বিষয়বস্তুতে চলুন

ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৭১

পরীক্ষিত
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ থেকে পুনর্নির্দেশিত)
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৭১
ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধ, স্নায়ুযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অংশ

প্রথম সারি: লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ.এ.কে. নিয়াজী, পাকিস্তানি পূর্ব কমান্ডের কমান্ডার, ঢাকায় আত্মসমর্পণের দলিল সই করছেন, ভারতীয় পূর্ব কমান্ডের জিএসসি-ইন-সি লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিত সিং অরোরা উপস্থিত। ডানদিকে অল ইন্ডিয়া রেডিওর সুরোজিত সেন একটি মাইক্রোফোন হাতে দাঁড়িয়ে আছেন।
দ্বিতীয় সারি (বামে থেকে ডানে): ভাইস অ্যাডমিরাল নীলকান্ত কৃষ্ণন (পূর্ব নৌ কমান্ডের এফওসি-ইন-সি), এয়ার মার্শাল হরি চাঁদ দেওয়ান (পূর্ব বিমান কমান্ডের এওসি-ইন-সি), লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাগত সিং (৪র্থ কোরের কমান্ডার), মেজর জেনারেল জেএফআর জ্যাকব (পূর্ব কমান্ডের সিওএস) এবং ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট কৃষ্ণামূর্তি (জ্যাকবের কাঁধের উপরে তাকিয়ে আছেন)।
তারিখ৩–১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১
(১ সপ্তাহ ও ৬ দিন)
অবস্থান
ফলাফল ভারতের বিজয়[][][]
পূর্ব ফ্রন্ট:
পূর্ব পাকিস্তান সামরিক কমান্ডের আত্মসমর্পণ
পশ্চিম ফ্রন্ট:
একতরফা যুদ্ধবিরতি[][][]
অধিকৃত
এলাকার
পরিবর্তন

পূর্ব ফ্রন্ট:

পশ্চিম ফ্রন্ট:

  • ভারতীয় বাহিনী পশ্চিমে প্রায় ১৫,০১০ কিমি (৫,৭৯৫ মা) জমি দখল করেছিল কিন্তু ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তিতে সদিচ্ছার ইঙ্গিত হিসাবে এটি ফিরিয়ে দেয়।[][][]
  • ভারত জম্মু ও কাশ্মীরে অর্জিত ৮৮৩ বর্গ কিলোমিটার (৩৪১.১ বর্গ মাইল) এলাকা বজায় রেখেছে, যখন পাকিস্তান ৫৩ বর্গ কিলোমিটার (২০.৪ বর্গ মাইল) এলাকা ধরে রেখেছে। [১০]
বিবাদমান পক্ষ
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী

ভারত ইন্দিরা গান্ধী
ভারত স্বরণ সিং
শ্যাম মানেকশ’
জগজিত সিং অরোরা
গোপাল গুরুনাথ বেউর
সগত সিং
জে এফ আর জ্যাকব
সর্দারীলাল মথরদাস নন্দ
সৌরেন্দ্র নাথ কোহলি
নীলকান্ত কৃষ্ণন
প্রতাপ চন্দ্র লাল
হরি চাঁদ দেওয়ান


বাংলাদেশ শেখ মুজিবুর রহমান
টেমপ্লেট:দেশের উপাত্ত Provisional Government of Bangladesh আতাউল গণি ওসমানী


পাকিস্তান ইয়াহিয়া খান
এ কে নিয়াজী আত্মসমর্পণকারী
রাও ফরমান
টিক্কা খান
ইফতিখার জানজুয়া  
মুজাফফর হাসান
রশিদ আহমেদ
মোঃ শরীফ  আত্মসমর্পণকারী
এম এ কে লোধি
লেসলি নরম্যান
আব্দুল রহিম খান
ইনামুল হক আত্মসমর্পণকারী
জেড.এ. খান আত্মসমর্পণকারী

পাকিস্তান আব্দুল মোতালেব মালিক  আত্মসমর্পণকারী
শক্তি

ভারতের সামরিক বাহিনী: ৮২৫,০০০[১১] – ৮৬০,০০০[১২]

মুক্তিবাহিনী: ১৮০,০০০[১৩]

পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী: ৩৫০,০০০[১৪] – ৩৬৫,০০০[১২]

রাজাকার: ৩৫,০০০[১৫]
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি

 ভারত
২,৫০০[১৫]–৩,৮৪৩ নিহত[১৬][১৭]
৯,৮৫১[১৬]–১২,০০০[১৮] আহত

নিরপেক্ষ দাবি[১৫]

ভারতীয় দাবি

পাকিস্তানের দাবি

 পাকিস্তান
৯,০০০ নিহত[১৫]
২৫,০০০ আহত[১৮]
৯৩,০০০ বন্দী
ডেস্ট্রয়ার[২৪][২৫][]
মাইনসুইপার[২৬][২৭]
সাবমেরিন[২৮]
টহল জাহাজ
গানবোট

  • পাকিস্তানের প্রধান করাচি বন্দর ক্ষতিগ্রস্ত/জ্বালানী ট্যাঙ্ক ধ্বংস[২৯]
  • পাকিস্তানি বিমানবন্দরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত এবং গহ্বরযুক্ত হয়েছে।[৩০]

নিরপেক্ষ দাবি[১৫]

ভারতীয় দাবি

পাকিস্তানের দাবি

১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, যা তৃতীয় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হিসেবেও পরিচিত, ছিল ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে এক সামরিক সংঘর্ষ। এই যুদ্ধটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তানে, ৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকে শুরু হয়ে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১-এ পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে শেষ হয়। যুদ্ধটি পাকিস্তানের অপারেশন চেঙ্গিজ খান দিয়ে শুরু হয়, যার আওতায় পাকিস্তান ভারতীয় আটটি বিমানবন্দরে আকাশী আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণের পর, ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার যুদ্ধে বাঙালি জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষে তাদের প্রবেশকে চিহ্নিত করে। ভারতের অংশগ্রহণ যুদ্ধের আকার বাড়িয়ে দেয়, যেখানে ভারতীয় ও পাকিস্তানি বাহিনী পূর্ব এবং পশ্চিম উভয় ফ্রন্টে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।[৩২] যুদ্ধের মাত্র ১৩ দিনের মধ্যে ভারত স্পষ্টভাবে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে, এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১-এ পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড ঢাকায় আত্মসমর্পণের স্মারক স্বাক্ষর করে।[৩৩] এর মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তান একটি নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ যুদ্ধে প্রায় ৯৩,০০০ পাকিস্তানি সেনা ভারতীয় বাহিনীর হাতে বন্দি হয়, এর মধ্যে ৭৯,৬৭৬ থেকে ৮১,০০০ ছিলেন পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, যার মধ্যে কিছু বাঙালি সেনাও ছিল যারা পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য বজায় রেখেছিল।[৩৪][৩৫] বাকি ১০,৩২৪ থেকে ১২,৫০০ বন্দি ছিলেন সাধারণ নাগরিক, যারা পাকিস্তানি সেনাদের পরিবারের সদস্য অথবা পাকিস্তানের সহযোগী (রাজাকার) ছিল।[৩৪][৩৬][৩৭]

