বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদের তালিকা
এই নিবন্ধটি বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীবৃন্দের তালিকা সম্পর্কিত।[১][২]
- বামে: প্রধানমন্ত্রীর ক্রেস্ট
- ডানে: প্রধানমন্ত্রী ব্যবহৃত পতাকা
- উপরে বামে: তাজউদ্দীন আহমদ, অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের অধীনে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন ১১ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে।
- উপরে ডানে: শেখ মুজিবুর রহমান, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন ৭ মার্চ, ১৯৭৩ সালে।
- নিচে বামে: শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের দীর্ঘতম প্রধানমন্ত্রী, তিনি ১২ জুন, ১৯৯৬, ২৯ ডিসেম্বর, ২০০৮, ৫ জানুয়ারি, ২০১৪, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০ জানুয়ারি, ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হন।
- নিচে ডানে:খালেদা জিয়া, বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী, তিনি ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯১, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ এবং ১ অক্টোবর, ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী হন।
প্রধানমন্ত্রীদের তালিকা
[সম্পাদনা]- রাজনৈতিক দল
- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)
- জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল)
- জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল)
চিহ্ন
† কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যু
| নং. | প্রতিকৃতি | নাম (জন্ম-মৃত্যু) সাংসদীয় আসন |
কাজের মেয়াদকাল নির্বাচন মেয়াদ |
প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন অন্যান্য মন্ত্রণালয়সমূহ | রাজনৈতিক দল (জোট) |
মন্ত্রিসভা ও সংসদ | সূত্র. | |||
|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| ১ | তাজউদ্দীন আহমদ (১৯২৫-১৯৭৫) ঢাকা-৫ (পাকিস্তান) |
১৭ এপ্রিল ১৯৭১ |
১২ জানুয়ারি ১৯৭২ |
আওয়ামী লীগ | মুজিবনগর | ৫ম (পাকিস্তান) |
||||
| ১৯৭০ | ||||||||||
| ৮ মাস ও ২৬ দিন | ||||||||||
| ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাজউদ্দিন আহমদ বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং নবগঠিত মুজিবনগর সরকারকে নেতৃত্ব দেন। তাঁর নেতৃত্বে যুদ্ধের সময় প্রশাসনিক সমন্বয়, আন্তর্জাতিক যোগাযোগ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কৌশলগত সহায়তা নিশ্চিত করা হয়েছিল। | ||||||||||
| ২ | শেখ মুজিবুর রহমান (১৯২০-১৯৭৫) ঢাকা-৮ (পাকিস্তান), ১৯৭৩ অবধি ঢাকা-১২, ১৯৭৩ থেকে |
১২ জানুয়ারি ১৯৭২ |
২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ |
আওয়ামী লীগ | মুজিব ১ম | ১ম | ||||
| ১৯৭০, ১৯৭৩ | মুজিব ২য় | |||||||||
| ৩ বছর ও ১৩ দিন | ||||||||||
| শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী দেশ পুনর্গঠনের নেতৃত্ব দেন। তাঁর প্রধানমন্ত্রীত্বের মূল লক্ষ্য ছিল একটি নতুন সংবিধান প্রতিষ্ঠা, যুদ্ধবিধ্বস্ত প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন। | ||||||||||
| ৩ | মুহাম্মদ মনসুর আলী (১৯১৭–১৯৭৫) পাবনা-১ |
২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ |
১৫ আগস্ট ১৯৭৫ (সামরিক অভ্যুত্থানে পদচ্যুত) |
বাকশাল | মুজিব ৩য় | — | ||||
| — | ||||||||||
| ৬ মাস ও ২১ দিন | ||||||||||
| মনসুর আলী ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক সংক্ষিপ্ত ও অস্থির সময়কালে। তার কার্যকাল দ্রুত পরিবর্তিত জাতীয় পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং সরকারি কার্যক্রমকে সমর্থন করার উপর গুরুত্বারোপ করে। | ||||||||||
| পদ বিলুপ্ত (১৫ আগস্ট ১৯৭৫ – ২৯ জুন ১৯৭৮) | ||||||||||
| — | মশিউর রহমান (১৯২৪-১৯৭৯) জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী[ক] রংপুর-১ |
