সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্র
| সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্র | |
|---|---|
| দেশ | বাংলাদেশ |
| অঞ্চল | বঙ্গোপসাগর |
| সমুদ্রতীরাতিক্রান্ত/ডাঙাবর্তী | সমুদ্রতীরাতিক্রান্ত |
| ক্ষেত্রের ইতিহাস | |
| আবিষ্কার | ১৯৯৪ |
| উৎপাদন সূচনা | ১৯৯৬ |
| পরিত্যক্ত | ২০১৪ |
সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্র বাংলাদেশের একটি প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র। এটি বাংলাদেশের একমাত্র সামুদ্রিক গ্যাসক্ষেত্র যা বর্তমানে সমুদ্রবক্ষে ১৬ নং ব্লকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।[১] ১৯৯৬ সালে অগভীর সমুদ্রে, চট্টগ্রামের সলিমপুরের কাছে স্থলভাগ থেকে ৫০ কিমি দুরত্বে বঙ্গোপসাগরে এই গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করা হয়।[২] এর অপারেশনের দায়িত্বে ছিল অস্ট্রেলীয় বহুজাতিক কোম্পানি সান্তোস। ২০১৪ সাল থেকে এর উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয়।
গ্যাস উৎপাদন
[সম্পাদনা]১৯৯৮ সালে ব্রিটিশ তেল কোম্পানি কেয়ার্ন এনার্জি এটি থেকে গ্যাস উৎপাদন শুরু করে। শুরুতে এটি থেকে দৈনিক প্রায় ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হয়। পরে তা বেড়ে দৈনিক ১৪০ থেকে ১৬০ মিলিয়ন ঘনফুট বা তার বেশি মাত্রায় পৌঁছে। উৎপাদন মাত্রা ২০০৯ সালে গড়ে দৈনিক ৪৯ মিলিয়ন ও ২০১১ সালে গড়ে দৈনিক ১৮ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে যায়। ২০১৩ সালের শেষের দিকে এটি থেকে উৎপাদন দৈনিক দুই থেকে তিন মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে এলে এটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।[৩] পেট্রোবাংলার হিসেবে অনুযায়ী, ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রায় ৪৮৮ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হয়।[৩]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Cairn installs compressor to extend economic life to Sangu[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা।
- ↑ ইউনুস, সবুজ (২৩ ডিসেম্বর ২০১৭)। "সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে শ্নথগতি"। সমকাল। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৮।
- 1 2 ইমাম, বদরূল (৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। "মৃত গ্যাসক্ষেত্র সাঙ্গু—ময়নাতদন্ত"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৮।