বিষয়বস্তুতে চলুন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
প্রাতিষ্ঠানিক লোগো
ধরনগবেষণাধর্মী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
স্থাপিত১৮ নভেম্বর ১৯৬৬ (1966 -11-18)
অধিভুক্তিবিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন
বাজেট৩৯৭,৭২,০০০০০ (২০২৪-২৫)[]
ইআইআইএন১৩৬৫৮৭ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
আচার্যরাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
উপাচার্যমোহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ
৯৭৪[]
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ
৩১১
শিক্ষার্থী২৯,০০০+
ঠিকানা, ,
৪৩৩১[]
,
বাংলাদেশ

২২°২৮′১৬″ উত্তর ৯১°৪৭′১৮″ পূর্ব / ২২.৪৭১০০২১° উত্তর ৯১.৭৮৮৪৬৯৩° পূর্ব / 22.4710021; 91.7884693
শিক্ষাঙ্গন২৩১২.৩২ একর[]
ভাষাবহুভাষিক
আদ্যক্ষরচবি (সিইউ)
ওয়েবসাইটwww.cu.ac.bd
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জলছাপ লোগো
মানচিত্র

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (সংক্ষেপে: চবি) চট্টগ্রামে অবস্থিত দেশের পঞ্চম সরকারি ও একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়।[] আয়তনের দিক থেকে এটি দেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়।[] এটি বাংলাদেশের একটি বহু-অনুষদভিত্তিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলায় স্থাপিত হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পূর্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। সেই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিল।

২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২৭,৫৫০ শিক্ষার্থী এবং ৯০৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এখানে রয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম আকর্ষণ হলো শাটল ট্রেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থী শিক্ষা লাভ ও অধ্যাপনা করেছেন যার মধ্যে ১ জন নোবেল বিজয়ী এবং একাধিক একুশে পদক বিজয়ী রয়েছেন।এছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ হতে যাত্রা শুরু করা গ্রামীন ব্যাংক ২০০৬ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করে।

অবস্থান

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার (১৪ মাইল) উত্তরে হাটহাজারী থানার ফতেহপুর ইউনিয়নের জঙ্গল পশ্চিম-পট্টি মৌজার ২৩১২.৩২ একর[] পাহাড়ি এবং সমতল ভূমির উপর অবস্থিত।[] পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন ছিল ১,৭৫৩.৮৮ একর (৭০৯.৭৭ হেক্টর),[] যা পরবর্তীতে ২০১৬ সালের এপ্রিলে প্রায় ৯ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের মাধ্যমে বর্ধিত করা হয়।[] ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষাঙ্গন আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়।[] ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় তার পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করে।[]

ইতিহাস

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৭০
জিরো পয়েন্ট

বিশ শতাব্দীর শুরুর দিকে চট্টগ্রাম বিভাগে কোন বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় চট্টগ্রামের অধিবাসীরা স্থানীয়ভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন অনুভব করে। ১৯৪০ সালের ২৮ ডিসেম্বর কলকাতায় অনুষ্ঠিত জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সর্বভারতীয় সম্মেলনে মওলানা মুনিরুজ্জামান ইসলামবাদী সভাপতির ভাষণে চট্টগ্রাম অঞ্চলে একটি ‘ইসলামিক ইউনিভার্সিটি’ নির্মাণের কথা উপস্থাপন করেন এবং একই লক্ষ্যে তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার দেয়াঙ পাহাড়ে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জন্য ভূমি ক্রয় করেন। দুই বছর পর, ১৯৪২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নূর আহমদ বঙ্গীয় আইন পরিষদে চট্টগ্রামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক দাবি উত্থাপন করেন।[]

ষাটের দশকে তৎকালীন পাকিস্তানের দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৬০-১৯৬৫) প্রণয়নকালে চট্টগ্রামে একটি ‘বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণের স্থান হিসেবে শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত চট্টগ্রাম সরকারি কলেজকে সম্ভাব্য ক্যাম্পাস হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। ১৯৬২ সালে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের জনশিক্ষা উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফেরদাউস খান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার একটি প্রাথমিক খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করেন। একই বছর ১৯৬২ সালের নির্বাচন প্রচারণায় ফজলুল কাদের চৌধুরী এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাধারণ প্রতিশ্রুতি দেন। নির্বাচন পরবর্তীকালে তিনি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণ করেন।[]

চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের স্থানে এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হওয়ার পর ১৯৬১ সালের ৭ মে চট্টগ্রামের অধিবাসীদের উদ্যোগে স্থানীয় মুসলিম হলে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রধান অতিথির ভাষণে চট্টগ্রামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে মত প্রকাশ করেন এবং তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৬২ সালে ৩০ ডিসেম্বর ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ নামে আরেকটি পরিষদ গঠিত হয়। এই সকল সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ ও স্মারকলিপি প্রদান, পত্রপত্রিকায় বিবৃতি, সেমিনার ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হতে থাকে। সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে ১৯৬২ সালের ৯ ডিসেম্বর লালদীঘি ময়দানে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৬৩ সালের ৮ জানুয়ারি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালিত হয়।[]