আনুমানিকভাবে পাকিস্তানি সেনা এবং তাদের সমর্থক প্র-পাকিস্তানি ইসলামিক মিলিশিয়া বাহিনী বাংলাদেশ-এ ৩,০০,০০০ থেকে ৩০,০০,০০০ সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে।[৩৮][৩৯][৪০][৪১] এই সংঘর্ষের ফলে, আরও ৮০ লাখ - ১ কোটি মানুষ ভারত অভিবাসী হয়ে চলে গিয়েছিল।[৪২]

১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়, পাকিস্তানি সেনা এবং তাদের সমর্থক রাজাকার নামক প্র-পাকিস্তানি ইসলামিক মিলিশিয়া বাহিনী ২০০,০০০ থেকে ৪০০,০০০ বাঙালি নারী এবং কিশোরীকে একটি পরিকল্পিত গণহত্যার অংশ হিসেবে ধর্ষণ করে।[৪৩][৪৪][৪৫][৪৬]

পটভূমি

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশী ও আন্তর্জাতিক সূত্র অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর ১১টি ভারতীয় এয়ারবেসে পাকিস্তান আচমকা হানা দিলে অপারেশন চেঙ্গিজ খান নামে এই যুদ্ধের সূচনা ঘটলে ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের জাতীয়তাবাদী মুক্তিবাহিনীর পক্ষ নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়।[৪৭] এই যুদ্ধ ইতিহাসের অন্যতম স্বল্পদৈর্ঘ্যের একটি যুদ্ধের মধ্যে একটি।[৪৮][৪৯] যুদ্ধ চলাকালীন পূর্ব ও পশ্চিম ফ্রন্টে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানি বাহিনী পূর্ব ও পশ্চিম রণাঙ্গনে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর পূর্ব কমান্ড ঢাকায় আত্মসমর্পণ করলে যুদ্ধ সমাপ্ত হলে[৫০] পূর্ব পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তান থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে বাংলাদেশ নামে এক নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ৭৯,৭০০ পাকিস্তান বাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনীর জওয়ান[৫১] ও ১২,০০০ অসামরিক নাগরিক[৫১] সহ পূর্ব পাকিস্তানে স্থিত মোট ৯৭,৩৬৮ জন পাকিস্তানিকে বাংলাদেশ যুদ্ধবন্দি করে। মনে করা হয়ে থাকে যুদ্ধে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর হাতে বাংলাদেশে ৩,০০০,০০০ জন বেসামরিক নাগরিক খুন এবং চার লাখেরও বেশি নারী[৫২],ধর্ষণের শিকার হন।[৫৩][৫৪] সংঘাতের ফলে, আশি লাখ থেকে এক কোটিরও বেশি মানুষ প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয়ের জন্য পালিয়ে যায়।[৫৫]

বিদেশি প্রতিক্রিয়া এবং জড়িত

[সম্পাদনা]

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন

[সম্পাদনা]
দ্য ব্লাড টেলিগ্রাম

সোভিয়েত ইউনিয়ন পূর্ব পাকিস্তানিদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছিল এবং যুদ্ধ চলাকালে ভারতীয় সেনাবাহিনীমুক্তিবাহিনীর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযানে সমর্থন দিয়েছিল। তাদের বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল যে, পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে আলাদা হওয়া যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের অবস্থানকে দুর্বল করবে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতকে আশ্বাস দিয়েছিল যে, যদি যুক্তরাষ্ট্র বা চীনের সাথে কোনো সংঘাত ঘটে, তবে তারা পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। এই আশ্বাসটি ১৯৭১ সালের আগস্ট মাসে স্বাক্ষরিত ভারত-সোভিয়েত মৈত্রী ও সহযোগিতা চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতের অবস্থান গ্রহণ করেছিল যে, পূর্ব পাকিস্তান সংকটের সমাধান এমন শর্তে হতে হবে যা ভারত এবং আওয়ামী লীগের জন্য গ্রহণযোগ্য। তবে, লেখক রবার্ট জ্যাকসনের মতে, ভারত-সোভিয়েত চুক্তি ভারতের অবস্থানের প্রতি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতি নয়। সোভিয়েত ইউনিয়ন পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক সহায়তা চালিয়ে যাচ্ছিল এবং ১৯৭১ সালের মধ্য অক্টোবর পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করেছিল।[৫৬] তবে, ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে পাকিস্তানে নিযুক্ত সোভিয়েত রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্সি রোডিওনভ একটি গোপন বার্তা (রোডিওনভ বার্তা) পাঠিয়েছিলেন, যেখানে পাকিস্তানকে সতর্ক করা হয়েছিল যে, "যদি এটি উপমহাদেশে উত্তেজনা বাড়ায়, তবে এটি আত্মঘাতী পথে পা বাড়াবে।"[৫৭]

যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের প্রতি নৈতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক সমর্থন প্রদান করে, বিশেষ করে শীতল যুদ্ধের সময় তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে। প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার সোভিয়েত-ভারত জোটের আশঙ্কায় পাকিস্তানকে সহায়তা করেন, কারণ তারা মনে করতেন ভারতের পাকিস্তান আক্রমণ সোভিয়েত প্রভাব পুরো অঞ্চলে বিস্তৃত করবে এবং এতে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের নতুন মিত্র চীনের কৌশলগত অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়বে।[৫৮] নিক্সন ইরানকে পাকিস্তানে সামরিক সরঞ্জাম পাঠাতে উৎসাহিত করেন[৫৯] এবং চীনের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য কাজ চালিয়ে যান। তবে নিক্সন প্রশাসন পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর "গণহত্যামূলক" কার্যক্রম সম্পর্কিত প্রতিবেদন, বিশেষ করে ব্লাড টেলিগ্রাম, উপেক্ষা করে, যা মার্কিন কংগ্রেস ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার কারণ হয়।[৬০][৬১][৬২]