২৯ জুন ১৯৭৮ |
১২ মার্চ ১৯৭৯† |
জাগদল / বিএনপি |
জিয়া | — | ||||
| — | ||||||||||
| ৮ মাস ও ১২ দিন | ||||||||||
| প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন সিনিয়র মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি সরকারি প্রশাসন এবং রাজনৈতিক সমন্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, বিশেষ করে জোট পরিবর্তন এবং প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনের সময়কালে। | ||||||||||
| পদশূন্য (১২ মার্চ – ১৫ এপ্রিল ১৯৭৯) | ||||||||||
| ৪ | শাহ আজিজুর রহমান (১৯২৫-১৯৮৮) কুষ্টিয়া-৩ |
১৫ এপ্রিল ১৯৭৯ |
২৪ মার্চ ১৯৮২ (সামরিক অভ্যুত্থানে পদচ্যুত) |
বিএনপি | জিয়া | ২য় | ||||
| ১৯৭৯ | ||||||||||
| ২ বছর, ১১ মাস ও ৯ দিন | সাত্তার | |||||||||
| রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অধীনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর মেয়াদকালে তিনি সরকারি প্রশাসন পরিচালনা, রাজনৈতিক পুনর্গঠন মোকাবিলা এবং জিয়ার রাষ্ট্রনীতিগুলো বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। | ||||||||||
| পদ বিলুপ্ত (২৪ মার্চ ১৯৮২ – ৩০ মার্চ ১৯৮৪) | ||||||||||
| ৫ | আতাউর রহমান খান (১৯০৫–১৯৯১) — |
৩০ মার্চ ১৯৮৪ |
১ জানুয়ারি ১৯৮৫[৩] |
জনদল | এরশাদ | — | ||||
| — | ||||||||||
| ৯ মাস ও ২ দিন | ||||||||||
| প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রশাসনিক ভারসাম্য বজায় রাখা এবং সরকারের কর্মকৌশলকে আরও সুসংগঠিত করার দিকে গুরুত্ব দেন। তিনি নীতি নির্ধারণের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে স্থিরতা আনার চেষ্টা করেন। | ||||||||||
| পদশূন্য (১ জানুয়ারি ১৯৮৫ – ৯ জুলাই ১৯৮৬) | ||||||||||
| ৬ | মিজানুর রহমান চৌধুরী (১৯২৮–২০০৬) চাঁদপুর-৪ |
৯ জুলাই ১৯৮৬ |
২৭ মার্চ ১৯৮৮ |
জাতীয় পার্টি | এরশাদ | ৩য় | ||||
| ১৯৮৬ | ||||||||||
| ১ বছর, ৮ মাস ও ১৮ দিন | ||||||||||
| সরকারের মুখপাত্রসদৃশ ভূমিকা পালন করে নীতিগত সিদ্ধান্তগুলো জনসমক্ষে ব্যাখ্যার কাজ করেন। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা এবং প্রশাসনে যোগাযোগ বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালান। | ||||||||||
| ৭ | মওদুদ আহমেদ (১৯৪০-২০২১) নোয়াখালী-১ |
২৭ মার্চ ১৯৮৮ |
১২ আগস্ট ১৯৮৯ |
জাতীয় পার্টি | এরশাদ | ৪র্থ | ||||
| ১৯৮৮ | ||||||||||
| ১ বছর, ৪ মাস ও ১৬ দিন | ||||||||||
| প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আইনি ও সাংবিধানিক বিষয়গুলোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেন। তিনি রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কাঠামো সংহত করা এবং নীতি প্রণয়নে যুক্তিকেন্দ্রিক পদ্ধতি অনুসরণের ওপর জোর দেন। | ||||||||||
| ৮ | কাজী জাফর আহমেদ (১৯৩৯-২০১৫) কুমিল্লা-১২ |
১২ আগস্ট ১৯৮৯ |
৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ (রাষ্ট্রপতির পদত্যাগে পলায়ন) |
জাতীয় পার্টি | এরশাদ | ৪র্থ | ||||
| ১৯৮৮ | ||||||||||
| ১ বছর, ৩ মাস ও ২৪ দিন | ||||||||||
| প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় সরকার পরিচালনা এবং প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষার চেষ্টা করেন। এরশাদ পদত্যাগ করার পর তিনি রাজনৈতিক চাপে দেশ ত্যাগ করে ভারতে চলে যান, যা সেই সময়ের রাজনৈতিক সংকটের একটি বড় দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠে। | ||||||||||
| পদশূন্য (৬ ডিসেম্ভর ১৯৯০ – ২০ মার্চ ১৯৯১) | ||||||||||
| ৯ | খালেদা জিয়া (জন্ম–১৯৪৫) ফেনী-১ |
২০ মার্চ ১৯৯১ |
৩০ মার্চ ১৯৯৬ |
বিএনপি | খালেদা ১ম | ৫ম | ||||
| ১৯৯১, ১৯৯৬ (ফেব্রুয়ারি) | ||||||||||
| ৫ বছর ও ১০ দিন | খালেদা ২য় | ৬ষ্ঠ | ||||||||
| বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসেন। তাঁর প্রথম মেয়াদকালে তিনি দেশের অর্থনৈতিক পুনর্গঠন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দেন। | ||||||||||
| ১০ | শেখ হাসিনা (জন্ম–১৯৪৭) গোপালগঞ্জ-৩ |
২৩ জুন ১৯৯৬ |
১৫ জুলাই ২০০১ |
আওয়ামী লীগ | হাসিনা ১ম | ৭ম | ||||
| ১৯৯৬ (জুন) | ||||||||||
| ৫ বছর ও ২২ দিন | ||||||||||
| প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৯৬ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর প্রথম মেয়াদকালে তিনি দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সামাজিক ও শিক্ষাগত খাতে নীতি প্রণয়নের ওপর গুরুত্ব দেন। এছাড়াও তিনি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান মজবুত করা এবং রাজনৈতিক সংলাপ বাড়ানোর চেষ্টা করেন। | ||||||||||
| (৯) | খালেদা জিয়া (জন্ম–১৯৪৫) বগুড়া-৬ |
১০ অক্টোবর ২০০১ |
২৯ অক্টোবর ২০০৬ |
বিএনপি (চার দলীয় জোট) |
খালেদা ৩য় | ৮ম | ||||
| ২০০১ | ||||||||||
| ৫ বছর ও ১৯ দিন | ||||||||||
| দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০০১ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর সরকার দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, যেমন সড়ক ও বিদ্যুৎ খাতের সম্প্রসারণে গুরুত্ব দেয়। অর্থনৈতিক নীতি এবং বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নের ওপর বিশেষ মনোযোগ ছিল তাঁর প্রশাসনের। রাজনৈতিক সংলাপ ও বিরোধী দলের সঙ্গে সমন্বয় বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালানো হয়। দ্বিতীয় মেয়াদকালে দেশকে স্থিতিশীল রাখতে এবং সরকারের কার্যকারিতা বাড়াতে তিনি বিভিন্ন নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেন। | ||||||||||
| (১০) | শেখ হাসিনা (জন্ম–১৯৪৭) গোপালগঞ্জ-৩ |
৬ জানুয়ারি ২০০৯ |
৫ আগস্ট ২০২৪ (পদত্যাগ) |
আওয়ামী লীগ (মহাজোট) |
হাসিনা ২য় | ৯ম | ||||
| হাসিনা ৩য় | ১০ম | |||||||||
| ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ | হাসিনা ৪র্থ | ১১তম | ||||||||
| ১৫ বছর, ৬ মাস ও ৩০ দিন | হাসিনা ৫ম | ১২তম | ||||||||
| বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা তিনটি নির্বাচনে জয়লাভ করেন, যা তাকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করে। তার দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রীত্বের সময় (২০০৮-২০২৪), গণতান্ত্রিক রীতিনীতি লঙ্ঘনের জন্য তার শাসন ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিল। রাজনৈতিক বিরোধীদের কারারুদ্ধ করা, বাকস্বাধীনতা দমন করা এবং গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে রাজনীতিকরণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। ২০২৪ সালে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়, তার সরকার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়, যার ফলে বহু শিক্ষার্থী নিহত হয় এবং ব্যাপক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে, তিনি ৫ আগস্ট পদত্যাগ করেন ঐ দিনই দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। | ||||||||||
সময়রেখা
[সম্পাদনা]
প্রধানমন্ত্রীর সমমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের তালিকা
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান যিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারে থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে নির্বাচিত সরকারের থেকে আরেক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একটি নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার প্রায় সমতুল্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী ক্ষমতা কিছু সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতার মাধ্যমে সীমাবদ্ধ করা হয়। অন্যান্য উপদেষ্টাদের সাথে তাকেও রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের মধ্য থেকে নির্বাচন করা হতো যাতে সমস্ত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়।
