খাগড়াছড়ি জেলা স্টেডিয়াম
খাগড়াছড়ি স্টেডিয়াম | |
![]() | |
| পূর্ণ নাম | খাগড়াছড়ি জেলা স্টেডিয়াম |
|---|---|
| অবস্থান | সিঙ্গিনালা, খাগড়াছড়ি , বাংলাদেশ |
| স্থানাঙ্ক | ২৩°০৭′২৫.৪০″ উত্তর ৯১°৫৮′০৩.৪০″ পূর্ব / ২৩.১২৩৭২২২° উত্তর ৯১.৯৬৭৬১১১° পূর্ব |
| মালিক | জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ |
| পরিচালক | খাগড়াছড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থা |
| ক্ষেত্রফল | ১১ একর |
| উপরিভাগ | ঘাস |
| নির্মাণ | |
| কপর্দকহীন মাঠ | ১৯৯৬ |
| নির্মিত | ১৯৯৭ |
| চালু | ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৮ |
| ভাড়াটে | |
| খাগড়াছড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড | |
খাগড়াছড়ি জেলা স্টেডিয়াম[১] ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত,[২] বাংলাদেশের একটি জেলা পর্যায়ের স্টেডিয়াম।[৩] স্থাপনাটি খাগড়াছড়ি পৌরসভার সিঙ্গিনালা এলাকায় অবস্থিত। বাংলাদেশের বেশীরভাগ স্টেডিয়ামের মত এই ক্রীড়া স্থাপনাটিও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধিভূক্ত এবং স্থানীয় খাগড়াছড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার তত্ত্বাবধায়নে রয়েছে। স্টেডিয়ামটি পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি সংক্রান্ত স্মৃতি বিজরিত। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা, বয়স-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক ক্রীড়া, প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম ও স্থানীয় লিগের স্বাগতিক মাঠ হিসেবে ব্যবহার হয়। এছাড়া এটি কনসার্ট এবং বাংলাদেশের জাতীয় দিবসসমূহে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচীর প্রধান আয়োজনস্থল।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ খাগড়াছড়িতে একটি জেলা পর্যায়ের স্টেডিয়াম বানানোর জন্য ১৯৯৪ সালে প্রাথমিক পরিকল্পনা করে। ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত প্রাক-নির্মাণে পরিষদ ২৫.৬২ লাখ টাকা খরচ করে।[৪] ১৯৯৬ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড খাগড়াছড়ি পৌরসভার সিঙ্গিনালায় স্টেডিয়াম নির্মাণ শুরু করে।[৫] বোর্ডের তদারকিতে ১৯৯৭ সালে নির্মাণকাজ শেষ হয়। ১৯৯৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।[২] দুই দিন পর, ১০ ফেব্রুয়ারি, এখানে বাংলাদেশ সরকারের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির শর্তানুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সামরিক শাখা শান্তি বাহিনীর ৭৩৯ জন সদস্য অস্ত্র সমর্পন করেছিলেন।[৬]
অবকাঠামো
[সম্পাদনা]খাগড়াছড়ি জেলা স্টেডিয়াম ১১ একর ভূমির উপর নির্মিত ক্রীড়া স্থাপনা। উত্তর ও দক্ষিণ গ্যালারি অর্ধ-বৃত্তাকার, পূর্ব ও পশ্চিম গ্যালারি সমান্তরাল। ফুটবল আয়োজনের জন্য বেশি উপযোগি স্থাপনাটিতে গ্যালারি ছাড়াও ক্রীড়া সংস্থা কার্যালয়ের ভবন অন্তর্গত।[২] জেলার সরকারি জিমনেসিয়াম (ব্যায়ামাগার) স্টেডিয়ামের চৌহদ্দির ভিতরে দক্ষিণ-পশ্চিম কোনে অবস্থিত।
আয়োজন
[সম্পাদনা]এটি খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন ও ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে নিয়মিত অনুষ্ঠিত স্থানীয় ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল ও হ্যান্ডবল লিগের স্বাগতিক মাঠ।[৭][৮]
এখানে ফুটবলের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা হয়। এগুলির মধ্যে স্থানীয় জেলা প্রশাসনের নিয়মিত ফুটবল প্রতিযোগিতা- জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ, জেলা পরিষদ গোল্ডকাপ[৭], শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক প্রতিযোগিতা,[৯] পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন দিবস ভিত্তিক ও সেনা রিজিয়ন ফুটবল প্রতিযোগিতা নিয়মিত হয়।[১০] বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এখানে ২০১৯ সালের জুন মাসে অনূর্ধ্ব-১৪[১১] ও অনূর্ধ্ব-১৬[১২][১৩] জাতীয় মহিলা ফুটবল প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্ব ও প্রতিভা অন্বেষণ সম্পন্ন করে।[১৪]
ক্রিকেট আয়োজনের মধ্যে লিগ ছাড়াও ইয়াং টাইগার্স স্কুল ক্রিকেট প্রতিযোগিতা এখানকার উল্লেখযোগ্য আয়োজন।[১৫] চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটি স্টেডিয়ামের পাশাপাশি এই ভেন্যুতে ঐতিহ্যবাহী বলি খেলা হয়েছে।[১৬][১৭] স্টেডিয়ামটি জেলা পর্যায়ের ২০২৩ সালের দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমসের ফুটবল, কাবাডি ও মল্লক্রীড়ার বিভিন্ন আয়োজনের একক ভেন্যু ছিল।[১৮]