তৎকালীন জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জর্জ হারবার্ট ওয়াকার বুশ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন, যেখানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং সশস্ত্র বাহিনী প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়।[৬৩] তবে সোভিয়েত ইউনিয়ন এই প্রস্তাবে ভেটো দেয়। এরপরের দিনগুলোতে নিক্সন-কিসিঞ্জার জুটি সোভিয়েত ইউনিয়নের ওপর ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করে ভারতকে সেনা প্রত্যাহারে বাধ্য করার চেষ্টা করে, কিন্তু তাতে কোনো ফল হয়নি।[৬৪]

পূর্বাঞ্চলে পাকিস্তানের পরাজয় নিশ্চিত হতে থাকলে, প্রেসিডেন্ট নিক্সন বঙ্গোপসাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর টাস্ক ফোর্স ৭৪ মোতায়েন করেন, যা বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস এন্টারপ্রাইজের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। এন্টারপ্রাইজ এবং এর সঙ্গী যুদ্ধজাহাজগুলো ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর মোতায়েনস্থলে পৌঁছায়।[৬৫] একটি রুশ তথ্যচিত্র অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যও তাদের বিমানবাহী রণতরী এইচএমএস ঈগলের নেতৃত্বে একটি বাহিনী বঙ্গোপসাগরে মোতায়েন করেছিল, যা ছিল ওই রণতরীর শেষ অভিযানের অংশ।[৬৬]

৬ ও ১৩ ডিসেম্বর, সোভিয়েত নৌবাহিনী ভ্লাদিভোস্টক থেকে দুটি ক্রুজার ও ডেস্ট্রয়ার বাহিনী মোতায়েন করে। তারা ১৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকে ৭ জানুয়ারি ১৯৭২ পর্যন্ত মার্কিন টাস্ক ফোর্স ৭৪-কে অনুসরণ করে ভারত মহাসাগরে অবস্থান করে। সোভিয়েত নৌবাহিনীর একটি পারমাণবিক সাবমেরিনও মোতায়েন করা হয়, যা ভারত মহাসাগরে ইউএসএস এন্টারপ্রাইজ টাস্ক ফোর্সের হুমকি মোকাবেলায় সহায়তা করে।[৬৭][৬৮]

যুদ্ধের অগ্রগতির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বুঝতে পারে যে ভারত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পাকিস্তানে আক্রমণ করে দেশটি ভেঙে দিতে পারে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ১০ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট নিক্সন হটলাইনে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিওনিদ ব্রেজনেভের সঙ্গে কথা বলেন। নিক্সন প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্রেজনেভকে ভারতকে সংযত করতে আহ্বান জানিয়ে বলেন: "আপনার [ব্রেজনেভ] ভারতের ওপর বিশাল প্রভাব রয়েছে এবং তাদের কার্যক্রমের জন্য আপনাকে দায়িত্ব ভাগ করতে হবে। আমি ভারতের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য সবচেয়ে কঠোরভাবে অনুরোধ করছি।"[৬৯]

যুদ্ধের পর, যুক্তরাষ্ট্র নতুন শক্তির ভারসাম্য মেনে নিয়ে ভারতকে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি প্রভাবশালী শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়; এবং পরবর্তী কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে কাজ করে।[৭০] ১৯৭২ সালের জুনে, সোভিয়েত রাষ্ট্রদূত রোডিওনভ বলেন, "সোভিয়েত ইউনিয়ন সব সময় পাকিস্তানের ঐক্য এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার পক্ষে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।" সোভিয়েত ইউনিয়ন পাকিস্তানকে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত এবং শিল্প প্রকল্পে অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করেছিল।[৭১]

২০১৯ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, "নিক্সন এবং কিসিঞ্জার নিয়মিতভাবে এমন মানসিক পক্ষপাতিত্ব প্রদর্শন করেছিলেন যা তাদের পশ্চিম পাকিস্তানের বিজয়ের সম্ভাবনা অতিরিক্তভাবে মূল্যায়ন করতে বাধ্য করেছিল," এবং তারা "সংকটটির গুরুত্বপূর্ণতা যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তর নীতি অনুযায়ী অতিরিক্তভাবে মূল্যায়ন করেছিলেন।" প্রমাণগুলি নিক্সন এবং কিসিঞ্জারের নিজেদের ১৯৭১ সালের সংকটের বর্ণনাকে সমর্থন করে না, যা তারা 'ঠাণ্ডা মাথার রিয়ালপলিটিক' এবং 'আদর্শিক মানবিকতার' মধ্যে একটি প্রতিযোগিতা হিসেবে দেখেছিলেন। এর পরিবর্তে, প্রমাণগুলি দেখায় যে কিসিঞ্জার এবং নিক্সনের নীতি সিদ্ধান্তগুলি তাদের ঘোষিত লক্ষ্যগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, কারণ তারা বারবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভুল করেছে।[৭২]

যুদ্ধ চলাকালীন চীন ভারতকে পূর্ব পাকিস্তান সংকটে তার অংশগ্রহণের জন্য কঠোরভাবে সমালোচনা করে এবং ভারতকে দক্ষিণ এশিয়ায় সাম্রাজ্যবাদী মনোভাব প্রদর্শনের অভিযোগে অভিযুক্ত করে।[৭৩] যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে, চীনের নেতা ও কর্মকর্তারা পাকিস্তান সরকারকে পূর্ব পাকিস্তানি নেতাদের সাথে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমঝোতার পরামর্শ দিয়েছিলেন, কারণ চীন ভয় পেয়েছিল যে ভারত গোপনে বাংলা বিদ্রোহীদের পূর্ব পাকিস্তানী সরকারের বিরুদ্ধে সমর্থন, অনুপ্রবেশ এবং অস্ত্র সরবরাহ করছে।[৭৪][৭৫] চীন পূর্ব পাকিস্তান সরকার, যার নেতৃত্বে ছিলেন লেফটেন্যান্ট-জেনারেল টিক্কা খান, তাতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সমালোচনা করেছিল, যা বাংলা বিরোধিতাকে দমন করতে নিষ্ঠুর পদ্ধতি ব্যবহার করেছিল এবং এই ইস্যুতে পাকিস্তানের অবস্থান সমর্থন করেনি।[৭৫]

