বিষয়বস্তুতে চলুন

হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়

হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
অবস্থান
মানচিত্র

,
বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২২°২১′১″ উত্তর ৯১°৫০′৫″ পূর্ব / ২২.৩৫০২৮° উত্তর ৯১.৮৩৪৭২° পূর্ব / 22.35028; 91.83472
তথ্য
প্রাক্তন নামচট্টগ্রাম মাদ্রাসা (১৮৭৪– ১৯২৭)
ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (১৯২৭– ১৯৭৯)
ধরনডাবলশিফট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়
নীতিবাক্যপ্রভু আমাকে জ্ঞান দান কর
প্রতিষ্ঠাকাল১৮৭৪; ১৫০ বছর আগে (1874)
প্রতিষ্ঠাতামহসিন ফান্ড
ইআইআইএন১০৪৪৮৮ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রধান শিক্ষকআজিজুল হক নিজামী
শিক্ষকমণ্ডলী২৬
কর্মচারী
শ্রেণি৫ম- ১০ম
লিঙ্গবালক
শিক্ষার্থী সংখ্যাআনু.৯৮০ (২০২৩)
শিক্ষা ব্যবস্থাজাতীয় শিক্ষাক্রম
শিক্ষায়তন৭ একর
ক্যাম্পাসের ধরনপাহাড়ি, শহুরে
রং    আকাশী নীল, সাদা, সমুদ্র নীল
ক্রীড়াফুটবল, ক্রিকেট
প্রকাশনাউজ্জীবন
অন্তর্ভুক্তিচট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড
ওয়েবসাইটhmmghs.edu.bd

হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় চট্টগ্রামে অবস্থিত একটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি ১৮৭৪ খ্রিষ্টাব্দে মুহসিনীয়া মাদ্রাসা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে হাইস্কুলে পরিণত হয়।[] এটি চকবাজারের কলেজ রোডে অবস্থিত।

২০২২ সালে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক

বিদ্যালয়টিতে দ্বৈত শাখায় পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণীতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিদ্যালয়টি চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে নবম স্থান লাভ করে।[][] ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায়ও বিদ্যালয়টি চট্টগ্রামের সেরা বিদ্যালয়ের তালিকায় ছিল।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

১৮৭৪ খ্রিষ্টাব্দে মহসিন ফান্ডের অর্থ থেকে কাশিমবাজার মৌজার একটি পাহাড়ে মুহসিনীয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে স্থানীয় শিক্ষানুরাগীরা। প্রতিষ্ঠাকালীন মাদ্রাসাটি পর্তুগিজ ভবনে কার্যক্রম শুরু করেছিল।[] ১৮৭৯ সালে ত্রিশ হাজার টাকার বিনিময়ে ইংরেজদের নিকট থেকে পাহাড়টি ক্রয় করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। ১৯২৭ সালে মাদ্রাসার সিলেবাসে ইংরেজি যুক্ত করে নিউস্কীম মাদ্রাসায় উন্নিত করার পর এর নাম হয় ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ। ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে কলেজটিকে হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে রূপান্তর করা হয়। তখন কলেজটির সাথে হাইস্কুলটি পরিচালিত হতো। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে বিদ্যালয়টি কলেজ প্রশাসন হতে আলাদা হয়ে স্বাধীন প্রশাসন পায়। ২০০৭ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয়টিতে শুধু মুসলিম শিক্ষার্থীদের ভর্তির প্রচলন ছিল।[] ২০০৮ সালে বিদ্যালয়টি ডাবলশিফটে উন্নিত হয়।[] ২০০৯ সাল হতে প্রাতঃ শাখার কার্যক্রম শুরু হয়।

শিক্ষাঙ্গন

[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসটি কলেজ রোডে গণি বেকারী মোড়ে অবস্থিত। বিদ্যালয়ের এলাকায় জামালখানচকবাজার এলাকার অংশ রয়েছে। তবে এলাকাটি চকবাজার থানার অন্তর্গত। বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি কিছু একর পাহাড়ী জায়গা জুড়ে অবস্থিত।

জমি বিরোধ

[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়টির সাথে পার্শ্ববর্তী হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের ৬১১ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ১৯৯৬ সালে বিদ্যালয়টি এই কলেজের প্রশাসন থেকে পৃথক হয় ও স্বাধীন প্রশাসন পায়। তখন বিদ্যালয়টিকে ৭০০ শতাংশ জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। তখন মিসকিন শাহ্ মাজারের পশ্চিমে একটি দ্বিতল ও একটি নির্মাণাধীন তিন তলা ভবনে বিদ্যালয়টি কার্যক্রম চালিয়েছিল। যার মধ্যে একটি ১৯৯৪ সালে নির্মিত। পরবর্তীতে, একটি তদন্ত কমিটি মোট জমির এক-চতুর্থাংশ বিদ্যালয়কে প্রদানের সুপারিশ করে।[] বর্তমানে বিদ্যালয়ের জমির পরিমাণ ৮৯ শতাংশ।[]

