বিষয়বস্তুতে চলুন

শংকরবাটী হেফজুল উলুম ফায়েজা খানম কামিল মাদ্রাসা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শংকরবাটি হেফজুল উলুম ফায়েজা খানম কামিল মাদ্রাসা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
মাদ্রাসার লোগো
ধরনএমপিও ভুক্ত
স্থাপিত১৯৩৯; ৮৬ বছর আগে (1939)
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া (২০০৬- ২০১৬)
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (২০১৬- বর্তমান)
মাধ্যমিক অন্তর্ভুক্তিবাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড
শিক্ষার্থীআনু. ১১০০
ঠিকানা
১১ নং ওয়ার্ড
, , ,
শিক্ষাঙ্গনশহুরে
EIIN সংখ্যা১২৪৫৬১
ক্রীড়াক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, ব্যাটমিন্টন
এমপিও সংখ্যা৮৫০৪০৬২৪০১
ওয়েবসাইটhttp://124561.ebmeb.gov.bd/

শংকরবাটি হেফজুল উলুম ফায়েজা খানম কামিল মাদ্রাসা বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার একটি উল্লেখযোগ্য আলিয়া মাদ্রাসা[] এটি সদর উপজেলার পৌরসভা এলাকার ১১ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত একটি কামিল মাদ্রাসা[] এটি স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ইসলামি ব্যক্তিত্ব দ্বারা ১৯৩৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। এটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ইসলামি শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকা রেখেছে। বর্তমানে এই মাদ্রাসায় প্রায় ১২০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। মাদ্রাসার বর্তমান অধ্যক্ষের নাম মাওলানা মো: আব্দুল খালেক রাহমানি। এটি ইসলামি ফাজিল ও কামিল ডিগ্রি প্রদানের জন্য ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত রয়েছে।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

১৯৩৯ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইসলামি শিক্ষার বিস্তারের জন্য এই মাদ্রাসাটি স্থানীয় আলেমগণ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। অল্প সময়ের মধ্যে মাদ্রাসাটির জনপ্রিয়তা ও শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। মাদ্রাসাটি ভারত বিভাজনের আগ পর্যন্ত কলকাতা মাদ্রাসা অনুকরণে পরিচালিত হতো। তবে ১৯৪৭ এর পর মাদ্রাসাটি পূর্ব পাকিস্তান মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীনে চলে আসে। এরপর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করলে এটি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের নিয়ন্ত্রাধীন হয়ে যায়।

২০০৬ সালে মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য বাংলাদেশের সকল আলিয়া মাদ্রাসার সাথে এই মাদ্রাসাটিও কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি লাভ করে।[] পরে ২০১৬ সালে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ হলে, মাদ্রাসাটি এখানে স্থানান্তরিত হয়।[]

শিক্ষা কার্যক্রম

[সম্পাদনা]

এই মাদ্রাসায় ইবতেদায়ী শাখা থেকে কামিল শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। মাদ্রাসার বিজ্ঞান ও মানবিক উভয় শাখা চালু রয়েছে। এই মাদ্রাসায় পাঠদানের জন্য ৪২ জন নিয়মিত শিক্ষক রয়েছেন। এখানে একাডেমিক, প্রশাসনিক ও অনন্য ভবন মিলিয়ে ৬টি ভবন রয়েছে। নতুন আরো একটি ৪র্থ তলা বিশিষ্ট ছাত্রাবাসা নির্মানাধীন রয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে আগত শিক্ষার্থীরা এখানে স্বাচ্ছন্দে বিদ্যার্জন করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।বাইরে থেকে আগত শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হোস্টেলের ব্যবস্থা রয়েছে।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Sankarbaty Hefzul Ulum Fayeza Khanum Kamil Madrasha - Sohopathi | সহপাঠী" (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। ২ জুলাই ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০২২
  2. "শংকরবাটি হেফজুল উলুম কামিল মাদ্রাসার উদ্যোগে বিতর্ক সভা!"mohanonda24.com। ৩ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০২২
  3. "আলিয়া মাদরাসার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ"lekhapora24.net। ১৬ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২১
  4. "মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে প্রত্যাশা"SAMAKAL (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০২১