যুদ্ধ শুরু হলে, চীন ভারতকে পূর্ব পাকিস্তানে তার সরাসরি অংশগ্রহণ এবং অনুপ্রবেশের জন্য সমালোচনা করে।[৭৫] চীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সামরিক বিকল্পগুলি বিবেচনা করায় একমত ছিল না এবং পূর্ব পাকিস্তানের আওয়ামী লীগ রাজনীতিকদের ভারত সঙ্গে সম্পর্কের প্রতি সমালোচনা করেছিল।[৭৫] চীন ব্যাপক উদ্বেগের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানায় যখন ভারত পাকিস্তানে আক্রমণ এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরকে তাদের কাশ্মীরে একীভূত করার সম্ভাবনা প্রকট হয়ে ওঠে।[৭৬] মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সন চীনকে ভারত সীমান্তে তাদের সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করতে উৎসাহিত করেন যাতে ভারতীয় আক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়, কিন্তু চীন এই উৎসাহে সাড়া দেয়নি কারণ ভারতীয় সেনাবাহিনীর উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ড ইতোমধ্যে বাস্তব নিয়ন্ত্রণের রেখা (LAC) রক্ষায় প্রস্তুত ছিল এবং তারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক্স কোরের বিরুদ্ধে লাইন অফ কন্ট্রোলে লড়াইয়ে লিপ্ত ছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

চীন পূর্ব পাকিস্তানি রাজনীতিকদের মাধ্যমে পাকিস্তানের ঐক্যের ভেঙে পড়াকে স্বাগত জানায়নি এবং ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ যখন জাতিসংঘে সদস্যপদ আবেদন করে, তখন চীন কার্যকরভাবে এর সদস্যপদ ভেটো করে।[৭৭] চীন বাংলাদেশকে সদস্যপদ প্রদান করতে বিরোধিতা করেছিল কারণ, দুটি জাতিসংঘের প্রস্তাব, যা পাকিস্তানি যুদ্ধবন্দি এবং নাগরিকদের প্রত্যাবর্তন সম্পর্কিত ছিল, তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। তদুপরি, চীন ছিল শেষ দেশগুলোর মধ্যে একটি যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বীকৃতি দেয়, এবং এটি ৩১ আগস্ট ১৯৭৫ পর্যন্ত তা প্রত্যাখ্যান করেছিল।[৭৭][৭৮][৭৯] আজও, বাংলাদেশের সাথে চীনের সম্পর্ক পাকিস্তান বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা নির্ধারিত।[৮০]

শ্রীলঙ্কা

[সম্পাদনা]

শ্রীলঙ্কা (সিলন) পাকিস্তানের বিভাজনকে নিজেদের জন্য একটি উদাহরণ হিসেবে দেখেছিল এবং ভবিষ্যতে ভারত তার বৃদ্ধি প্রাপ্ত শক্তি ব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করবে বলে তারা উদ্বিগ্ন ছিল।[৮১] সিরিমাও বানডারানায়েকের বামপন্থী সরকার একটি নিরপেক্ষ অ-অবস্থাপন নীতি অনুসরণ করেছিল।[৮২][৮৩] পাকিস্তানি বিমানগুলো ভারতীয় আকাশসীমা পার করতে না পারায়, তাদের ভারতের চারপাশে দীর্ঘপথে যেতে হত এবং তাই তারা শ্রীলঙ্কার বানডারানায়েক বিমানবন্দরে থামতো, যেখানে পুনরায় জ্বালানি নিয়ে তারা পূর্ব পাকিস্তানে যাত্রা করতো। এই সিদ্ধান্ত শ্রীলঙ্কা এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্কের উপর চাপ সৃষ্টি করেনি।[৮৪]

আরব দেশ

[সম্পাদনা]

যেহেতু অনেক আরব দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তানের উভয়ের সঙ্গেই মিত্র ছিল, তাই কিসিঞ্জারের পক্ষে তাদের অংশগ্রহণ উত্সাহিত করা সহজ ছিল। তিনি জর্ডানের রাজা এবং সৌদি আরবের রাজাকে চিঠি পাঠান। প্রেসিডেন্ট নিক্সন জর্ডানকে দশটি এফ-১০৪ পাঠানোর অনুমতি দেন এবং সেগুলোর প্রতিস্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন।[৮৫] সৌদি আরবের এফ-৮৬ বিমানগুলি পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর ক্ষতির পরিমাণ আড়াল করতে সাহায্য করেছিল, এবং কিছু লিবীয় এফ-৫ বিমান সম্ভবত সর্গোধা এয়ার ফোর্স বেসে মোতায়েন করা হয়েছিল, যা হয়তো পাকিস্তানি পাইলটদের জন্য প্রশিক্ষণ ইউনিট হিসেবে কাজ করছিল, যাতে সৌদি আরব থেকে আরও এফ-৫ বিমান আসার জন্য প্রস্তুতি নেয়া যায়।[৮৬] এই তিনটি দেশের পাশাপাশি, একটি অজ্ঞাত মধ্যপ্রাচ্য মিত্রও পাকিস্তানকে মিরেজ ৩ বিমান সরবরাহ করেছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

ইসরায়েল

[সম্পাদনা]

যদিও তৎকালীন সময়ে ইসরায়েলের পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল না, ইসরায়েল ভারতকে অস্ত্র, গোলাবারুদ, গোয়েন্দা তথ্য এবং প্রশিক্ষণ সরবরাহ করেছিল পূর্ব পাকিস্তানে হস্তক্ষেপের আগে, যা ভারতের আন্তর্জাতিক সমর্থন অর্জনের প্রচেষ্টার একটি "আশ্চর্যজনক ছোট সাফল্য" হিসেবে বর্ণিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের জুলাইয়ে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী গোল্ডা মেইর ইসরায়েলি অস্ত্র প্রস্তুতকারক শ্লোমো জাবলুদোভিচকে ভারত এবং মুক্তি বাহিনীকে মর্টার, গোলাবারুদ এবং প্রশিক্ষক সরবরাহ করতে বলেছিলেন।[৮৭] মেইর প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারত সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা অবশেষে ১৯৯২ সালে পি. ভি. নারাসিমহা রাও সরকারের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়।[৮৮]

জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে

[সম্পাদনা]

