বিষয়বস্তুতে চলুন

৯ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
৯ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
পুরস্কার দেওয়া হয়১৯৮৪ সালে চলচ্চিত্রশিল্পে গৌরবোজ্জ্বল ও অসাধারণ অবদানের জন্য
পুরস্কার প্রদান করেবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি
আয়োজকতথ্য মন্ত্রণালয়
তারিখ২৮ ডিসেম্বর ১৯৮৫
স্থানঢাকা, বাংলাদেশ
অফিসিয়াল ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট
আলোকপাত
শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রভাত দে
শ্রেষ্ঠ অ-পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রআগামী
শ্রেষ্ঠ অভিনেতারাজ্জাক
চন্দ্রনাথ
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীশাবানা
ভাত দে
সর্বাধিক পুরস্কারভাত দে
  ৮ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ১০ম  

৯ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য প্রদত্ত ৯ম আয়োজন; যা ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশের মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র সমূহের জন্য দেওয়া হয়। ১৯৭৫ সাল থেকে প্রতি বছর এটি দেয়া হচ্ছে। সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একটি জাতীয় প্যানেল বিজয়ীদের নির্বাচন করে থাকে। এই বছর ভাত দে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ ৯টি বিভাগে পুরস্কার লাভ করে। এছাড়া চন্দ্রনাথ ৫টি, এবং সখিনার যুদ্ধ, মহানায়ক, নয়নের আলো, ও অভিযান ১টি করে পুরস্কার লাভ করে। এছাড়া মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত আগামী শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করে।[]

অনুষ্ঠান

[সম্পাদনা]

২৮ ডিসেম্বর, ১৯৮৫ সালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরস্কার বিতরণ করেন তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন। এই বছর মোট ১৯টি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হয়।[]

বিজয়ী

[সম্পাদনা]

এই বছর ভাত দে চলচ্চিত্রের জন্য দ্বিতীয়বারে মত শ্রেষ্ঠ পরিচালক, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকারশ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা বিভাগে তিনটি পুরস্কার জিতেন আমজাদ হোসেন[] রাজ্জাক চতুর্থবারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন।[] শাবানা এই বছর টানা চতুর্থবারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন। আনোয়ারা তৃতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন। সাবিনা ইয়াসমিন পঞ্চমবারের মত শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী বিভাগে পুরস্কৃত হন।[]

বিজয়ীদের তালিকা

[সম্পাদনা]

মেধা পুরস্কার

[সম্পাদনা]
পুরস্কারের বিভাগ বিজয়ী চলচ্চিত্র
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রআবু জাফর খান (প্রযোজক)ভাত দে
শ্রেষ্ঠ পরিচালকআমজাদ হোসেনভাত দে
শ্রেষ্ঠ অভিনেতারাজ্জাকচন্দ্রনাথ
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীশাবানাভাত দে
শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতাসিরাজুল ইসলামচন্দ্রনাথ
শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রীআনোয়ারাসখিনার যুদ্ধ
শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পীআঁখি আলমগীরভাত দে
শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালকখন্দকার নুরুল আলমচন্দ্রনাথ
শ্রেষ্ঠ গীতিকারমোহাম্মদ রফিকউজ্জামানচন্দ্রনাথ
শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পীসুবীর নন্দীমহানায়ক
শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পীসাবিনা ইয়াসমিনচন্দ্রনাথ
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রমোরশেদুল ইসলাম (পরিচালক)আগামী

কারিগরী পুরস্কার

[সম্পাদনা]
পুরস্কারের বিভাগ বিজয়ী চলচ্চিত্র
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকারআমজাদ হোসেনভাত দে
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতাআমজাদ হোসেনভাত দে
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক (সাদা কালো)বেবী ইসলামনয়নের আলো
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক (রঙ্গিন)মাহফুজুর রহমান খানঅভিযান
শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশকঅঞ্জন ভৌমিকভাত দে
শ্রেষ্ঠ সম্পাদকমুজিবুর রহমান দুলুভাত দে
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহকএম. এ. বাসেতভাত দে

একাধিক পুরস্কার

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. রাশেদ শাওন। "চার দশকে আমাদের সেরা চলচ্চিত্রগুলো"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৮ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১২
  2. "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তদের নামের তালিকা (১৯৭৫-২০১২)"fdc.gov.bdবাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮
  3. আফ্রিদী, মিলান (১৬ এপ্রিল ২০১৫)। "আমজাদ হোসেন একাল আর সেকাল"দৈনিক যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৭
  4. "নায়করাজের ৫০ বছর"বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২৮ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৭
  5. "সংগীতের অহংকার সাবিনা ইয়াসমিন"দৈনিক আজাদী। ২৪ জানুয়ারি ২০১৩। ৮ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৫