চিহ্ন
| ক্রম | নাম
(জন্ম–মৃত্যু) |
প্রতিকৃতি | দায়িত্ব গ্রহণ | দায়িত্ব ত্যাগ | মেয়াদ | রাজনৈতিক দল | উপদেষ্টা
পরিষদ |
|---|---|---|---|---|---|---|---|
| বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার | |||||||
| ১ | মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান[৪]
(১৯২৮–২০১৪) |
৩০ মার্চ ১৯৯৬ | ২৩ জুন ১৯৯৬ | ৮৫ দিন | স্বতন্ত্র | হাবিবুর | |
| ২ | লতিফুর রহমান[৪]
(১৯৩৬–২০১৭) |
১৫ জুলাই ২০০১ | ১০ অক্টোবর ২০০১ | ৮৭ দিন | স্বতন্ত্র | লতিফুর | |
| ৩ | ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ[৪]
(১৯৩১–২০১২) রাষ্ট্রপতি ও |
২৯ অক্টোবর ২০০৬ | ১১ জানুয়ারি ২০০৭ | ৭৪ দিন | স্বতন্ত্র | ইয়াজউদ্দিন | |
| – | ফজলুল হক
(১৯৩৮–২০২৩) |
১১ জানুয়ারি ২০০৭ | ১২ জানুয়ারি ২০০৭ | ১ দিন | স্বতন্ত্র | ||
| ৪ | ফখরুদ্দীন আহমদ[৫]
(১৯৪০–) |
১২ জানুয়ারি ২০০৭ | ৬ জানুয়ারি ২০০৯ | ১ বছর, ৩৬০ দিন | স্বতন্ত্র | ফখরুদ্দীন | |
| বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার | |||||||
| ৫ | মুহাম্মদ ইউনূস[৬]
(১৯৪০–) |
৮ আগস্ট ২০২৪ | অদ্যাবধি | ১ বছর, ১০৯ দিন | স্বতন্ত্র | ইউনুস | |
প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক
[সম্পাদনা]প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক (Chief Martial Law Administrator – CMLA) ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক সামরিক পদ, যা সাধারণত সামরিক অভ্যুত্থান বা জরুরি অবস্থার সময়ে ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা সামরিক নেতারা ধারণ করতেন। এ পদধারী ব্যক্তি কার্যত রাষ্ট্রপ্রধানের ক্ষমতা ভোগ করতেন এবং সামরিক আইন জারি করে দেশ পরিচালনা করতেন।
বাংলাদেশে এ পদটি কয়েকবার ব্যবহৃত হয়েছে
বাংলাদেশে এই পদ লাভকারী ব্যক্তিরা হলেন:
| নং. | প্রতিকৃতি | নাম (জন্ম–মৃত্যু) |
মেয়াদকাল | মন্তব্য | ||
|---|---|---|---|---|---|---|
| কার্যকাল শুরু | কার্যকাল শেষ | মেয়াদ | ||||
| ১ | মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ (১৯৩৭–১৯৭৫) |
৩ নভেম্বর ১৯৭৫ | ৬ নভেম্বর ১৯৭৫ | ৪ দিন | ১৯৭৫ সালে একটি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থান এর পর চার দিন তিনি এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন, কিন্তু জাসদ নেতা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু তাহেরের নেতৃত্বে একটি জনপ্রিয় বিদ্রোহের ফলে সৃষ্ট পাল্টা অভ্যুত্থানে তিনি নিহত হন।[৭] | |
| ২ | বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম (১৯১৬–১৯৯৭) |
৬ নভেম্বর ১৯৭৫ | ২৯ নভেম্বর ১৯৭৬ | ১ বছর, ২৩ দিন | বাংলাদেশের পঞ্চম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মোশাররফের মৃত্যুর পর তিনি এই পদে অধিষ্ঠিত হন।[৭] | |
| ৩ | মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান (১৯৩৬–১৯৮১) |
২৯ নভেম্বর ১৯৭৬ | ৬ এপ্রিল ১৯৭৯ | ২ বছর, ১২৮ দিন | সায়েমের রাষ্ট্রপতিত্বের সময়কালে তিনি এই পদে স্থলাভিষিক্ত হন এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার এক বছর পর সামরিক আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করেন।[৭] | |
| ৪ | লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ (১৯৩০–২০১৯) |
২৪ মার্চ ১৯৮২ | ১১ নভেম্বর ১৯৮৬ | ৪ বছর, ২৩২ দিন | রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানে আবদুস সাত্তার কে উৎখাত করার পর থেকে ১৯৮৬ সালে সামরিক আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তিনি এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।[৮] | |
উপপ্রধানমন্ত্রী