চলচ্চিত্র

[সম্পাদনা]
  • ওরা ১১ জন (দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট ইলেভেন ), চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ১৯৭২ সালের একটি ঢালিউড যুদ্ধের চলচ্চিত্র, যেখানে প্রকৃত ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং পাকিস্তানি সেনাদের বৈশিষ্ট্য রয়েছে । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এটিই প্রথম ফিচার ফিল্ম।
  • হিন্দুস্তান কি কসম , অপারেশন ক্যাকটাস লিলি সম্পর্কে চেতন আনন্দ পরিচালিত ১৯৭৩ সালের বলিউড যুদ্ধের চলচ্চিত্র ।
  • আকরামন , একটি ১৯৭৫ সালের বলিউড চলচ্চিত্র এই যুদ্ধের সময় একটি রোমান্টিক প্রেমের ত্রিভুজ সমন্বিত।
  • বর্ডার , জেপি দত্ত পরিচালিত ১৯৯৭ সালের বলিউড যুদ্ধের চলচ্চিত্র। এই মুভিটি বাস্তব জীবনের ঘটনা থেকে একটি রূপান্তর যা রাজস্থানে লংগেওয়ালার যুদ্ধে ঘটেছিল (ওয়েস্টার্ন থিয়েটার)।
  • ১৬ ডিসেম্বর , মণি শঙ্কর পরিচালিত ২০০২ সালের একটি চলচ্চিত্র।
  • ১৯৭১ - প্রিজনারস অফ ওয়ার , অমৃত সাগর পরিচালিত ২০০৭ সালের বলিউডের যুদ্ধের চলচ্চিত্র। পাকিস্তানের একটি যুদ্ধবন্দি শিবিরের পটভূমিতে তৈরি, এটি ছয় ভারতীয় বন্দিকে অনুসরণ করে যারা যুদ্ধের সময় তাদের বন্দি হওয়ার পর মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
  • মিডনাইটস চিলড্রেন , ২০১২ সালের একটি চলচ্চিত্র সালমান রুশদির উপন্যাস থেকে গৃহীত হয়েছে, এটি ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ সালের মধ্যরাতে জন্মগ্রহণকারী দুটি যমজ সন্তানের কাল্পনিক গল্প। এতে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের উল্লেখও রয়েছে।
  • চিলড্রেন অফ ওয়ার , ২০১৪ সালের একটি হিন্দি নাটক চলচ্চিত্র, ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের গণহত্যা এবং মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাকে ঘিরে।
  • দ্য গাজী অ্যাটাক , সঙ্কল্প রেড্ডি পরিচালিত ২০১৭ সালের যুদ্ধের চলচ্চিত্র। এটিযুদ্ধের সময় পিএনএস গাজীর ডুবে যাওয়ার উপর ভিত্তি করে তৈরি।
  • ১৯৭১: বিয়ন্ড বর্ডারস , মেজর রবি রচিত এবং পরিচালিত একটি ২০১৭ সালের ভারতীয় যুদ্ধ নাটক চলচ্চিত্র।
  • রাজী, ২০১৭ সালের একটি কাল্পনিক স্পাই ফিল্ম, "কলিং সেহমত" উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে, পিএনএস গাজীকে মোতায়েন করার পরিকল্পনার সনাক্তকরণের বিষয়ে যুদ্ধের ঘটনাগুলির আগে সেট করা হয়েছিল
  • রোমিও আকবর ওয়াল্টার, একটি ২০১৯ স্পাই থ্রিলার ফিল্ম ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পটভূমিতে তৈরি করা হয়েছিল, যা রেহমাতুল্লাহ আলীর গল্প বলে, একজন তরুণ ভারতীয় ব্যাঙ্ক ক্লার্ক, যাকে রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) দ্বারা নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। পাকিস্তানে একটি গোপন অভিযান।
  • ভুজ: দ্য প্রাইড অফ ইন্ডিয়া , ২০২১ অ্যাকশন ফিল্ম যুদ্ধের সময় সেটটি ভারতের ভূজ বিমানঘাঁটি পুনর্নির্মাণের গল্প বলে, যা পাকিস্তানের বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
  • পিপ্পা , একটি ২০২৩ সালের অ্যাকশন চলচ্চিত্র ব্রিগেডিয়ার বলরাম সিং মেহতার জীবনের উপর ভিত্তি করে যিনি ১৯৭১ সালের নভেম্বরে পূর্ব ফ্রন্টে গরীবপুরের যুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন।
  • স্যাম বাহাদুর , একটি ২০২৩ সালের চলচ্চিত্র, ভারতের প্রথম ফিল্ড মার্শাল শ্যাম মানেকশ’- এর জীবন এবং ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে তার অবদানের উপর ভিত্তি করে নির্মিত।

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র

[সম্পাদনা]
  • মুক্তি: বার্থ অফ আ নেশন , মনু চোবে পরিচালিত ২০১৭ সালের একটি শর্ট ফিল্ম ১৯৭১ সালের যুদ্ধে তার অবদানকেও চিত্রিত করে। মেজর জেনারেল জেএফআর জ্যাকব এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএকে নিয়াজির মধ্যে আত্মসমর্পণের পাকিস্তানি দলিল নিয়ে আলোচনা ।

ছোট ছোট নাটক/নাটক

[সম্পাদনা]
  • পিএনএস গাজী, পিএনএস  গাজীর ডুবে যাওয়ার উপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি উর্দু (পাকিস্তানি) নাটক, আইএসপিআর