প্রশাসনিক ভবন

১৯৬৩ সালের ২৯ নভেম্বর ফজলুল কাদের চৌধুরী পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার মনোনীত হন। প্রথমদিকে এ বিশ্ববিদ্যালয় সিলেট, কুমিল্লানোয়াখালীতে স্থাপনের পরিকল্পনা করা হলেও ১৯৬৩ সালের ১২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের অনুপস্থিতিতে মন্ত্রীসভার এক বৈঠকে সভাপতিত্বকালে ফজলুল কাদের চৌধুরী কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী এ.টি.এম মোস্তফাকে বিশ্ববিদ্যালয়টি কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। ১৯৬৪ সালের ৯ মার্চ তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একটি জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের বৈঠকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ মঞ্জুর করা হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর এম ওসমান গণিকে চেয়ারম্যান এবং ডক্টর কুদরাত-এ-খুদা, ডক্টর মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, এম ফেরদৌস খান ও ডক্টর মফিজউদ্দীন আহমদকে সদস্য নির্বাচন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্থান নির্বাচন কমিশন’ গঠিত হয়। এই কমিশন সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে হাটহাজারী উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের জঙ্গল পশ্চিম-পট্টি মৌজার নির্জন পাহাড়ি ভূমিকে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হিসেবে সুপারিশ করে। ১৯৬৪ সালের ১৭-১৯ জুলাই পাকিস্তানের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ফজলুল কাদের চৌধুরীর সভাপতিত্বে ইসলামাবাদে জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের সভায় ‘স্থান নির্বাচন কমিশন’-এর সুপারিশের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং এর চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করা হয়।[] ১৯৬৪ সালের ২৯ আগস্ট পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।[]

১৯৬৫ সালের ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ও বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরের প্রাক্তন কিউরেটর ড. আজিজুর রহমান মল্লিককে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এরপর আজিজুর রহমান মল্লিক চট্টগ্রাম শহরের নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ৩নং সড়কের ‘কাকাসান’ নামের একটি ভবনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পের অফিস স্থাপন করেন। ১৯৬৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর এক সরকারি প্রজ্ঞাপনবলে তৎকালীন পাকিস্তান শিক্ষা পরিদপ্তরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমস্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অফিসে বদলি করা হয়। স্থপতি মাজহারুল ইসলামের ‘বাস্তুকলাবিদ’ নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হয়। প্রাথমিকভাবে একটি দ্বিতল প্রশাসনিক ভবন, বিভাগীয় অফিস, শ্রেণিকক্ষ ও গ্রন্থাগারের জন্য একতলা ভবন তৈরি করার পাশাপাশি শিক্ষক ও ছাত্রদের আবাসনের ব্যবস্থাও করা হয়।[]

স্বাধীনতা যুদ্ধ ও অন্যান্য আন্দোলনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে স্থাপিত স্মরণ স্মৃতিস্তম্ভে সাত মুক্তিযোদ্ধা

মুক্তিযুদ্ধের পাঁচ বছর পূর্বে চালু হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখে। পরবর্তীতে ১৯৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলন এবং ২০২৪ সালের কোটা-সংস্কার আন্দোলনে (যা পরবর্তীতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রূপ নেয়) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিলো।[১০]

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সম্ভাব্য আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য আজিজুর রহমান মল্লিকের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়েছিল। ২৪ মার্চ স্বাধীনতা সংগ্রামের সমর্থনে প্রাক্তন ছাত্র সমিতির আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে গণসঙ্গীত আয়োজন করা হয়। ২৬ মার্চ পাকিস্তানি সেনারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দখল করে এবং টানা নয় মাস তাদের ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করে। পাকিস্তানি সেনারা এখানে তাদের কনসেনট্রেশন ক্যাম্প বানিয়েছিল। পরবর্তীতে যুদ্ধের শেষে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর জাফর ইমামের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালায় এবং ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাদের আত্মসমর্পণের নয়দিন পর ২৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তানিদের দখলমুক্ত হয়।[১০]

১৯৭১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনী

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, বারোজন শিক্ষার্থী ও তিন জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিহত হন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব প্রদর্শন করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রকৌশল দপ্তরের কর্মচারী মোহাম্মদ হোসেনকে বীরপ্রতীক খেতাব দেয়া হয়।[১১] হোসেন গণবাহিনী (সেক্টর-১)-এর অধীনে নৌ-কমান্ডো হিসাবে যুদ্ধে অংশ নিয়ে ছিলেন।[১২] এই ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের স্মরণে ২০০৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে জিরো পয়েন্ট চত্বরে স্মরণ নামক একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে।[১৩]

মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীদের মধ্যে যারা নিহত হয়েছেন, তারা হলেন:

ক্রমনামবিবরণ
০১বীর প্রতীক মোহাম্মদ হোসেনপ্রকৌশল দপ্তরের চেইনম্যান
০২অবনী মোহন দত্তদর্শন বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক
০৩আবদুর রবচাকসুর সাধারণ সম্পাদক ও ইতিহাস বিভাগের ছাত্র
০৪প্রভাস কুমার বড়ুয়াউপ-সহকারী প্রকৌশলী
০৫মনিরুল ইসলাম খোকাবাংলা বিভাগের ছাত্র
০৬মোহাম্মদ হোসেনবাংলা বিভাগের ছাত্র
০৭মোস্তফা কামালবাংলা বিভাগের ছাত্র
০৮নাজিম উদ্দিন খানঅর্থনীতি বিভাগের ছাত্র
০৯আবদুল মান্নানঅর্থনীতি বিভাগের ছাত্র
১০ফরহাদ উদ-দৌলাইতিহাস বিভাগের ছাত্র
১১খন্দকার এহসানুল হক আনসারিবাণিজ্য অনুষদের ছাত্র
১২আশুতোষ চক্রবর্তীইংরেজি বিভাগের ছাত্র
১৩ইফতেখার উদ্দিন মাহমুদসমাজতত্ত্ব বিভাগের ছাত্র
১৪আবুল মনসুররাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র
১৫ভুবনগণিত বিভাগের ছাত্র[১৪]
১৬ছৈয়দ আহমদআলাওল হলের প্রহরী