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের উপ-প্রধানমন্ত্রী হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উপ-প্রধান এবং জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদমর্যাদার সংসদ নেতা। একজন উপ-প্রধানমন্ত্রী সাধারণত স্ব-পদ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে মন্ত্রিসভার কার্যভার এর পাশাপাশি যেকোনো স্বতন্ত্র মন্ত্রাণলয়ের দায়িত্বও পালন করতে পারেন। এই পদটি অনিয়মিতভাবে তৈরী করা হয়েছে, প্রতিষ্ঠার পর মাত্র ৯ বার এটি বহাল করা হয়েছিল। এই পদটি সাধারণত রাষ্ট্রপতি শাসন আমলে বিশেষ ভাবে লক্ষ্য করা যায়। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের কোনো উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদ নেই।
উপপ্রধানমন্ত্রীর তালিকা
[সম্পাদনা]- রাজনৈতিক দল
| ক্রম | প্রতিকৃতি | নাম (জন্ম–মৃত্যু) |
কার্যকাল | রাজনৈতিক দল | প্রধানমন্ত্রী | রাষ্ট্রপতি | তথ্যসূত্র | ||||
|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| দায়িত্ব গ্রহণ | দায়িত্ব ত্যাগ | মেয়াদকাল | |||||||||
| ১ | মওদুদ আহমদ
(১৯৪০-২০২১) |
১৫ এপ্রিল ১৯৭৯ | ২ জানুয়ারি ১৯৮০ | ২৬২ দিন | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল | [৯] | |||||
| ২ | একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী (১৯৩০-২০২৪) সিনিয়র উপপ্রধানমন্ত্রী |
১৫ এপ্রিল ১৯৭৯ | ২৩ আগস্ট ১৯৭৯ | ১৩০ দিন | [৯] | ||||||
| ৩ | জামাল উদ্দিন আহমেদ (১৯২৯-২০১৫) |
২৩ আগস্ট ১৯৭৯ | ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২ | ২ বছর, ১৭২ দিন |
|
[১০] | |||||
| ৪ | এস. এ. বারী (১৯২৭-১৯৮৭) |
২৩ আগস্ট ১৯৭৯ | ২৭ নভেম্বর ১৯৮১ | ২ বছর, ৯৬ দিন | [১১] | ||||||
| (১) | মওদুদ আহমদ (১৯৪০-২০২১) |
৯ জুলাই ১৯৮৬ | ২৭ মার্চ ১৯৮৮ | ১ বছর, ২৬২ দিন | জাতীয় পার্টি | ![]() মিজানুর রহমান চৌধুরী |
[১২] | ||||
| ৫ | কাজী জাফর আহমেদ (১৯৩৯-২০১৫) |
৯ জুলাই ১৯৮৬ | ১০ আগস্ট ১৯৮৭ | ৩ বছর, ৩৪ দিন | [১৪] | ||||||
| (৫) | ২৭ মার্চ ১৯৮৮ | ১২ আগস্ট ১৯৮৯ | মওদুদ আহমদ | ||||||||
| ৬ | এম এ মতিন (১৯৩২-২০১২) |
৯ জুলাই ১৯৮৬ | ১৩ আগস্ট ১৯৮৯ | ৩ বছর, ৩৫ দিন |
|
[১৫] | |||||
| ৭ | শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন (১৯৩৯-২০২২) |
২০ নভেম্বর ১৯৮৭ | ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ | ৩ বছর, ১৬ দিন | [১৬] | ||||||
| পদ বিলুপ্ত | |||||||||||
ঐতিহাসিক তালিকা
[সম্পাদনা]অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার (১৯৭১-১৯৭২)
[সম্পাদনা]- রাজনৈতিক দল
| ক্রম | প্রতিকৃতি | নাম (জন্ম-মৃত্যু) |
পদের মেয়াদকাল | দল | ||
|---|---|---|---|---|---|---|
| পদ গ্রহণ | পদ পরিত্যাগ | মেয়াদকাল | ||||
| ১ | তাজউদ্দীন আহমেদ (১৯২৫-১৯৭৫) |
১৭ এপ্রিল ১৯৭১ | ১২ জানুয়ারি ১৯৭২ | ২৭০ দিন | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ | |
পাকিস্তান আমল (১৯৪৭-১৯৭১)
[সম্পাদনা]পূর্ব পাকিস্তান সরকার বা পূর্বে পূর্ববঙ্গ সরকার পূর্ববঙ্গ প্রদেশ (পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তান, এখন বাংলাদেশ) শাসন করত এবং এর প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত ছিল। প্রদেশের প্রধান ছিলেন গভর্নর, যিনি পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত হতেন। পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশের প্রধান ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যিনি পূর্ব পাকিস্তান আইনপরিষদ দ্বারা নির্বাচিত হন।
মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকা
[সম্পাদনা]- রাজনৈতিক দল
মুসলিম লীগ
যুক্তফ্রন্ট
কৃষক প্রজা পার্টি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
| ক্রম | প্রতিকৃতি | নাম | পদ গ্রহণ | পদ পরিত্যাগ | মেয়াদকাল | দল | গভর্নর | গভর্নর জেনারেল/রাষ্ট্রপতি |
|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| ১ | স্যার খাজা নাজিমুদ্দিন
(১৮৯৪ – ১৯৬৪) |