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Lyon, Peter (২০০৮)। Conflict between India and Pakistan: An Encyclopedia। ABC-CLIO। পৃ. ১৬৬আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৭৬০৭-৭১২-২India's decisive victory over Pakistan in the 1971 war and emergence of independent Bangladesh dramatically transformed the power balance of South Asia
  2. Kemp, Geoffrey (২০১০)। The East Moves West India, China, and Asia's Growing Presence in the Middle East। Brookings Institution Press। পৃ. ৫২আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮১৫৭-০৩৮৮-৪However, India's decisive victory over Pakistan in 1971 led the Shah to pursue closer relations with India
  3. Byman, Daniel (২০০৫)। Deadly connections: States that Sponsor Terrorism। Cambridge University Press। পৃ. ১৫৯আইএসবিএন ৯৭৮-০-৫২১-৮৩৯৭৩-০India's decisive victory in 1971 led to the signing of the Simla Agreement in 1972
  4. Faruki, Kemal A. "THE INDO-PAKISTAN WAR, 1971, AND THE UNITED NATIONS." Pakistan Horizon, vol. 25, no. 1, 1972, pp. 10–20. JSTOR, http://www.jstor.org/stable/41393109. Accessed 21 Jan. 2024. "On the next day, Dacca surrendered, President Yahya Khan talked of 'war until victory', India made a unilateral declaration of ceasefire in the West and the Security Council chose to adjourn having accumulated in its possession, by that time, six draft resolutions from various member States of the Security Council."
  5. Burke, S. M. "The Postwar Diplomacy of the Indo-Pakistani War of 1971." Asian Survey, vol. 13, no. 11, 1973, pp. 1036–49. JSTOR, https://doi.org/10.2307/2642858. Accessed 21 Jan. 2024. "In Kashmir they agreed to respect 'the line of control resulting from the ceasefire of December 17, 1971...without prejudice to the recognized position of either side.'"
  6. Siniver A. The India-Pakistan War, December 1971. In: Nixon, Kissinger, and US Foreign Policy Making: The Machinery of Crisis. Cambridge: Cambridge University Press; 2008:148-184. doi:10.1017/CBO9780511511660.008 "The fall of Dacca and the unconditional surrender of the outnumbered Pakistani forces in the East were followed the next day by a mutual declaration of cease-fire along the Western border."
  7. Nawaz, Shuja (২০০৮)। Crossed Swords: Pakistan, Its Army, and the Wars Within। Oxford University Press। পৃ. ৩২৯আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৫৪৭৬৯৭-২
  8. Chitkara, M. G (১৯৯৬)। Benazir, a Profile। APH। পৃ. ৮১। আইএসবিএন ৯৭৮৮১৭০২৪৭৫২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১২
  9. Schofield, Victoria (২০০৩)। Kashmir in Conflict: India, Pakistan and the Unending Ward। Bloomsbury Academic। পৃ. ১১৭। আইএসবিএন ৯৭৮১৮৬০৬৪৮৯৮৪। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১২
  10. Warikoo, K. (২০০৯)। Himalayan Frontiers of India: Historical, Geo-Political and Strategic Perspectives। Routledge Contemporary South Asia Series। Taylor & Francis। পৃ. ৭১। আইএসবিএন ৯৭৮-১-১৩৪-০৩২৯৪-৫
  11. Palit, Maj Gen DK (১৯৯৮)। The Lightning Campaign: The Indo-Pakistan War, 1971 (ইংরেজি ভাষায়)। Lancer Publishers। পৃ. ৪৪। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৮৯৭৮২৯-৩৭-০। ১৫ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬
  12. 1 2 Cloughley, Brian (৫ জানুয়ারি ২০১৬)। A History of the Pakistan Army: Wars and Insurrections (ইংরেজি ভাষায়)। Simon and Schuster। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৬৩১৪৪-০৩৯-৭। ১৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০২০
  13. Rashiduzzaman, M. (মার্চ ১৯৭২)। "Leadership, Organization, Strategies and Tactics of the Bangla Desh Movement"Asian Survey১২ (3): ১৯১। ডিওআই:10.2307/2642872জেস্টোর 2642872The Pakistan Government, however, claimed [in June 1971] that the combined fighting strength of the 'secessionists' amounted to about 180,000 armed personnel.
  14. Dixit, J.N. (২ সেপ্টেম্বর ২০০৩)। India-Pakistan in War and Peace। Routledge। আইএসবিএন ১১৩৪৪০৭৫৭২while the size of the Indian armed forces remained static at one million men and Pakistan's at around 350,000.
  15. 1 2 3 4 5 Boewe, Charles (২০০৬)। "Indian-Pakistani Wars"। Leonard, Thomas M. (সম্পাদক)। Encyclopedia of the Developing World। খণ্ড ২। Routledge। পৃ. ৮০৬। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৪১৫-৯৭৬৬৩-৩। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  16. 1 2 "This Vijay Diwas, remember the sacrifices and do good by our disabled soldiers"The Times of India। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮। ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃতAbout 3,843 Indian soldiers died in this war that resulted in the unilateral surrender of the Pakistan Army and led to the creation of Bangladesh. Among the soldiers who returned home triumphant were also 9,851 injured; many of them disabled.
  17. Kapur, Anu (১১ মার্চ ২০১০)। Vulnerable India: A Geographical Study of Disasters। SAGE Publications India। আইএসবিএন ৯৭৮৮১৩২১০৫৪২৮। ১৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০২০ Google Books এর মাধ্যমে।
  18. 1 2 The Encyclopedia of 20th Century Air Warfare, edited by Chris Bishop (Amber publishing 1997, republished 2004 pages 384–387 আইএসবিএন ১-৯০৪৬৮৭-২৬-১)
  19. "Chapter 10: Naval Operations in the Western Naval Command"Indian Navy। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত।
  20. "Damage Assessment– 1971 Indo Pak Naval War"। Orbat.com। ১৯ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১২
  21. Dr. He Hemant Kumar Pandey & Manish Raj Singh (১ আগস্ট ২০১৭)। INDIA'S MAJOR MILITARY & RESCUE OPERATIONS। Horizon Books ( A Division of Ignited Minds Edutech P Ltd), 2017। পৃ. ১১৭।
  22. 1 2 "IAF Combat Kills – 1971 Indo-Pak Air War" (পিডিএফ)। orbat.com। ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১১
  23. "Pakistan Air Force – Official website"। Paf.gov.pk। ১৫ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১২
  24. Pike, John। "Indo-Pakistan War of Independence"। Globalsecurity.org। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৫
  25. "Chapter-10"। Indiannavy.nic.in। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১২
  26. "AMS-138"। Navsource.org। ৩০ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১২
  27. "Minesweepers MSO MSC MSI MHC MCM Post-War"। Shipbuildinghistory.com। ২৩ ডিসেম্বর ২০১১। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১২
  28. "The Sinking of the Ghazi"Bharat Rakshak Monitor, 4(2)। ২৮ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০০৯
  29. "How west was won...on the waterfront"The Tribune। ৩০ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১১
  30. "India – Pakistan War, 1971; Western Front, Part I"। acig.com। ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১১