শিক্ষাঙ্গন

জাদুঘর

বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর

বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর

১৯৭৩ সালের ১৪ জুন, মধ্যযুগের চারটি কামান নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে জাদুঘরে বেলে পাথরের একাধিক ভাস্কর্যসহ বেশকিছু প্রাচীন পাথরের ভাস্কর্য এবং একটি কামান রয়েছে। জাদুঘর ভবনটি পাঁচটি গ্যালারিতে বিভক্ত: প্রাগৈতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক গ্যালারি, ভাস্কর্য গ্যালারি, ইসলামিক আর্ট গ্যালারি, লোকশিল্প গ্যালারি এবং সমসাময়িক আর্ট গ্যালারি।[১৫]

জাদুঘরের মূল কক্ষের প্রবেশ পথে রয়েছে দ্বাদশ শতকের একটি প্রাচীন শিলালিপি। এখানে অষ্টম শতকের পাহাড়পুর থেকে প্রাপ্ত পোড়ামাটির চিত্রফলক, বৌদ্ধমূর্তি, মধ্যযুগের ১০-১৫টি বিষ্ণুমূর্তি, সৈন্যদের ব্যবহৃত অস্ত্র-শস্ত্র, বিভিন্ন রকম মুদ্রা, প্রাচীন বই, বাদ্যযন্ত্র, আদিবাসীদের বিভিন্ন নিদর্শন, চিনামাটির পাত্র ইত্যাদি সংরক্ষিত রয়েছে। সমসাময়িক আর্ট গ্যালারিতে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন, কামরুল হাসান, রশিদ চৌধুরী, জিয়া উদ্দীন চৌধুরী, নিতুন কুন্ডু চৌধুরীর পেইন্টিং এবং সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদের ভাস্কর্য রয়েছে।[১৬] প্রাগৈতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক আর্ট গ্যালারিতে প্রাচীনকালের চিত্রকর্ম, জীবাশ্ম ও মাটির মূর্তি রয়েছে। ভাস্কর্য গ্যালারিতে রয়েছে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত সময়কালের কাঠের মূর্তি, বিষ্ণুমূর্তি, শিবলিঙ্গ প্রভৃতি। লোকশিল্প গ্যালারিতে সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতকের তামা, পিতল ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র, বেতের ঝুড়ি, মাটির ভাস্কর্য, মাটির পুতুল প্রভৃতির বিশাল সম্ভার রয়েছে। ইসলামিক আর্ট গ্যালারিতে রয়েছে মোগল আমলের কামান, স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, হস্তলিখিত কুরআন, মধ্যযুগীয় অস্ত্র, প্রাচীন মসজিদ ও তাদের ধ্বংসাবশেষের ছবি। জাদুঘরটি সকল দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।

প্রাণিবিদ্যা জাদুঘর

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত প্রাণিবিদ্যা জাদুঘর ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের পাঠক্রমের সমর্থনে সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থাপিত হয়। জাদুঘরে প্রায় ৫৪০টি নমুনা সংরক্ষিত রয়েছে, এর মধ্যে প্রাণীর সংখ্যা ৫৭টি এবং ফরমালিনে সংরক্ষিত নমুনার সংখ্যা ৪৮৫টি।[১৭]

সমুদ্র সম্পদ জাদুঘর

বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের একটি কক্ষে গড়ে তোলা হয়েছে এ জাদুঘর। এখানে ৫৫০টির মতো সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণ করা হয়েছে। এখানে হাঙ্গর থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক মাছ আজব বাণাকেল, অক্টোপাস, শামুক ও বিভিন্ন প্রজাতির সাপ সহ অসংখ্য বিস্ময়কর জীববৈচিত্র‍্যের সংরক্ষণ রয়েছে।[১৭]

স্মৃতিস্তম্ভ ও ভাস্কর্য

বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ

বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বিপরীত পাশে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ অবস্থিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়। তাই স্তম্ভটির অবস্থান বুদ্ধিজীবী চত্বর নামেই পরিচিত। বিখ্যাত শিল্পী রশিদ চৌধুরী স্মৃতিস্তম্ভটির নকশা প্রণয়ন করেন। ১৯৮৫ সালে স্থাপিত স্মৃতিস্তম্ভটিকে এখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সৃজনশীল কর্মের অন্যতম সূতিকাগার হিসাবে ভাবা হয়।[১৮][১৯]

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

ষাটের দশকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর তিনটি স্তম্ভের আদলে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছিল।[২০] পরবর্তীতে প্রাকৃতির দুর্যো‌গে সেটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ায় বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভের বিপরীত পাশে প্রায় দশ শতক জায়গার ওপর[২১] ১৯৯৩ সালে বর্তমান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়।[১০] এটির নকশা প্রণয়ন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক ও ভাস্কর সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ[২০] ত্রিভুজাকৃতির তিনটি মিনারের চূড়ায় রয়েছে একটি শাপলা ফুলের কলি।[২১] বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য রফিকুল ইসলাম চৌধুরী ১৯৯৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।[২১]