১৫ আগস্ট ১৯৪৭ | ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮ | ১ বছর, ২০ দিন | মুসলিম লীগ | স্যার ফ্র্যাডেরিক চালমার্স বোর্ন | মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ | |
| ২ | নুরুল আমিন
(১৮৯৩ - ১৯৭৪) |
১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮ | ৩ এপ্রিল ১৯৫৪ | ৫ বছর, ২০১ দিন | মুসলিম লীগ | স্যার ফিরোজ খান নুন | ||
| ৩ | শেরে বাংলা একে ফজলুল হক
(১৮৭৩ - ১৯৬২) |
৩ এপ্রিল ১৯৫৪ | ২৯ মে ১৯৫৪ | ৫৬ দিন | যুক্তফ্রন্ট | চৌধুরী খালিকুজ্জামান | মালিক গোলাম মুহাম্মদ | |
| গভর্নর শাসন পদ বিলুপ্ত ছিল (২৯ মে ১৯৫৪ – ২০ জুন ১৯৫৫) | ||||||||
| ৪ | আবু হোসেন সরকার
(১৮৯৪ - ১৯৬৯) |
২০ জুন ১৯৫৫ | ৩০ আগস্ট ১৯৫৬ | ১ বছর, ৭১ দিন | কৃষক প্রজা পার্টি | স্যার টমাস হোবার্ট এলিস (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ শাহাবউদ্দিন (ভারপ্রাপ্ত) |
||
| ৫ | আতাউর রহমান খান
(১৯০৭ - ১৯৯১) |
১ সেপ্টেম্বর ১৯৫৬ | ৩১ মার্চ ১৯৫৮[১৭] | ১ বছর, ২১১ দিন | আওয়ামী লীগ |
আমিরউদ্দীন আহমদ (ভারপ্রাপ্ত) |
ইস্কান্দার মির্জা | |
| (৪) | আবু হোসেন সরকার
(১৮৯৪ - ১৯৬৯) |
৩১ মার্চ ১৯৫৮ | ১ এপ্রিল ১৯৫৮[৭] | ১ দিন | কৃষক প্রজা পার্টি | শেরে বাংলা একে ফজলুল হক মুহাম্মদ হামিদ আলী (ভারপ্রাপ্ত) |
ইস্কান্দার মির্জা | |
| (৫) | আতাউর রহমান খান
(১৯০৭ - ১৯৯১) |
১ এপ্রিল ১৯৫৮ | ১৮ জুন ১৯৫৮ | ৭৮ দিন | আওয়ামী লীগ |
মুহাম্মদ হামিদ আলী (ভারপ্রাপ্ত) |
||
| (৪) | আবু হোসেন সরকার
(১৮৯৪ - ১৯৬৯) |
১৮ জুন ১৯৫৮ | ২২ জুন ১৯৫৮ | ৪ দিন | কৃষক প্রজা পার্টি | সুলতানউদ্দিন আহমদ | আইয়ুব খান | |
| গভর্নর শাসন পদ বিলুপ্ত ছিল (২২ জুন ১৯৫৮ – ২৫ আগস্ট ১৯৫৮) | ||||||||
| (৫) | আতাউর রহমান খান
(১৯০৭ - ১৯৯১) |
২৫ আগস্ট ১৯৫৮ | ৭ অক্টোবর ১৯৫৮ | ৪৩ দিন | আওয়ামী লীগ | সুলতানউদ্দিন আহমদ | আইয়ুব খান | |
গভর্নরগণ
[সম্পাদনা]পাকিস্তানের অধিরাজ্যের মধ্যে অধিগ্রহণের পর, পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশ (সাবেক পূর্ব বাংলা) একজন আনুষ্ঠানিক গভর্নর এবং একজন পরোক্ষভাবে নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী দ্বারা শাসিত হয়। মে ১৮৫৪ থেকে ১৯৫৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যপালের দ্বারা নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়েছিল এবং কোনও মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না।
- রাজনৈতিক দল
মুসলিম লীগ
কৃষক প্রজা পার্টি
স্বতন্ত্র
![]()
সেনা সমর্থিত
চিহ্ন
| ক্রম | প্রতিকৃতি | গভর্নর | পদ গ্রহণ | পদ পরিত্যাগ | মেয়াদকাল | দল | গভর্নর জেনারেল/
রাষ্ট্রপতি |
|---|---|---|---|---|---|---|---|
| ১ | স্যার ফ্রেডরিক চালমারস বোর্ন
(১৮৯১-১৯৭৭) |
১৫ আগস্ট ১৯৪৭ | ৩১ মার্চ ১৯৫০ | ২ বছর, ২২৮ দিন | স্বতন্ত্র
(ব্রিটিশ প্রশাসক) |
||
| [-] | এএসএম আকরাম[১৮] (ভারপ্রাপ্ত) (১৮৮৮-১৯৬৮) |
১৬ মার্চ ১৯৪৯ | ২৫ এপ্রিল ১৯৪৯ | ৪০ দিন | স্বতন্ত্র | স্যার খাজা নাজিমুদ্দিন | |
| ২ | স্যার ফিরোজ খান নুন
(১৮৯৩-১৯৭০) |
৩১ মার্চ ১৯৫০ | ৩১ মার্চ ১৯৫৩ | ৩ বছর, ০ দিন | মুসলিম লীগ | ||
| [-] | আবদুর রহমান সিদ্দিকী[১৯] (ভারপ্রাপ্ত) (১৮৮৭-১৯৫৩) |
২৫ জুলাই ১৯৫২ | ১০ নভেম্বর ১৯৫২ | ১০৮ দিন | মুসলিম লীগ | মালিক গোলাম মুহাম্মদ | |
| ৩ | চৌধুরী খালিকুজ্জামান
(১৮৮৯-১৯৭৩) |
৩১ মার্চ ১৯৫৩ | ২৯ মে ১৯৫৪ | ১ বছর, ৫৯ দিন | মুসলিম লীগ | মালিক গোলাম মুহাম্মদ | |
| ৪ | ইস্কান্দার আলী মির্জা
(১৮৯৯-১৯৬৯) |
২৯ মে ১৯৫৪ | ২৩ অক্টোবর ১৯৫৪ | ১৪৭ দিন | মুসলিম লীগ | মালিক গোলাম মুহাম্মদ | |
| [-] | স্যার টমাস হোবার্ট এলিস (ভারপ্রাপ্ত) [২০] (১৮৯৪-১৯৮১) |
২১ অক্টোবর ১৯৫৪ | ২২ ডিসেম্বর ১৯৫৪ | ৬২ দিন | স্বতন্ত্র | মালিক গোলাম মুহাম্মদ | |
| [-] | মুহাম্মদ শাহাবুদ্দিন (ভারপ্রাপ্ত) (১৮৯৫-১৯৭১) |
২২ ডিসেম্বর ১৯৫৪ | ১৪ জুন ১৯৫৫ | ১৭৪ দিন | স্বতন্ত্র | ইস্কান্দার মীর্জা | |