  31. "Aircraft Losses in Pakistan – 1971 War"। ১ মে ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১০
  32. "India: Easy Victory, Uneasy Peace"Time। ২৭ ডিসেম্বর ১৯৭১। ১৩ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১৬
  33. "1971 War: 'I will give you 30 minutes'"Sify। ৬ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১১
  34. 1 2 Burke, S. M (১৯৭৪)। Mainsprings of Indian and Pakistani Foreign Policies – S. M. Burke। University of Minnesota Press। পৃ. ২১৬। আইএসবিএন ৯৭৮০৮১৬৬০৭২০৪। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১২
  35. Bose, Sarmila (নভেম্বর ২০১১)। "The question of genocide and the quest for justice in the 1971 war" (পিডিএফ)Journal of Genocide Research১৩ (4): ৩৯৮। ডিওআই:10.1080/14623528.2011.625750এস২সিআইডি 38668401। ১০ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১৬
  36. "Jamaat claims denied by evidence"THE DAILY STAR। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮। ১১ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৬
  37. Haqqani, Hussain (২০০৫)। Pakistan: Between Mosque and Military। Carnegie Endowment for International Peace। পৃ. ৮৭আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮৭০০৩-২১৪-১
  38. Alston, Margaret (২০১৫)। Women and Climate Change in Bangladesh। Routledge। পৃ. ৪০। আইএসবিএন ৯৭৮১৩১৭৬৮৪৮৬২। ১৩ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৬
  39. Debnath, Angela (২০১২) [First published 2009]। "The Bangladesh Genocide: The Plight of Women"Totten, Samuel (সম্পাদক)। Plight and Fate of Women During and Following Genocide। Transaction Publishers। পৃ. ৫৫। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৪১২৮-৪৭৫৯-৯। ১৫ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৬
  40. U.S. Consulate (Dacca) Cable, Sitrep: Army Terror Campaign Continues in Dacca; Evidence Military Faces Some Difficulties Elsewhere ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে, 31 March 1971, Confidential, 3 pp.
  41. Kennedy, Senator Edward, "Crisis in South Asia – A report to the Subcommittee investigating the Problem of Refugees and Their Settlement, Submitted to U.S. Senate Judiciary Committee", 1 November 1971, U.S. Govt. Press, page 66. Sen. Kennedy wrote, "Field reports to the U.S. Government, countless eye-witness journalistic accounts, reports of International agencies such as World Bank and additional information available to the subcommittee document the reign of terror which grips East Bengal (East Pakistan). Hardest hit have been members of the Hindu community who have been robbed of their lands and shops, systematically slaughtered, and in some places, painted with yellow patches marked 'H'. All of this has been officially sanctioned, ordered and implemented under martial law from Islamabad."
  42. Rummel, Rudolph J., "Statistics of Democide: Genocide and Mass Murder Since 1900" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে, আইএসবিএন ৩-৮২৫৮-৪০১০-৭, Chapter 8, Table 8.2 Pakistan Genocide in Bangladesh Estimates, Sources, and Calculations ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে: lowest estimate 2 million claimed by Pakistan (reported by Aziz, Qutubuddin. Blood and tears Karachi: United Press of Pakistan, 1974. pp. 74, 226), some other sources used by Rummel suggest a figure of between 8 and 10 million with one (Johnson, B. L. C. Bangladesh. New York: Barnes & Noble, 1975. pp. 73, 75) that "could have been" 12 million.
  43. Sharlach, Lisa (২০০০)। "Rape as Genocide: Bangladesh, the Former Yugoslavia, and Rwanda"। New Political Science২২ (1): ৯২–৯৩। ডিওআই:10.1080/713687893এস২সিআইডি 144966485
  44. Sharlach, Lisa (২০০২)। "State Rape: Sexual Violence as Genocide"। Kent Worcester; Sally A. Bermanzohn; Mark Ungar (সম্পাদকগণ)। Violence and Politics: Globalization's Paradox। Routledge। পৃ. ১১১। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৪১৫-৯৩১১১-৩
  45. Sajjad, Tazreena (২০১২) [First published 2009]। "The Post-Genocidal Period and its Impact on Women"। Tottne, Samuel (সম্পাদক)। Plight and Fate of Women During and Following Genocide। Transaction Publishers। পৃ. ২২৫। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৪১২৮-৪৭৫৯-৯
  46. Mookherjee, Nayanika (২০১২)। "Mass rape and the inscription of gendered and racial domination during the Bangladesh War of 1971"। Raphaëlle Branche; Fabrice Virgili (সম্পাদকগণ)। Rape in Wartime। Palgrave Macmillan। পৃ. ৬৮আইএসবিএন ৯৭৮-০-২৩০-৩৬৩৯৯-১
  47. Cohen, Stephen (২০০৪)। The Idea of Pakistan। Brookings Institution Press। পৃ. ৩৮২। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮১৫৭-১৫০২-৩
  48. The World: India: Easy Victory, Uneasy Peace ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১০ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে, [[Time (magazine)|]], 27 December 1971
  49. World’s shortest war lasted for only 45 minutes, Pravda, 10 March 2007
  50. 1971 War: 'I will give you 30 minutes' ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে. Sify.com. Retrieved on 14 April 2011.
  51. 1 2 Haqqani, Hussain (২০০৫)। Pakistan: Between Mosque and Military। United Book Press। আইএসবিএন ০-৮৭০০৩-২১৪-৩, ০-৮৭০০৩-২২৩-২ {{বই উদ্ধৃতি}}: |আইএসবিন= মান: অবৈধ অক্ষর পরীক্ষা করুন (সাহায্য), Chapter 3, pp 87.
  52. Riedel, Bruce O. (২০১১)। Deadly Embrace: Pakistan, America, and the Future of the Global Jihad। Brookings Institution। পৃ. ১০আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮১৫৭-০৫৫৭-৪
  53. U.S. Consulate (Dacca) Cable, Sitrep: Army Terror Campaign Continues in Dacca; Evidence Military Faces Some Difficulties Elsewhere, 31 March 1971, Confidential, 3 pp.
  54. Kennedy, Senator Edward, "Crisis in South Asia – A report to the Subcommittee investigating the Problem of Refugees and Their Settlement, Submitted to U.S. Senate Judiciary Committee", 1 November 1971, U.S. Govt. Press, page 66. Sen. Kennedy wrote, "Field reports to the U.S. Government, countless eye-witness journalistic accounts, reports of International agencies such as World Bank and additional information available to the subcommittee document the reign of terror which grips East Bengal (East Pakistan). Hardest hit have been members of the Hindu community who have been robbed of their lands and shops, systematically slaughtered, and in some places, painted with yellow patches marked 'H'. All of this has been officially sanctioned, ordered and implemented under martial law from Islamabad."