স্মরণ স্মৃতিস্তম্ভ

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথেই ২০০৯ সালের ৫ নভেম্বরে স্থাপন করা হয় স্মৃতিস্তম্ভ স্মরণ[১৩] স্মৃতিস্তম্ভটির স্থপতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ সাইফুল কবীর। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ জন শিক্ষক, ১২ জন ছাত্র এবং ৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ সর্বমোট ১৬ জন মুক্তিযোদ্ধার আত্মত্যাগ আর বীরত্বের স্মৃতিস্বরূপ ভাস্কর্যটি নির্মিত হয়েছে। ভূমি থেকে স্মৃতিস্তম্ভের মূল বেদি পর্যন্ত সর্বমোট চারটি ধাপ যার প্রতিটি ধাপই বাংলাদেশের ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করছে। প্রথম ধাপ বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, দ্বিতীয় ধাপ ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, তৃতীয় ধাপ সত্তরের নির্বাচন ও চতুর্থ ধাপে প্রতিফলিত হয়েছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।[১৮][১৯] স্মৃতিস্তম্ভে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতজন মুক্তিযোদ্ধার নাম ও ছবি রয়েছে। তারা হলেন- প্রকৌশল দপ্তরের চেইন ম্যান বীর প্রতীক মোহাম্মদ হোসেন, চাকসুর সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব, শিক্ষার্থী নাজিম উদ্দিন খান, ফরহাদ-উদ-দৌলা, ইফতেখার উদ্দিন মাহমুদ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী প্রভাষ কুমার বড়ুয়া এবং প্রহরী সৈয়দ আহমদ।

স্বাধীনতা স্মৃতি ম্যুরাল

স্বাধীনতা স্মৃতি ম্যুরাল

বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সামনে ভাস্কর্যটির অবস্থান। খ্যাতিমান শিল্পী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক মুর্তজা বশীরের একক প্রচেষ্টায় এটি নির্মিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক সৈয়দ সাইফুল কবীর ভাস্কর্যটির নকশা করেন।[১৯][১৩] ভাস্কর্যটিতে ৪টি পাখির প্রতীকী নির্মাণে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাঙালির ছয় দফা ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ক্রমধারা এবং পাখির ডানায় ২১টি পাথরের টুকরায় লিপিবদ্ধ হয়েছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের স্মৃ‌তি। ভাস্কর্টির মূল ভিত্তি রচিত হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলার ওপর।[১৮] ২৫ মার্চ ২০১০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য আবু ইউসুফ ও উপ-উপাচার্য মোহাম্মদ আলাউদ্দিন এটি উদ্বো‌ধন করেন।[১৩]

জয় বাংলা

জয়বাংলা ভাস্কর্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

বুদ্ধিজীবী চত্ত্বরে নির্মিত জয় বাংলা ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয় অক্টোবর ২০১৮ সালে। সৈয়দ মোহাম্মদ সোহরাব জাহানের নকশাকৃত ভাস্কর্যটির নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৮ সালের মার্চে। এটি তৈরি করতে সময় লাগে নয় মাস। এটির নির্মাণ সহযোগী ছিলেন মুজাহিদুর রহমান মূসা ও জয়াশীষ আচার্য।[২২] বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই ভাস্কর্যের দুটি স্তরের। উপরের অংশে রয়েছে চামড়া সংযুক্ত তিনজন সরাসরি মুক্তিযোদ্ধার অবয়ব; যাাদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। নিচের অংশে ব্যবহৃত ২০টি মানব অবয়বের মধ্যে রয়েছে রয়েছে দুজন পাহাড়ি-বাঙালির অবয়ব, যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি ও বাঙালিদের অংশগ্রহণ তুলে ধরা হয়েছে। বেদি থেকে প্রায় ১৮ ফুট উচ্চতার ভাস্কর্যটির প্রস্থ প্রায় ২০ ফুট। উপরের স্তরে দুই পুরুষ মুক্তিযোদ্ধার উচ্চতা ১১ ফুট এবং নিচের স্তরে প্রতিটি মানব অবয়বের উচ্চতা ‘লাইফ সাইজ’ ফুট হিসাবে বিবেচিত।[২২][২৩] ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভাস্কর্যটি ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী[২৪][২৩]

শিক্ষায়তনিক

অনুষদ ১০[২৫]
বিভাগ ৫৪[২৬]
ইনস্টিটিউট [২৭]
গবেষণাকেন্দ্র [২৮]
অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ ২১

অনুষদসমূহ

আবদুল করিম ভবন, কলা অনুষদ
এ কে খান ভবন, আইন অনুষদ
বিজ্ঞান অনুষদ
সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ
প্রকৌশল অনুষদ
জীব বিজ্ঞান অনুষদ
মেরিন সায়েন্স ও ফিশারিজ অনুষদ

২০২৪ সালের হিসেব অনুযায়ী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯টি অনুষদের অধীনে ৫৪টি বিভাগ রয়েছে।

অনুষদস্থাপিতবিভাগ
কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ১৯৬৬১৪
আইন অনুষদ১৯৬৬০১
বিজ্ঞান অনুষদ১৯৬৯০৫
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ১৯৭০০৬
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ১৯৭১১০
প্রকৌশল অনুষদ২০০১০২
জীব বিজ্ঞান অনুষদ০৯
শিক্ষা অনুষদ০১
চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুষদ০১
মেরিন সায়েন্স ও ফিশারিজ অনুষদ২০১৯০২

