বিষয়বস্তুতে চলুন

গিনি-বিসাউ জাতীয় ফুটবল দল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গিনি-বিসাউ
দলের লোগো
ডাকনামদিয়ুর্তুস
অ্যাসোসিয়েশনগিনি-বিসাউ ফুটবল ফেডারেশন
কনফেডারেশনক্যাফ (আফ্রিকা)
প্রধান কোচবাসিরো কঁদে
অধিনায়কমামাদু কঁদে
সর্বাধিক ম্যাচজোনাস মেন্দেস (৩৯)
শীর্ষ গোলদাতানঁদো কো (৯)
মাঠবিভিন্ন
ফিফা কোডGNB
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১০৩ অপরিবর্তিত (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[]
সর্বোচ্চ২৬ (নভেম্বর ২০১৬–জানুয়ারি ২০১৭)
সর্বনিম্ন১৯৫ (ফেব্রুয়ারি–মার্চ ২০১০)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১০১ বৃদ্ধি ৮ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[]
সর্বোচ্চ৯৯ (ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪)
সর্বনিম্ন১৫৯ (এপ্রিল ২০০০, জুন ২০০১)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 ব্রিটিশ গাম্বিয়া ১–২ পর্তুগিজ গিনি
(ব্রিটিশ গাম্বিয়া; ২ জুন ১৯৫২)
বৃহত্তম জয়
 গিনি-বিসাউ ৭–২ বেনিন 
(বামাকো, মালি; ৩ নভেম্বর ২০০১)
বৃহত্তম পরাজয়
 গিনি ৭–০ গিনি-বিসাউ 
(কোনাক্রি, গিনি; ২২ জুলাই ২০১৭)
আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্স
অংশগ্রহণ২ (২০১৭-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যগ্রুপ পর্ব (২০১৭, ২০১৯)

গিনি-বিসাউ জাতীয় ফুটবল দল (পর্তুগিজ: Seleção nacional de futebol da Guiné-Bissau) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে গিনি-বিসাউয়ের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম গিনি-বিসাউয়ের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা গিনি-বিসাউ ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৮৬ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং একই বছর হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯৫২ সালের ২রা জুন তারিখে, গিনি-বিসাউ প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; ব্রিটিশ গাম্বিয়ায় অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে গিনি-বিসাউ পর্তুগিজ গিনি হিসেবে ব্রিটিশ গাম্বিয়াকে ২–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।

দিয়ুর্তুস পরিচিত এই দলটি বেশ কয়েকটি স্টেডিয়ামে তাদের হোম ম্যাচগুলো আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় গিনি-বিসাউয়ের রাজধানী বিসাউয়ে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন বাসিরো কঁদে এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন সান্তা ক্লারার রক্ষণভাগের খেলোয়াড় মামাদু কঁদে

গিনি-বিসাউ এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্সে গিনি-বিসাউ এপর্যন্ত ২ বার অংশগ্রহণ করেছে, যার প্রত্যেকবার তারা শুধুমাত্র গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণ করেছে।

জোনাস মেন্দেস, ইনজাই ব্রাইমা, লিনো, নঁদো কো এবং ফ্রেদেরিক মঁদির মতো খেলোয়াড়গণ গিনি-বিসাউয়ের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং

[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে গিনি-বিসাউ তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (২৬তম) অর্জন করে এবং ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ১৯৫তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে গিনি-বিসাউয়ের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ৯৯তম (যা তারা ১৯৮৪ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ১৫৯। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
২১ ডিসেম্বর ২০২৩ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১০১অপরিবর্তিত  কসোভো১২০২.৭৭
১০২অপরিবর্তিত  ভারত১২০০.৮
১০৩অপরিবর্তিত  গিনি-বিসাউ১১৯৭.৮৩
১০৪অপরিবর্তিত  গিনি-বিসাউ১১৯৭.৪৭
১০৫অপরিবর্তিত  মৌরিতানিয়া১১৯৫.২৫
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
১২ জানুয়ারি ২০২৪ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
৯৯হ্রাস ২৫  বাহরাইন১৪২৪
১০০বৃদ্ধি  সিরিয়া১৪১৭
১০১বৃদ্ধি  গিনি-বিসাউ১৪১০
১০২অপরিবর্তিত  অ্যাঙ্গোলা১৪০৯
১০২হ্রাস ১৯  এল সালভাদোর১৪০৯

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য

[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ

[সম্পাদনা]
ফিফা বিশ্বকাপবাছাইপর্ব
সালপর্বঅবস্থানম্যাচজয়ড্রহারস্বগোবিগোম্যাচজয়ড্রহারস্বগোবিগো
উরুগুয়ে ১৯৩০পর্তুগালের অংশ ছিলপর্তুগালের অংশ ছিল
ইতালি ১৯৩৪
ফ্রান্স ১৯৩৮
ব্রাজিল ১৯৫০
সুইজারল্যান্ড ১৯৫৪
সুইডেন ১৯৫৮
চিলি ১৯৬২
ইংল্যান্ড ১৯৬৬
মেক্সিকো ১৯৭০
পশ্চিম জার্মানি ১৯৭৪
আর্জেন্টিনা ১৯৭৮অংশগ্রহণ করেনিঅংশগ্রহণ করেনি
স্পেন ১৯৮২
মেক্সিকো ১৯৮৬
ইতালি ১৯৯০
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪
ফ্রান্স ১৯৯৮উত্তীর্ণ হয়নি
দক্ষিণ কোরিয়া জাপান ২০০২
জার্মানি ২০০৬
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০
ব্রাজিল ২০১৪
রাশিয়া ২০১৮
কাতার ২০২২অনির্ধারিতঅনির্ধারিত
মোট০/২১১২১৯

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. 1 2 "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
  2. 1 2 গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ১২ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]