বিষয়বস্তুতে চলুন

ভারতীয় প্রকৌশল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান, শিবপুর

ভারতীয় প্রকৌশল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান, শিবপুর
প্রাক্তন নাম
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, কলকাতা (১৮৫৪-১৯২১)
বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (১৯২১-২০০৪)
বেঙ্গল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (২০০৪-২০১৪)
নীতিবাক্যउत्तिष्ठत जाग्रत प्राप्य वरान्निबोधत (সংস্কৃত)
বাংলায় নীতিবাক্য
জেগে ওঠো, জাগো এবং তোমার লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত থামো না
ধরনসরকারি গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়
স্থাপিতআনু.১৮৫৬; ১৬৮ বছর আগে (1856)
বাজেট ১৭১.৪৩ কোটি (ইউএস$ ২০.৯৫ মিলিয়ন)
(২০২১-২২ est.)[]
চেয়ারম্যানভি কে আত্রে
পরিচালকপার্থসারথি চক্রবর্তী
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ
২৮৪ (২০২৩)[]
শিক্ষার্থী৪,৪৯৩ (২০২৩)[]
স্নাতক২,৭৭৯ (২০২৩)[]
স্নাতকোত্তর৮৮৫ (২০২৩)[]
৮২৯ (২০২৩)[]
অবস্থান, ,
ভারত

২২°৩৩′২১″ উত্তর ৮৮°১৮′২০″ পূর্ব / ২২.৫৫৫৮৩° উত্তর ৮৮.৩০৫৫৬° পূর্ব / 22.55583; 88.30556
শিক্ষাঙ্গননগরাঞ্চলীয়
১২৩ একর (৫০ হেক্টর)
ওয়েবসাইটwww.iiests.ac.in উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
মানচিত্র
ভারতীয় প্রকৌশল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান, শিবপুর, হাওড়া
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় আই আই ই এস টি-তে নতুন ফ্যাকাল্টি উদ্বোধন করছেন

ভারতীয় প্রকৌশল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান, শিবপুর (ইংরেজি: Indian Institute of Engineering Science and Technology, Shibpur) ভারতের প্রাচীনতম ও অগ্রণী ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে অন্যতম। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়া শহরের শিবপুরে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে ও বহির্ভারতে শিক্ষা ও গবেষণাক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফলিত বিজ্ঞান শাখার একটি উৎকৃষ্ট প্রতিষ্ঠানরূপে স্বীকৃত। ২০০৫ সালে ইন্ডিয়া টুডে পত্রিকার রেটিং অনুযায়ী এটি দেশের সেরা দশটি (টপ টেন) ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি বিবেচিত হয়। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে এটি বর্তমানে ভারতের একটি অভিজাত শিক্ষাকেন্দ্র।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]
বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘড়ি ঘর

শিবপুরের ভারতীয় প্রকৌশল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠানের আদি নাম বিশপস কলেজ। মাত্র দশ জন ছাত্র ও সামান্য কয়েকজন শিক্ষাকর্মী নিয়ে এই কলেজটি ১৮৫৬ সালের ২৪ নভেম্বর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নামে কলকাতার মহাকরন বিল্ডিং-এ শুরু হয়। ১৮৬৫ থেকে ১৮৭৯ সাল পর্যন্ত এটি প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট হিসেবে কাজ করে। ১৮৮০ সালে কলেজটি হাওড়ার বিশপস কলেজের বিশাল ক্যাম্পাসে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত হয়। ১৯২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পুনরায় নাম পরিবর্তন করে এই কলেজের নাম বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (বি. ই. কলেজ, শিবপুর) রাখা হয়। শিবপুর শব্দটি অবশ্য ১৯২১ সালের ২৪ মার্চ মুছে ফেলা হয়।

১৮৫৭ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত এটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কলেজ ছিল। জাতির প্রতি এই প্রতিষ্ঠানের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৯২ সালে এই কলেজটিকে ডিমড বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেওয়া হয় এবং তার নাম হয় বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (ডিমড্ ইউনিভার্সিটি)। ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ড. শঙ্কর দয়াল শর্মা ১৯৯৩ সালের ১৩ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে এই ডিমড বিশ্ববিদ্যালয়টি উদ্বোধন করেন। ২০০৪ সালের ১ অক্টোবর এই প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাণ্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি, শিবপুর নামে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা পায়। ২০০৫ সালের ১৩ জুলাই ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ড. এ পি জে আব্দুল কালাম আনুষ্ঠানিকভাবে বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি, শিবপুর (বেসু)-র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

আইআইইএসটি নামকরণ

[সম্পাদনা]

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায় ২০১৪ সালের ২৪ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে একশো আটান্ন বৎসর অতিক্রম করা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে 'ভারতীয় প্রকৌশল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান' নতুন নামকরণ করে জাতির প্রতি উৎসর্গ করেন।[]

বিখ্যাত প্রাক্তনীরা

[সম্পাদনা]

এই প্রতিষ্ঠানের বহু প্রাক্তনী সমাজের বিভিন্ন ভূমিকায় অবদান রেখেছেন।

নামবিভাগসময়কালঅবদান
স্যার রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়--মার্টিন বার্ন কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা
স্যার বীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়--ইস্কোর প্রতিষ্ঠাতা
ড. ফজলুর রহমান খানস্থাপতবিদ্যা-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়ার্স টাওয়ারের রূপকার
শ্যামলভূষণ ঘোষ দস্তিদার--দিল্লির রেলওয়ে বোর্ডের সভাপতি, পদ্মশ্রী প্রাপক

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. 1 2 3 4 5 6 "NIRF 2023" (পিডিএফ)। IIEST Shibpur।
  2. https://www.indiainfoline.com/article/news-top-story/president-opens-india-s-first-iiest-in-shibpur-howrah-west-bengal-114082500019_1.html