ইনস্টিটিউটসমূহ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৭টি ইনস্টিটিউট রয়েছে।

গবেষণা কেন্দ্রসমূহ

বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৬টি গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে।

অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে বর্তমানে ৩৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে:

সরকারি কলেজ
  1. চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম
  2. সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ, চট্টগ্রাম
  3. স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ, চট্টগ্রাম
  4. সরকারি কমার্স কলেজ, চট্টগ্রাম
  5. সাতকানিয়া সরকারি কলেজ, চট্টগ্রাম
  6. সরকারি সিটি কলেজ
  7. গাছবাড়ীয়া সরকারি কলেজ, চন্দনাইশ
  8. চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ
  9. পটিয়া সরকারি কলেজ
সরকারি মেডিকেল কলেজ
  1. চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম
  2. কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা
  3. চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ, চাঁদপুর
  4. আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ, নোয়াখালী
  5. কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, কক্সবাজার
  6. রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ, রাঙ্গামাটি
বেসরকারি মেডিকেল কলেজ
  1. চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম
  2. ইউনাইটেড কেয়ার ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  3. ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা
  4. চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম
  5. বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম
  6. ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  7. ময়নামতি মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা
  8. মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম
  9. সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম
  10. সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা
মেডিকেল ইনস্টিটিউট
  1. চট্টগ্রাম ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজি, চট্টগ্রাম
  2. ইউনাইটেড কেয়ার ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
নার্সিং কলেজ
  1. চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজ, চট্টগ্রাম
  2. ফৌজদারহাট নার্সিং কলেজ, ফৌজদারহাট, চট্টগ্রাম
ডেন্টাল কলেজ
  1. চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম
  2. আর্ট নার্সিং কলেজ, কুমিল্লা
  3. শামসুন নাহার খান নার্সিং কলেজ,চট্টগ্রাম
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
  1. চট্টগ্রাম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, চট্টগ্রাম
  2. নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম
ইনস্টিটিউট
  1. চট্টগ্রাম ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, চট্টগ্রাম
  2. চট্টগ্রাম ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি, চট্টগ্রাম
অন্যান্য
  1. হোম ইকোনমিক্স কলেজ, চট্টগ্রাম

গ্রন্থাগার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ গ্রন্থাগার যা দেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ গ্রন্থাগারগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই গ্রন্থাগারে বর্তমান সংগ্রহ সংখ্যা প্রায় ৩.৫ লক্ষ[২৯] যার মধ্যে রয়েছে বিরল বই, জার্নাল, অডিও-ভিজ্যুয়াল উপাদান, পান্ডুলিপি এবং অন্ধদের জন্য ব্রেইল বই।[][৩০] ১৯৬৬ সালের নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধনের সময় মাত্র ৩০০ বই নিয়ে এই গ্রন্থাগারের যাত্রা শুরু হয়।[৩০] লাইব্রেরিটি ১৯৯০ সালের নভেম্বরে বর্তমান ভবনে স্থানান্তরিত হয়। তিনতলা বিশিষ্ট গ্রন্থাগারটিতে শিক্ষার্থী, গবেষক এবং শিক্ষকদের জন্য পৃথক কক্ষ রয়েছে। গ্রন্থাগার ভবনে একটি মিলনায়তনও রয়েছে। গ্রন্থাগারে ফটোকপির ব্যবস্থা রয়েছে। গ্রন্থাগারটিতে প্রতিদিন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকা পড়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। গ্রন্থাগারটিকে বর্তমানে অটোমেশনের আওতায় আনা হয়েছে।[৩১]

মেডিকেল সেন্টার

মেডিকেল সেন্টার

বিশ্ববিদ্যালয়টির আইন অনুষদের কাছেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার অবস্থিত। এটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে এবং প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষাগুলো করে। এখানে শিক্ষক ও কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যদেরও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এই মেডিকেল সেন্টারে সপ্তাহের প্রতিদিন সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে, যেখানে চিকিৎসকগণ পালা করে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকেন। এই সেন্টারে ১১ জন চিকিৎসক ও ৪টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। এছাড়া মেডিকেল সেন্টার প্রাঙ্গণে ৬টি অস্থায়ী বিছানার ব্যবস্থা রয়েছে।[৩২]

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ জুড়ে রয়েছে আঁকাবাঁকা পথ, পাহাড়ি রাস্তা, বিভিন্ন প্রজাতির গাছ এবং বন্য প্রাণী। প্রায়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাটা পাহাড়, বাণিজ্য অনুষদের পিছনের এলাকা, ফরেস্ট্রি এলাকাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক পরিবেশে ছোট আকারের লালচে বাদামী পিঙ্গল রংয়ের মায়া হরিণ দেখা যায়। এইসব মায়া হরিণগুলো খর্বকায় ও লাজুক স্বভাবের। তবে এই হরিণের প্রকৃত সংখ্যা কত তা জানা নেই।[৩৩] এছাড়াও কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের পেছনে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন পাহাড়ি ঝর্ণা।[৩৪]

আবাসিক হলসমূহ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানে ১২টি আবাসিক হল রয়েছে যার মধ্যে ৮টি ছাত্র হল ও ৪টি ছাত্রী হল।[৩৫] এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে ১টি হোস্টেল রয়েছে।[]