শিক্ষা কার্যক্রম

[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়টিতে ছাত্রদের পঞ্চম থেকে অধ্যায়নের সুযোগ থাকে। বিদ্যালয়টিতে ২০১২ সালে দুইটি শিফটে ১,১০০ শিক্ষার্থীর জন্য কেবল ৯ জন শিক্ষক ছিলেন। ডাবলশিফট বিদ্যালয়ে উন্নিত হওয়ার পর শিক্ষকদের পদসংখ্যা বৃদ্ধি না করার ফলে এটি ঘটেছিল।[১০] ১৯৯৬ সালে পৃথকীকরণের সময় এই পদসংখ্যা ১৭ থেকে ১১ করা হয়েছিল। ২০১৩ সালে শিক্ষক পদ ১৮ এ উত্তীর্ণ করা হয়। যদিও অধিকাংশ সরকারি হাই স্কুল এ শিক্ষক পদ সংখ্যা ৫২। বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক নিয়োগকৃত শিক্ষকের পদসংখ্যা ২১টি। তাছাড়া কয়েকজন খন্ডকালীন শিক্ষক ও কর্মচারী বেসরকারি অর্থায়নে নিয়োগ পান।

এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল

[সম্পাদনা]
সন পরীক্ষার্থী জিপিএ৫ পাশের হার
২০২৫ ১৬৯ ১০৫ ১০০%
২০২৪ ১৫৩ ৮৬ ৯৯.৩৪%
২০২৩ ১৬৩ ৮৮ ১০০%
২০২২ ১১৭ ৮৪ ৯৯.১৪%
২০২১ ১৩৩ ৬৩ ১০০%
২০২০ ১৩৭ ৪৪ ৯৯.২৭%
২০১৯ ১৪৩ ৫২ ৯৯.৩০%
২০১৮ ১৪৭ ৪৭ ৯৭.৯৬%
২০১৭ ১১৩ ২৭ ১০০%
২০১১ ১৮৮ ১৯ ৯২.৫৫%
২০০৪

শিক্ষার্থী ভর্তি পদ্ধতি

[সম্পাদনা]

২০২০ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত প্রতি বছর শূন্য আসনে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। তখন বিদ্যালয়টি 'খ' ক্লাস্টারভুক্ত ছিল। ৫ম শ্রেণীতে ১৬০ জন, প্রয়োজ্য শ্রেণীসমূহে ও ৯ম শ্রেণীতে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো।[১১] উক্ত বিদ্যালয় সহ চট্টগ্রামের আরও ৮টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো। ভর্তি পরীক্ষায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তথ্য দুটি মেধাতালিকায় এবং অপেক্ষমাণ তালিকায় প্রকাশ করা হতো। তালিকায় বিজোড় ক্রমিক ও জোড় ক্রমিক স্থান অধিকারীরা যথাক্রমে প্রাতঃ ও দিবা শাখায় ভর্তির সুযোগ পেতো। তবে ২০২১ শিক্ষাবর্ষ হতে মাউশি লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করছে। এছাড়া, মিচ্যুয়াল ট্রান্সফারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারে।

সংগঠন

[সম্পাদনা]

চিত্রমালা

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়"hmmghs.edu.bd
  2. "কলেজিয়েট-খাস্তগীরকে পেছনে ফেলে সেরাদের শীর্ষে মুসলিম হাই"cvoice24.com
  3. "পাসের দিক দিয়ে সবার সেরা মুসলিম হাইস্কুল"dailypurbodesh.com[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "চট্টগ্রামে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত সেরা ৩৫ স্কুল, সবার উপরে কলেজিয়েট"dainikazadi.net
  5. "সুড়ঙ্গপথে লুটের মালামাল এনে রাখতো পর্তুগিজ জলদস্যুরা"banglanews24.com
  6. "2 govt high schools in Ctg run sans minority students for a century, Correction"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৬। ১৮ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত।
  7. "New shifts in five govt schools soon - The Daily Star"thedailystar.net। ২০০৮।
  8. উজ্জীবন বার্ষিকী ২০২৩ - হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।
  9. "দৈনিক আজাদী,২৯ই জুন ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ"www.edainikazadi.net। ২৯ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০২১{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: বট: মূল ইউআরএলের অবস্থা অজানা (লিঙ্ক)
  10. "Teachers' Shortage at Mohsin School.Future of students uncertain"www.thedailystar.net (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০২১
  11. "ভর্তি ও ফলাফল তথ্য"। ৯ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১২

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]