হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেদান্ত
![]() বইটির ১৯০১ সালের সংস্করণের প্রচ্ছদ | |
| লেখক | স্বামী বিবেকানন্দ |
|---|---|
| প্রকাশনার স্থান | ইংল্যান্ড, ভারত |
| ভাষা | ইংরেজি, বাংলা |
| বিষয় | দর্শন |
| প্রকাশক | উদ্বোধন কার্যালয়, কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস |
প্রকাশনার তারিখ | ১৮৯৬ |
| পৃষ্ঠাসংখ্যা | ৫৮ |
| আইএসবিএন | ৯৭৮-১-১৪৭-০৩৩৭৯-৩ |
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেদান্ত (মূল ইংরেজি বইটির নাম: বেদান্ত ফিলোজফি: অ্যান অ্যাড্রেস বিফোর দ্য গ্র্যাজুয়েট ফিলোজফিক্যাল সোসাইটি) স্বামী বিবেকানন্দের একটি বক্তৃতা-সংকলন বই। মূল বক্তৃতাটি ১৮৯৬ সালের ২৫ মার্চ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট ফিলোজফিক্যাল সোসাইটিতে দেওয়া হয়। এই বক্তৃতার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিবেকানন্দকে প্রাচ্য দর্শনের চেয়ারটি দিতে চেয়েছিল।[১]
প্রেক্ষাপট
[সম্পাদনা]১৮৯৩ সালে বিশ্বধর্ম মহাসভায় বেদান্ত, হিন্দুধর্ম ও ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন বিবেকানন্দ। সেখানে তাঁর বক্তৃতাগুলি বেশ জনপ্রিয় হয়। তারপর চার বছর বিবেকানন্দ যুক্তরাষ্ট্র ও ইংল্যান্ডের নানা শহরে বক্তৃতা দিয়ে বেড়ান। ১৮৯৬ সালের ২৫ মার্চ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট ফিলোজফিক্যাল সোসাইটিতে বিবেকানন্দ বেদান্ত দর্শনের উপর একটি বক্তৃতা দেন। সেই বছরই পরের দিকে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে বক্তৃতাটি প্রকাশিত হয়।[২] এই বক্তৃতার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিবেকানন্দকে প্রাচ্য দর্শনের চেয়ার প্রদান করতে চেয়েছিল। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।[১][৩][৪] বইটির বঙ্গানুবাদ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেদান্ত নামে উদ্বোধন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত হয় এবং স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা সংকলনের দ্বিতীয় খণ্ডের অন্তর্ভুক্ত হয়।
বিষয়বস্তু
[সম্পাদনা]এই বক্তৃতায় বিবেকানন্দ বিস্তারিতভাবে বেদান্ত দর্শন নিয়ে আলোচনা করেন। বেদান্তের ইতিহাস, মানব জীবনে বেদান্তের প্রভাব, বেদান্তের নানা শাখা, দ্বৈতবাদ ও অদ্বৈতবাদ, মানুষের মনস্তত্ত্ব এবং মানুষের ইচ্ছাশক্তি সহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে এই বইতে।[৫]
বক্তৃতায় বিবেকানন্দ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বাসিন্দাদের মানসিকতার পার্থ্যকের দিকটি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রাচ্য সভ্যতা পাশ্চাত্যের তুলনায় অনেক প্রাচীন। আর তাই প্রাচ্য সভ্যতায় দয়ার স্থান বেশি, পাশ্চাত্যের সভ্যতা অনেক বেশি নির্দয়। বিবেকানন্দের মতে, পাশ্চাত্যে "আন্তরিকতার সংস্কৃতি" ক্ষমতার আগ্রাসনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না। বিবেকানন্দ আরো বলেন, পাশ্চাত্যে খুব কম লোকই নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। তাঁর মতে, পাশ্চাত্যবাসীর নম্র ও ভদ্র হতে অনেক সময় লাগবে।[৫]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- 1 2 Gupta, Raj Kumar (১ জানুয়ারি ১৯৮৬)। The Great Encounter: A Study of Indo-American Literary and Cultural Relations। Abhinav Publications। পৃ. ১১৮–। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭০১৭-২১১-৬। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৩।
- ↑ "The Vedanta Philosophy (preface)"। Cambridge University Press। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৩।
- ↑ Rajagopal, Chattopadhyay (১ জানুয়ারি ১৯৯৯)। Swami Vivekananda in India: A Corrective Biography। Motilal Banarsidass Publ.। পৃ. ৩৫৯–। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-২০৮-১৫৮৬-৫। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৩।
- ↑ James, William (১৯৭৫)। Pragmatism। Harvard University Press। পৃ. ১৬৭–। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৬৭৪-৬৯৭৩৫-৫। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৩।
- 1 2 Vivekananda (1999/March 2010)। The Vedanta Philosophy: An Address Before the Graduate Philosophical Society of Harvard University, March 25, 1896। Delhi: BiblioLife/Motilal Banarsidass Publishers। পৃ. ২৫–৩০। আইএসবিএন ৯৭৮-১-১৪৭-০৩৩৭৯-৩। সংগ্রহের তারিখ 6 March 2013।
{{বই উদ্ধৃতি}}:|তারিখ=এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- The Vedanta philosophy. An address before the Graduate Philosophical Society of Harvard University। Archive.org। ২৫ মার্চ ১৮৯৬। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৩।