সংগঠন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) হল বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ। সদস্যরা সরাসরি ভোট দিয়ে সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং অন্যান্য পদ নির্বাচন করেন। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠার পরে এখন পর্যন্ত মোট ৬ বার চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় ১৯৭০ সালে। সর্বশেষ ১৯৯০ সালে নির্বাচনের পর এ ছাত্র সংসদের নির্বাচন ২৪ বছর ধরে বন্ধ আছে।

সাংস্কৃতিক

বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে পহেলা ফাল্গুন ১৪২২ উদ্‌যাপন

সাহিত্য

  • চবি বন্ধুসভা
  • বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, চবি শাখা
  • চবিয়ান পাঠচক্র

বিজ্ঞান

  • প্রগতি বিজ্ঞান আন্দোলন
  • বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ
  • বাংলাদেশ ওপেন সায়েন্স অর্গানাইজেশন
  • চবি অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন

রাজনৈতিক

বিতর্ক সংগঠন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি (সিইউডিএস)
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অব ডিবেট (সিইউএসডি)
  • ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং ডিপার্টমেন্ট ডিবেট অ্যাসোসিয়েশন

রক্তদান সংগঠন

  • কণিকা - একটি রক্তদাতা সংগঠন
  • নওগাঁ ব্লাড সার্কেল, চবি শাখা

বিবিধ

  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)
  • বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাব
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হিস্ট্রি ক্লাব
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাব (সিইউসিসি)
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ ও হাইয়ার স্টাডি সোসাইটি
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় তথ্য প্রযুক্তি সমাজ (সিইউআইটিএস)
  • বিএনসিসি সেনা, নৌ ও বিমান শাখা
  • রোভার স্কাউটস

সমাবর্তন

১৯৯৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এর পূর্বে ১৯৮১ সালে একটি বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[] সর্বশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২৫ সালের মে ১৪ তারিখ।

সম্মানসূচক ডক্টরেট প্রদান

সম্মানসূচক ডক্টরেটপ্রাপ্তদের তালিকা
বছরনামউপাধিপরিচয়
১৯৮১আবদুস সালামডক্টর অব সায়েন্সতাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী
২০০৮জামাল নজরুল ইসলামডক্টর অব সায়েন্সএকুশে পদক বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী
২০১৮প্রণব মুখোপাধ্যায়ডক্টর অব লেটার্সভারতের ত্রয়োদশ রাষ্ট্রপতি
২০২৫মুহাম্মদ ইউনূসডক্টর অব লেটার্সনোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা

উপাচার্যবৃন্দ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরবর্তী সময় থেকে এখন পর্যন্ত মোট ২০ জন উপাচার্য দায়িত্ব পালন করেছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য মোহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার

ক্রম চিত্র উপাচার্য থেকে পর্যন্ত
আজিজুর রহমান মল্লিক ০১-১০-১৯৬৬ ৩১-০১-১৯৭২
ইউ এন সিদ্দিকী (ভারপ্রাপ্ত) ২১-০৪-১৯৭১ ৩০-০১-১৯৭২
এম ইন্নাস আলী ০১-০২-১৯৭২ ১৮-০৪-১৯৭৩
আবুল ফজল ১৯-০৪-১৯৭৩ ২৭-১১-১৯৭৫
আব্দুল করিম ২৮-১১-১৯৭৫ ১৮-০৪-১৯৮১
এম এ আজিজ খান[৩৯] ১৯-০৪-১৯৮১ ১৮-০৪-১৯৮৫
মোহাম্মদ আলী ১৯-০৪-১৯৮৫ ২২-০৫-১৯৮৮
আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন ২৩-০৫-১৯৮৮ ২৯-১২-১৯৯১
রফিকুল ইসলাম চৌধুরী ৩০-১২-১৯৯১ ০৬-১১-১৯৯৬
১০ আবদুল মান্নান ০৬-১১-১৯৯৬ ১৩-০২-২০০১
১১ মোহাম্মদ ফজলী হোসেন ১৪-০২-২০০১ ০২-০২-২০০২
১২ এ জে এম নূরুদ্দীন চৌধুরী ০২-০২-২০০২ ০২-০২-২০০৬
১৩ এম বদিউল আলম ০৩-০২-২০০৬ ২৪-০২-২০০৯
১৪ আবু ইউসুফ[৪০] ২৫-০২-২০০৯ ২৮-১১-২০১০[৪১]
১৫ মোহাম্মদ আলাউদ্দীন (ভারপ্রাপ্ত)[৪২] ০৯-১২-২০১০[৪১] ১৪-০৬-২০১১
১৬ আনোয়ারুল আজিম আরিফ[৪৩] ১৫-০৬-২০১১ ০১-০৬-২০১৫
১৭ ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী ১৫-০৬-২০১৫[৪৪][৪৫][৪৬] ১২-০৬-২০১৯[৪৭]
১৮ শিরীণ আখতার ০৩-১১-২০১৯ ১৯-০৩-২০২৪
১৯ মো. আবু তাহের ২০-০৩-২০২৪ ১২-০৮-২০২৪
২০ মোহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার ১৮-০৮-২০২৪ অদ্যাবধি