| [-] | আমিরউদ্দীন আহমদ (ভারপ্রাপ্ত) (১৮৯৫-১৯৬৫) |
১৪ জুন ১৯৫৫ | ৯ মার্চ ১৯৫৬ | ২৬৯ দিন | স্বতন্ত্র | ইস্কান্দার মির্জা | |
| ৫ | এ কে ফজলুল হক
(১৮৭৩ - ১৯৬২) |
২৪ মার্চ ১৯৫৬ | ১ এপ্রিল ১৯৫৮[৭] | ২ বছর, ৮ দিন | কৃষক প্রজা পার্টি | ইস্কান্দার মির্জা | |
| [-] | মুহাম্মদ হামিদ আলী (ভারপ্রাপ্ত) (১৯০৬-১৯৭২) |
১ এপ্রিল ১৯৫৮ | ৩ মে ১৯৫৮ | ৩২ দিন | স্বতন্ত্র | ||
| ৬ | সুলতানউদ্দিন আহমদ
(১৯০২-১৯৭৭) |
৩ মে ১৯৫৮ | ১০ অক্টোবর ১৯৫৮ | ১৬০ দিন | স্বতন্ত্র | ||
| ৭ | জাকির হোসেন
(১৮৯৮-১৯৭১) |
১০ অক্টোবর ১৯৫৮ | ১১ এপ্রিল ১৯৬০ | ১ বছর, ১৮৪ দিন | স্বতন্ত্র | ||
| ৮ | লেফটেন্যান্ট জেনারেল
(১৯০৮-১৯৯৪) |
১১ এপ্রিল ১৯৬০ | ১১ মে ১৯৬২ | ২ বছর, ৩০ দিন | সেনা সমর্থিত | আইয়ুব খান | |
| [-] | সৈয়দ হাশিম রাজা (ভারপ্রাপ্ত) (১৯১০-২০০৩) |
১ জুলাই ১৯৬১ | ৫ আগস্ট ১৯৬১ | ৩৫ দিন | স্বতন্ত্র | ||
| ৯ | গোলাম ফারুক খান
(১৮৯৯-১৯৯২) |
১১ মে ১৯৬২ | ২৫ অক্টোবর ১৯৬২ | ১৬৭ দিন | স্বতন্ত্র | ||
| ১০ | আব্দুল মোনেম খান
(১৮৯৯-১৯৭১) |
২৫ অক্টোবর ১৯৬২ | ২৩ মার্চ ১৯৬৯ | ৬ বছর, ১৪৯ দিন | মুসলিম লীগ | ||
| ১১ | মির্জা নূরুল হুদা
(১৯১৯-১৯৯১) |
২৩ মার্চ ১৯৬৯ | ২৫ মার্চ ১৯৬৯ | ২ দিন | স্বতন্ত্র | ||
| ১২ | মেজর-জেনারেল | ২৫ মার্চ ১৯৬৯ | ২৩ আগস্ট ১৯৬৯ | ১৫১ দিন | সেনা সমর্থিত | ইয়াহিয়া খান | |
| ১৩ | লেফটেন্যান্ট জেনারেল
(১৯২০-২০১৬) |
২৩ আগস্ট ১৯৬৯ | ১ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ | ৯ দিন | সেনা সমর্থিত | ||
| ১৪ | ভাইস অ্যাডমিরাল
(১৯২১-১৯৮৯) |
১ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ | ৭ মার্চ ১৯৭১ | ১ বছর, ১৮৭ দিন | সেনা সমর্থিত | ||
| ১৫ | লেফটেন্যান্ট জেনারেল
(১৯২০-২০১৬) |
৭ মার্চ ১৯৭১ | ৬ এপ্রিল ১৯৭১ | ৩০ দিন | সেনা সমর্থিত | ||
| ১৬ | লেফটেন্যান্ট জেনারেল
(১৯১৫-২০০২) |
৬ এপ্রিল ১৯৭১ | ৩১ আগস্ট ১৯৭১ | ১৪৭ দিন | সেনা সমর্থিত | ||
| ১৭ | আবদুল মুতালিব মালেক
(১৯০৫-১৯৭৭) |
৩১ আগস্ট ১৯৭১ | ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ | ১০৫ দিন | মুসলিম লীগ | ||
| ১৮ | লেফটেন্যান্ট জেনারেল
আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী, পিএ (১৯১৫-২০০৪) |
১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ | ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ | ২ দিন | সেনা সমর্থিত |
ব্রিটিশ বাংলা (১৯৩৫-১৯৪৭)
[সম্পাদনা]অফিসটি ভারত সরকারের আইন ১৯৩৫-এর অধীনে তৈরি করা হয়েছিল, যা বাংলাকে একটি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা প্রদান করেছিল, যার মধ্যে বেঙ্গল লেজিসলেটিভ কাউন্সিল এবং বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী শাখার দায়িত্বে ছিলেন। বাংলার প্রধানমন্ত্রী লাহোর প্রস্তাব ঘোষণা এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি আক্রমণ মোকাবেলা সহ প্যান-ইন্ডিয়ান রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
- রাজনৈতিক দল
| ক্রম | নাম | প্রতিকৃতি | কার্যকাল | দল | নির্বাচন | গভর্নর | ||
|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| পদ গ্রহণ | পদ পরিত্যাগ | মেয়াদকাল | ||||||
| ১ | শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক | ১ এপ্রিল ১৯৩৭ | ১ ডিসেম্বর ১৯৪১ | ৫ বছর, ৩৬২ দিন | কৃষক প্রজা পার্টি | ১৯৩৭ | স্যার জন অ্যান্ডারসন | |
| ১২ ডিসেম্বর ১৯৪১ | ২৯ মার্চ ১৯৪৩ | স্যার জন আর্থার হার্বার্ট | ||||||
| ২ | স্যার খাজা নাজিমউদ্দিন | ২৯ এপ্রিল ১৯৪৩ | ৩১ মার্চ ১৯৪৫ | ১ বছর, ৩৩৬ দিন | মুসলিম লীগ | |||
| গভর্নর শাসন পদ শূন্য ছিল ( ১ এপ্রিল ১৯৪৫ – ২২ এপ্রিল ১৯৪৬) | ||||||||
| ৩ | হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী | ২৩ এপ্রিল ১৯৪৬ | ১৪ আগস্ট ১৯৪৭ | ১ বছর, ১১৪ দিন | মুসলিম লীগ | ১৯৪৬ | স্যার ফ্রেডেরিক বারোস | |