  55. Rummel, Rudolph J., "Statistics of Democide: Genocide and Mass Murder Since 1900", আইএসবিএন ৩-৮২৫৮-৪০১০-৭, Chapter 8, Table 8.2 Pakistan Genocide in Bangladesh Estimates, Sources, and Calculations: lowest estimate 2 million claimed by Pakistan (reported by Aziz, Qutubuddin. Blood and tears Karachi: United Press of Pakistan, 1974. pp. 74, 226), some other sources used by Rummel suggest a figure of between 8 and 10 million with one (Johnson, B. L. C. Bangladesh. New York: Barnes & Noble, 1975. pp. 73, 75) that "could have been" 12 million.
  56. Jackson, Robert (১৯৭৫)। South Asian Crisis: India — Pakistan — Bangla Desh। Chatto & Windus। পৃ. ৭২–৭৩। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৩৪৯-০৪১৬৩-৩। ১ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০২১
  57. Summary of World Broadcasts: Far East (ইংরেজি ভাষায়)। London, UK: Monitoring Service of the British Broadcasting Corporation। ১৯৭১। ১৬ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৬
  58. Cheema, Amar (২০১৪)। The Crimson Chinar: The Kashmir Conflict: A Politico Military Perspective (ইংরেজি ভাষায়)। Lancer Publishers। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭০৬২-৩০১-৪। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬
  59. Alvandi, Roham (২০১৬)। Nixon, Kissinger, and the Shah: The United States and Iran in the Cold War। Oxford University Press। পৃ. ৬১। আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-০৬১০৬৮-৫
  60. "The U.S.: A Policy in Shambles"Time। ২০ ডিসেম্বর ১৯৭১। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০০৯
  61. Hanhimäki, Jussi (২০০৪)। The flawed architect: Henry Kissinger and American foreign policy। Oxford University Press। আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৫১৭২২১-৮। ১৫ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  62. Lewis, John P. (৯ ডিসেম্বর ১৯৭১)। "Mr. Nixon and South Asia"The New York Times। ২৩ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৮The Nixon Administration's South Asia policy... is beyond redemption
  63. "President Richard Nixon and the Presidents"nixontapes.org। ৯ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০২০WHT 016-048 12/08/1971 11:06 – 11:14 am P, GHWB ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ এপ্রিল ২০২২ তারিখে
  64. "1971 War: How the US tried to corner India"Rediff.com। ২৬ ডিসেম্বর ২০০৬। ২৮ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১১
  65. Rajagopalan, Rajesh; Mishra, Atul (২০১৫)। Nuclear South Asia: Keywords and Concepts। Routledge। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৩১৭-৩২৪৭৫-১। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  66. "British aircraft carrier 'HMS Eagle' tried to intervene in 1971 India – Pakistan war"Frontier India। ১৮ ডিসেম্বর ২০১০। ১০ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১২
  67. "Cold war games"Bharat Rakshak। ৯ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০০৯
  68. "Birth of a nation"The Indian Express। ১১ ডিসেম্বর ২০০৯। ৫ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১১
  69. "Nixon/Kissinger Saw India as "Soviet Stooge" in 1971 South Asia Crisis"nsarchive.gwu.edu। George Washington University press। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬
  70. Wetering, Carina (২০১৬)। Changing US Foreign Policy toward India। Springer। পৃ. ৬৯। আইএসবিএন ৯৭৮১১৩৭৫৪৮৬২৭। ৯ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  71. "Soviet aid for Pak projects"। News Review on South Asia। জুন ১৯৭২। পৃ. ১৫–১৬।
  72. Clary, Christopher (২০১৯)। "Tilting at windmills: The flawed U.S. policy toward the 1971 Indo-Pakistani war"। Journal of Strategic Studies৪২ (5): ৬৭৭–৭০০। ডিওআই:10.1080/01402390.2019.1570143এস২সিআইডি 159267611
  73. Jayapalan, N. (২০০০)। India and Her Neighbours (ইংরেজি ভাষায়)। Atlantic Publishers & Dist। আইএসবিএন ৯৭৮৮১৭১৫৬৯১২০। ১৬ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬
  74. Singh, Swaran, সম্পাদক (২০০৭)। China-Pakistan strategic cooperation : Indian perspectives। New Delhi: Manohar। পৃ. ৬১। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১৭৩০৪৭৬১৯
  75. 1 2 3 4 Jaffrelot, Christophe (২০১৬)। Pakistan at the Crossroads: Domestic Dynamics and External Pressures। Columbia University Press। পৃ. ২৮৫। আইএসবিএন ৯৭৮০২৩১৫৪০২৫৪। ১১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  76. "India and Pakistan: Over the Edge"Time। ১৩ ডিসেম্বর ১৯৭১। ৮ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০০৯
  77. 1 2 "China Recognizes Bangladesh"। Oxnard, California, USA। Associated Press। ১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫। ২৮ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  78. Chau, Donovan C.; Kane, Thomas M. (২০১৪)। China and International Security: History, Strategy, and 21st-Century Policy [3 volumes]: History, Strategy, and 21st-Century Policy (ইংরেজি ভাষায়)। ABC-CLIO। পৃ. ২২৬–২২৭। আইএসবিএন ৯৭৮১৪৪০৮০০০২৩। ১০ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬
  79. "The Recognition Story"। Bangladesh Strategic and Development Forum। ২৫ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১১
  80. Raghavan, V. R. (২০১৩)। Internal Conflicts- A Four State Analysis: India-Nepal-Sri Lanka-Myanmar। Vij Books India Pvt Ltd। পৃ. ৬৯। আইএসবিএন ৯৭৮৯৩৮২৫৭৩৪১৮। ১১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  81. "India and Its Neighbors: Cooperation or Confrontation?" (পিডিএফ)CIA। পৃ. ৭। ১৩ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০২১
  82. "The Foreign Policy of Sirimavo Bandaranaike"The Island। ১৩ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১৯
  83. "Brief Overview of Sri Lanka's Foreign Relations to Post-Independence"Foreign Ministry – Sri Lanka। ৮ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১৯
  84. The Diplomatic Ideas and Practices of Asian States (ইংরেজি ভাষায়)। BRILL। ২২ নভেম্বর ২০২১। আইএসবিএন ৯৭৮-৯০-০৪-৪৭৮০৩-৯। ২ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২৩
  85. "Documents reveal US tilt to Pak in 1971 - India News"The Times of India। ২০ ডিসেম্বর ২০০২। ২০ আগস্ট ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০২২
  86. Bowman, Martin (২০১৬)। Cold War Jet Combat: Air-to-Air Jet Fighter Operations 1950–1972 (ইংরেজি ভাষায়)। Pen and Sword। আইএসবিএন ৯৭৮১৪৭৩৮৭৪৬৩৩। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬
  87. Bass, Gary (২০১৩)। The Blood Telegram: Nixon, Kissinger, and a Forgotten Genocide। Alfred A. Knopf। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৩০৭-৭০০২০-৯। ২৭ জুন ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০২৩
  88. Raghavan, Srinath (২০১৩)। 1971: A Global History of the Creation of Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। Harvard University Press। পৃ. ১৮২–১৮৩। আইএসবিএন ৯৭৮০৬৭৪৭৩১২৯৫
  1. A Pakistani destroyer, Shah Jahan, was severely damaged and later scrapped as a result.

আরো পড়ুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]