বিশিষ্ট শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের তালিকা

প্রকাশনা

গবেষণা ও প্রকাশনা কার্যালয়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জার্নাল বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন গবেষণাপত্র প্রকাশের উন্মুক্ত সাধারণ মাধ্যম। পূর্বে এর নাম ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্টাডিজ। আলাদা পৃথক অনুষদের জন্য নামের সাথে প্রত্যয়রূপে অনুষদের নাম যুক্ত হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল অব আর্টস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল অব সোশ্যাল সায়েন্স, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল অব বিজনেস এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল অব ল দুই বছর অন্তর প্রকাশিত হয়।[৪৮] এছাড়াও বাংলা বিভাগ থেকে পান্ডুলিপি, ইতিহাস বিভাগ থেকে ইতিহাস পত্রিকা এবং অর্থনীতি বিভাগ থেকে ইকোনমিক ইকো পত্রিকা প্রকাশিত হয়।[]

যাতায়াত

বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য ট্রেনের ব্যবস্থা রয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রেলওয়ে স্টেশন একক প্লাটফর্ম বিশিষ্ট দেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় রেলওয়ে স্টেশন। এছাড়াও শিক্ষকদের যাতায়াতের জন্য রয়েছে বাস এবং মাইক্রোবাসের ব্যবস্থা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাটল ট্রেন

বিশ্ববিদ্যালয় শাটল

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য ১০টি বগি বিশিষ্ট দুইটি শাটল ট্রেনের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৯ থেকে ১০ হাজার শিক্ষার্থী শাটল ট্রেনে যাতায়াত করে থাকে। বর্তমানে ট্রেন দুইটি দৈনিক সাতবার চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ও ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় রেলওয়ে স্টেশন এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন থেকে পুনরায় বটতলি ও ষোলশহর স্টেশন পর্যন্ত নির্ধারিত সময়সূচী[৪৯] অনুযায়ী যাতায়াত করে।[৫০]

১৯৮০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের একমাত্র বাহন হিসেবে শাটল ট্রেনের প্রথম যাত্রা শুরু হয়।[৫১] বর্তমানে শাটল ট্রেনের পাশাপাশি কমিউটার ট্রেনের ব্যবস্থাও রয়েছে।