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]টীকা
[সম্পাদনা]- ↑ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদায় সিনিয়র মন্ত্রী
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ জিবলু রহমান। ভাসানী-মুজিব-জিয়া। বাংলাদেশ: শ্রীহট্ট প্রকাশ। পৃ. ৪৩৬। আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯৩০২৭২৮।
- ↑ জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রিসভা ১৯৭০-৯১
- ↑ Khan, Muazzam Hussain (২০১২)। "Khan, Ataur Rahman"। Islam, Sirajul; Jamal, Ahmed A. (সম্পাদকগণ)। Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh (Second সংস্করণ)। Asiatic Society of Bangladesh।
- 1 2 3 "Non-party caretaker"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ অক্টোবর ২০১৩। ১০ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "The chief adviser's education promises"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ৯ মার্চ ২০০৮। ৯ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "Muhammad Yunus takes oath as head of Bangladesh's interim government"।
- 1 2 3 4 5 Bari, Md Ershadul (১ জানুয়ারি ১৯৮৫)। "Martial Law in Bangladesh 1975-1979: A Legal Analysis." (ইংরেজি ভাষায়)। ডিওআই:10.25501/SOAS.00033751।
{{সাময়িকী উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি journal এর জন্য|journal=প্রয়োজন (সাহায্য) উদ্ধৃতি ত্রুটি:<ref>ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে ":0" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে - ↑ "Martial Law Ends in Bangladesh"। The Washington Post (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। ১১ নভেম্বর ১৯৮৬। আইএসএসএন 0190-8286। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- 1 2 "১৯৭১ সাল থেকে ০৭-০১-২০১৯ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দের দপ্তর বন্টনসহ নামের তালিকা" (পিডিএফ)। cabiet.gov.bd। ১৩ মার্চ ২০১৯। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ "Former deputy prime minister Jamal Uddin Ahmad dies"। Bdnews24.com। ১৪ জানুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ Paxton, J. (২০১৬)। The Statesman's Year-Book 1981-82। Springer। পৃ. ১৮৮। আইএসবিএন ৯৭৮-০-২৩০-২৭১১০-৪।
- ↑ "Profile - Barrister Moudud Ahmed"। Tritiyo Matra (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০২১।
- ↑ Paxton, J. (২০১৬)। The Statesman's Year-Book 1981-82। Springer। পৃ. ১৮৮। আইএসবিএন ৯৭৮-০-২৩০-২৭১১০-৪।
- ↑ Rahman, Syedur (২০১০)। Historical Dictionary of Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। Scarecrow Press। আইএসবিএন ৯৭৮০৮১০৮৭৪৫৩৪।
- ↑ "Vice President Named By Bangladesh Leader"। The New York Times। ১ ডিসেম্বর ১৯৮৬। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "Shah Moazzem changes sides for BNP ticket"। bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "1958.04 | যুগান্তর এপ্রিল ১৯৫৮ সালের মূল পত্রিকা - সংগ্রামের নোটবুক"। web.archive.org। ১ এপ্রিল ১৯৫৮। ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: বট: মূল ইউআরএলের অবস্থা অজানা (লিঙ্ক) - ↑ "akram"। ৯ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: বট: মূল ইউআরএলের অবস্থা অজানা (লিঙ্ক) - ↑ "abdurrahman"। ৯ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: বট: মূল ইউআরএলের অবস্থা অজানা (লিঙ্ক) - ↑ "hobartellis"। ৯ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: বট: মূল ইউআরএলের অবস্থা অজানা (লিঙ্ক) - ↑ (ভারপ্রাপ্ত সামরিক আইন প্রশাসক এবং গভর্নর যহেতু তিনি জিওসি ১৪পদাতিক ডিভিশনে ছিলেন)