ক্রীড়ানুষ্ঠানের বাইরে এটি বাংলাদেশের জাতীয় দিবসসমূহ তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান যথা - জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, ও স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের শারীরিক কসরৎ প্রদর্শনের প্রধান স্থান।[১৯][২০] এটি ২০১৭ সালে শান্তিচুক্তির একুশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত কনসার্টের ভেন্যু ছিল।[২১][২২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন ক্রীড়া স্থাপনা" (পিডিএফ)। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)। ৭ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০২২।
- 1 2 3 দত্ত, অপু (২২ জুন ২০২২)। "ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামটির জরাজীর্ণ অবস্থা"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০২৫।
- ↑ "অন্যান্য সকল স্টেডিয়াম"। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "District Stadium: Chittagong Division"। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (ইংরেজি ভাষায়)। ১৬ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ "খাগড়াছড়ি স্টেডিয়াম যেন কাশবন !"। পার্বত্য চট্টগ্রাম ডট কম। ১৩ অক্টোবর ২০১৩। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৯।
- ↑ ইসমাইল, খন্দকার (১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২)। "হঠাৎ এসে বললো"। সাম্প্রতিক দেশকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০২৫।
- 1 2 "খেলাধুলা ও বিনোদন"। খাগড়াছড়ি জেলা আনুষ্ঠানিক তথ্য বাতায়ন। ১৪ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০২৫।
- ↑ "খাগড়াছড়িতে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগ উদ্বোধন"। দৈনিক তৃতীয় মাত্রা। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০২৫।
- ↑ আলম, নুরুল (২৪ জুন ২০২৪)। "খাগড়াছড়িতে বঙ্গবন্ধু আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন"। সকালের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০২৫।
- ↑ "খাগড়াছড়িতে জেলা রিজিয়ন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২৩ নভেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০২৫।
- ↑ "জেএফএ কাপ ফুটবলে চূড়ান্ত পর্ব আজ থেকে"। সময়ের খবর। ২৩ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "UNICEF U-16 football from today"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ জুন ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "U-16 Women's Football begins Thursday"। ঢাকা ট্রিবিউন। ২০ জুন ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "U-16 Girls's Soccer starts Thursday"। SPORT NEWS (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। ১৯ জুন ২০১৯। ২৩ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "মাঠে গড়ালো খাগড়াছড়ি জাতীয় স্কুল ক্রিকেট প্রতিযোগিতা!"। ১৭ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "খাগড়াছড়িতে ঐতিহ্যবাহী বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন তিনজন"। প্রতিদিনের বাংলাদেশ। ১৮ মে ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০২৫।
- ↑ "খাগড়াছড়িতে বলিখেলায় চ্যাম্পিয়ন তিনজন"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ১৭ মে ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০২৫।
- ↑ "খাগড়াছড়িতে শেষ হলো শেখ কামাল ২য় বাংলাদেশ যুব গেমস"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ৯ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০২৫।
- ↑ "বিজয় আনন্দ জেলায় জেলায়"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০২৫।
- ↑ "বিজয়ের আনন্দে প্রাণের উৎসবে"। প্রথম আলো। ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০২৫।
- ↑ মুহাম্মদ, আবু তাহের (২ ডিসেম্বর ২০১৭)। "হুমকিও আটকাতে পারেনি 'সম্প্রীতি কনসার্ট'"। এনটিভি। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "খাগড়াছড়িতে শান্তি চুক্তির ২১ বছর পূর্তি উপলক্ষে সম্প্রীতি কনসার্ট"। আলোকিত রাঙ্গামাটি। ১৫ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৯।