চিত্রশালা

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "৫৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কে কত বাজেট পাচ্ছে"thedailycampus.com। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০২৪
  2. 1 2 3 "University of Chittagong"চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০২৪
  3. 1 2 "Our History"University of Chittagong
  4. https://www.alokitobangladesh.com/print-edition/editorial/199671/চট্টগ্রাম-বিশ্ববিদ্যালয়-প্রতিষ্ঠার-সংক্ষিপ্ত-ইতিহাস
  5. বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪)। "৪৯তম বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২" (পিডিএফ) {{সাময়িকী উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি journal এর জন্য |journal= প্রয়োজন (সাহায্য)
  6. 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 ফয়েজুল আজিম (২০১২)। "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর (সম্পাদকগণ)। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন ৯৮৪৩২০৫৯০১ওসিএলসি 883871743ওএল 30677644M
  7. "চবির আয়তন আরো প্রায় ৩৫০ একর বৃদ্ধি"। পরিবর্তনডটকম। ২৮ জুন ২০১৮। ৩ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৯
  8. মামুনুর রশিদ, গণিত বিভাগ, চবি (১৮ নভেম্বর ২০১৬)। "আলোকিত পঞ্চাশ বছর"দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ। ঢাকা। ৬ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৯{{সংবাদ উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: একাধিক নাম: লেখকগণের তালিকা (লিঙ্ক)
  9. খালেদ, মোহাম্মদ; দাশগুপ্ত, অরুণ; হক, মাহবুবুল, সম্পাদকগণ (নভেম্বর ১৯৯৫)। "বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা"। শিক্ষা। হাজার বছরের চট্টগ্রাম (৩৫ বর্ষপূর্তি বিশেষ সংখ্যা)। চট্টগ্রাম: এম এ মালেক, দৈনিক আজাদী: ১৮৬–১৮৭। {{সাময়িকী উদ্ধৃতি}}: |সংগ্রহের-তারিখ= এর জন্য |ইউআরএল= প্রয়োজন (সাহায্য)
  10. 1 2 3 হোসাইন, সাব্বির (২১ মার্চ ২০১৭)। "মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২৬ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  11. রহমান, তারা (১১ নভেম্বর ২০১১)। "স্বাধীনতার ৪০ বছর তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  12. একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা। খণ্ড প্রথম। প্রথমা প্রকাশন। এপ্রিল ২০১২। পৃ. ১৭১। আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৩৩৩৮৮৮৪ {{বই উদ্ধৃতি}}: |সংগ্রহের-তারিখ= এর জন্য |ইউআরএল= প্রয়োজন (সাহায্য)
  13. 1 2 3 4 "ক্যাম্পাসে স্মৃতির মিনার"দৈনিক প্রথম আলো। ২০ মার্চ ২০১১। ১০ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৯
  14. "মুক্তিযুদ্ধের মহানায়কেরা"। দৈনিক পূর্বকোণ। ১৮ নভেম্বর ২০১৬।
  15. "Museums & Collections"cu.ac.bd। ১০ মে ২০১৯। ১০ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৯
  16. শাহদাত হোসাইন (২৭ জানুয়ারি ২০১১)। "CU Museum sinks into obscurity"দ্য ডেইলি স্টার। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৪
  17. 1 2 "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর"। রঙমহল.কম। ১০ মে ২০১৯। ৩০ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৯
  18. 1 2 3 লিপটন কুমার দেব দাস (১৬ ডিসেম্বর ২০১৪)। "এক টুকরো স্বাধীনতা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়"banglatribune.com। ১ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৫
  19. 1 2 3 আশরাফ রেজা (মার্চ ২০১২)। "একাত্তরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় – এক ।। 'স্মৃতির মিনারে' স্বাধীনতার বর্ণিল প্রতিচ্ছবি"দৈনিক আজাদী। চট্টগ্রাম। ২৩ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৫
  20. 1 2 বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক (২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "চবির শহীদ মিনার নিয়ে প্রশ্ন শিক্ষক নেতার"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  21. 1 2 3 "ক্যাম্পাসে শহীদ মিনার"দৈনিক জনকণ্ঠ। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  22. 1 2 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি (২৬ অক্টোবর ২০১৮)। "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য 'জয় বাংলা'"কালের কণ্ঠ। ২৯ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  23. 1 2 চবি প্রতিনিধি (২৫ অক্টোবর ২০১৮)। "চবিতে নির্মিত হলো ভাস্কর্য 'জয় বাংলা'"বাংলা ট্রিবিউন। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  24. "চবিতে মুক্তিযুদ্ধের ফিগারেটিভ ভাস্কর্য 'জয় বাংলা', চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন"দৈনিক সংগ্রাম। ২৯ অক্টোবর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  25. "অনুষদসমূহ"cu.ac.bd। চট্টগ্রাম। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৫
  26. "বিভাগ"cu.ac.bd। চট্টগ্রাম। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৫
  27. "ইনস্টিটিউট"cu.ac.bd। চট্টগ্রাম। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৫
  28. "গবেষণাকেন্দ্র"cu.ac.bd। চট্টগ্রাম। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৫
  29. "গ্রন্থাগার"cu.ac.bd (ইংরেজি ভাষায়)। চট্টগ্রাম: চবি। ৩ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৫
  30. 1 2 গাজী মোহাম্মদ নুরউদ্দিন। "প্রাচীন পুঁথি-পাণ্ডুলিপির বিশাল সংগ্রহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার"দৈনিক আজাদী। ২৩ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১৫
  31. শাহদাত হোসাইন (১০ ফেব্রুয়ারি ২০১১)। "A treasure trove of knowledge"দ্য ডেইলি স্টার)। ২৪ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৪
  32. "Different Facilities : Health Services: The University of Chittagong Medical Centre"www.cu.ac.bd। চবি। ২১ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১৬
  33. রফিকুল ইসলাম (২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: যে ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ায় মায়া হরিণ…"campuslive24.com। চট্টগ্রাম: campuslive24.com। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৫
  34. চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি (১৪ অক্টোবর ২০১৫)। "ঝরনার পাড়ে যেতে নিষেধাজ্ঞা"প্রথম আলো। চট্টগ্রাম: প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১৫
  35. 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 "Residence Halls"। চবি। ১০ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৯
  36. 1 2 সাফাত জামিল শুভ (৯ অক্টোবর ২০১৫)। "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি"ournewsbd.com। ournewsbd। ৩১ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১৫
  37. Nayan (১০ জুন ২০২৪)। "চবি কেন্দ্রীয় মসজিদে কুরআন পাঠ প্রতিযোগিতা"দৈনিক আজাদী (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২৪
  38. Editor। "চবিয়ান দ্বীনি পরিবারের আয়োজনে কুরআন পাঠ প্রতিযোগিতা" (ইংরেজি ভাষায়)। ১২ জুন ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২৪ {{সংবাদ উদ্ধৃতি}}: |শেষাংশ= প্যারামিটারে সাধারণ নাম রয়েছে (সাহায্য)
  39. "Professor Abdul Aziz Khan"bas.org.bd। বাংলাদেশ: বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি। ২০১৫। ৯ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৫
  40. "Office of the Vice Chancellor" [উপাচার্যের দপ্তর]চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
  41. 1 2 "Dr Alauddin made CU acting VC"BDBews24.com। ৯ ডিসেম্বর ২০১০। ১৯ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১০
  42. "University of Chittagong"cu.ac.bd। ২০ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২
  43. "Professor Anwarul Azim Arif made CU acting VC"দৈনিক প্রথম আলো। ১৪ জুন ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১১[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  44. "Prof. Dr. Iftekhar Uddin Chowdhury has been appointed as the 17th Vice-Chancellor of the University of Chittagong"cu.ac.bdচট্টগ্রাম: চবি। ৬ মার্চ ২০১৫। ১৩ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১৫
  45. "ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী চবির নতুন উপাচার্য"। www.ntvbd.com। ৩ জুন ২০১৫। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৫
  46. মংক্যথোয়াই মারমা (২ জুন ২০১৫)। "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ"priyo.com। প্রিয়। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৫[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  47. "Office of the Vice Chancellor – University of Chittagong" (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। ৪ জুন ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০২৩
  48. "Publication in the University of Chittagong"cu.ac.bd (ইংরেজি ভাষায়)। চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ১ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৫
  49. "যাতায়াত"। ১০ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৯
  50. শাখাওয়াত হোসাইন (১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "চবি শাটল ট্রেন বটতলী যায় না দেড় বছর"দৈনিক কালের কণ্ঠঢাকা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৫[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  51. "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাটল ট্রেন : শিক্ষার্থীদের আনন্দ-বেদনার প্রতিচ্ছবি"probashikantha.com। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৫[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