ের ছড়াছড়ি"। বান্দরবান: সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০২৫।
- ↑ রহমান, জাহিদুর (৬ নভেম্বর ২০২৩)। "অবরোধে বড় ক্ষতির মুখে পর্যটন ব্যবসা"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০২৫।
- ↑ "Danida official, driver abducted in Bandarban" (ইংরেজি ভাষায়)। বিডিনিউজ২৪.কম। ২৬ জুন ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০২৫।
- ↑ "Rescued DANIDA official narrates abduction experience" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস। ২২ জুলাই ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০২৫।
- 1 2 "Bangladeshi abductors free Danida employee" (ইংরেজি ভাষায়)। রয়টার্স। ১০ আগস্ট ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০২৫।
- ↑ "Kidnapped Danida staff rescued after 2 weeks" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ডেইলি স্টার। ৯ জুলাই ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০২৫।
- 1 2 "Denmark joins B'desh to free abducted agency staff" (ইংরেজি ভাষায়)। রয়টার্স। ১০ আগস্ট ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০২৫।
- ↑ "Danida Staff Kidnap: Danish detective in Bandarban" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ডেইলি স্টার। ২ জুলাই ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০২৫।
- ↑ "Danida staffer freed from Bandarban captivity" (ইংরেজি ভাষায়)। বিডিনিউজ২৪.কম। ২৮ জুন ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০২৫।
- ↑ "Burmese Involvement Suspected in Bangladesh Abduction" (ইংরেজি ভাষায়)। দি ইরাওয়াদি। ৯ জুলাই ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০২৫।
- 1 2 3 রহমান, বিপ্লব (২৬ ডিসেম্বর ২০০৭)। "Tourists' entry to CHT is restricted for security reasons" (ইংরেজি ভাষায়)। বিডিনিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০২৫।
- ↑ "ISPR protests bdnews24.com report" (ইংরেজি ভাষায়)। বিডিনিউজ২৪.কম। ৩১ জানুয়ারি ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২৫।
- ↑ "বান্দরবানের ৪ উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বাড়লো"। বান্দরবান: দৈনিক আজাদী। ৩০ অক্টোবর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২৫।
- ↑ "রুমা-রোয়াংছড়ি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বাড়লো, থানচিতে প্রত্যাহার"। বান্দরবান: দৈনিক আজাদী। ১৭ নভেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২৫।
- ↑ "এবার থানচিতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ১১-১৭ জানুয়ারি"। দ্য ডেইলি স্টার। ৯ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২৫।
- 1 2 "বান্দরবানের থানচিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার"। বান্দরবান: দৈনিক আজাদী। ১৮ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২৫।
- ↑ "রোয়াংছড়িতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার"। বান্দরবান: দৈনিক আজাদী। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২৫।
- ↑ "বান্দরবানে রুমা-রোয়াংছড়ি-থানচি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা"। বান্দরবান: দৈনিক আজাদী। ১৫ মার্চ ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২৫।
- ↑ "৯ মাস পর বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার"। রাঙ্গামাটি: ঢাকা পোস্ট। ১৪ জুলাই ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২৫।
- 1 2 "যৌথবাহিনীর অভিযান: আবারও বান্দরবানের ৩ উপজেলায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা"। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। ১২ এপ্রিল ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২৫।
- 1 2 "থানচির তিন খুমে ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করছে প্রশাসন"। থানচি, বান্দরবান: আজকের পত্রিকা। ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২৫।
- ↑ "বান্দরবানের থানচি থেকে উঠল ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা"। বিডিনিউজ২৪। ২২ জুন ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২৫।
- 1 2 "বান্দরবান ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা উঠছে, যাওয়া যাবে না ৩ উপজেলায়"। বান্দরবান: দৈনিক সমকাল। ৬ নভেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২৫।
- ↑ "৮-৩১ অক্টোবর তিন পার্বত্য জেলায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা"। বান্দরবান: দ্য ডেইলি স্টার। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২৫।
- ↑ "তিন পার্বত্য জেলায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উঠছে"। বান্দরবান: বণিকবার্তা। ৩১ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২৫।
- ↑ "বান্দরবানের রুমা ও থানচি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার"। বান্দরবান: প্রথম আলো। ৬ জুন ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২৫।
- ↑ রায়, রাজীব কান্তি (২৬ জুন ২০১৬)। "Beautiful Bandarban" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ডেইলি সান। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০২৫।
- ↑ সুফিয়ান, আবু (১৮ আগস্ট ২০১৯)। "Bandarban: Heaven of Bangladesh" (ইংরেজি ভাষায়)। দি এশিয়ান এজ। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০২৫।
- ↑ মল্লিক, সমির (২৭ নভেম্বর ২০১৫)। "তাজিংডংয়ের চূড়ায়"। বিডিনিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২৫।
- ↑ হাসান, সৈয়দ রেজওয়ানুল (২৯ জুলাই ২০২৪)। "তাজিংডংয়ের চূড়ায়"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২৫।
- 1 2 "বান্দরবান জেলার পর্যটন অঞ্চল/দর্শনীয় স্থান সমূহ"। বান্দরবান জেলা। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৯ এপ্রিল ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০২৫।
- ↑ দে, কমল (১৩ ডিসেম্বর ২০২৩)। "এক মিনিট হেঁটে কেওক্রাডং!...কীভাবে জেনে নিন"। সময় টিভি। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০২৫।
- 1 2 "Best places to see and craziest things to do" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ডেইলি সান। ৩১ জানুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০২৫।
- ↑ তাবাসসুম, রিফাত (২৯ জানুয়ারি ২০২০)। "Bandarban Tourist Spots – Best Places to See and Craziest Things to Do" (ইংরেজি ভাষায়)। ইউএনবি। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২৫।
- ↑ সায়েম, কাউসার মো. (২৮ আগস্ট ২০২১)। "Waterfalls in Bangladesh: Everlast Destination for Fountain Lovers" (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা: ইউএনবি। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২৫।
- ↑ সুমি, রাবেয়া বসরি (৬ অক্টোবর ২০১৪)। "দেশের মন কাড়বে পাহাড়ি ঝর্না"। বাংলানিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২৫।
- ↑ সায়েম, কাউসার মো. (১৩ জুলাই ২০২২)। "বাংলাদেশের সেরা ১০টি প্রাকৃতিক ঝর্ণা, জলপ্রপাত কোথায়? কীভাবে যাবেন?"। ঢাকা: ইউএনবি। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২৫।
- ↑ সরকার, পূজা (৩ আগস্ট ২০২২)। "Hiking and Trekking in Bandarban" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০২৫।
- ↑ "খালের ওপর পাহাড় ধস, বগালেক থেকে রুমা বাজারে চলাচল বন্ধ"। বান্দরবান: দ্য ডেইলি স্টার। ১৪ আগস্ট ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০২৫।
- ↑ "থানচি ভ্রমণে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করছে প্রশাসন"। বান্দরবান: জাগোনিউজ২৪.কম। ৭ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২৫।
- ↑ "বান্দরবানে পর্যটন স্পট ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা"। জাগোনিউজ২৪.কম। ৩০ জুন ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২৫।
- ↑ সিয়াম, কাউসার মো. (১৮ জানুয়ারি ২০২৪)। "Tazing Dong Trekking: In-Depth Travel Guide and Cost Details" (ইংরেজি ভাষায়)। ইউএনবি। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০২৫।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- জাতীয় তথ্য বাতায়নে তাজিংডং বিজয় পর্বত
- জিওনেমসে লুংফে তং
- মিনডেট.অর্গে লুংফে তং
- পিকব্যাগার.কম-এ তাজিংডং