ডাঃ আ.আ.ম. মেসবাহুল হক বাচ্চু স্টেডিয়াম
চাঁপাই নবাবগঞ্জ নতুন স্টেডিয়াম চাঁপাই নবাবগঞ্জ আধুনিক স্টেডিয়াম | |
বাংলাদেশ মানচিত্রে স্টেডিয়ামের অবস্থান | |
| পূর্ণ নাম | ডাঃ আ.আ.ম. মেসবাহুল হক বাচ্চু স্টেডিয়াম |
|---|---|
| অবস্থান | চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বাংলাদেশ |
| স্থানাঙ্ক | ২৪°৩৫′৩৯.৫″ উত্তর ৮৮°১৫′২৫.০″ পূর্ব / ২৪.৫৯৪৩০৬° উত্তর ৮৮.২৫৬৯৪৪° পূর্ব |
| মালিক | জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ |
| পরিচালক | চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা |
| আয়তন | ডিম্বাকার |
| ক্ষেত্রফল | আট একর |
| উপরিভাগ | প্রাকৃতিক ঘাস |
| স্কোরবোর্ড | নেই |
| নির্মাণ | |
| কপর্দকহীন মাঠ | ২০০৬ |
| নির্মিত | ২০১০ |
| চালু | ২৩ এপ্রিল, ২০১১ |
| নির্মাণ ব্যয় | ৳ ২ কোটি (ভূমি অধিগ্রহণ) ৳ ১০ কোটি (নির্মাণ) |
| সাধারণ ঠিকাদার | টি এন্টারপ্রাইজ ও আবু হোসেন তোজাম্মেল হক যৌথ উদ্যোগ |
| ভাড়াটে | |
| চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফুটবল এসোসিয়েশন | |
ডাঃ আ.আ.ম. মেসবাহুল হক বাচ্চু স্টেডিয়াম, ২০১০ সালে নির্মিত, ২০১১ সালে উদ্বোধনকৃত বাংলাদেশের একটি জেলা পর্যায়ের স্টেডিয়াম।[১][২] স্টেডিয়ামটি চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলায় চাঁপাই নবাবগঞ্জ পৌরসভার বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর সেতু সংলগ্ন[৩] পিটিআই ভিআইপি সড়কে রেহাইচর মৌজায় অবস্থিত।[১][২] এটা জেলার তৃতীয় স্টেডিয়াম। প্রথম স্টেডিয়ামটি চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা কালেক্টরিয়েট আমবাগানের পশ্চিমে ভি আই পি রোডে অবস্থিত, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা স্টেডিয়াম নামে পরিচিত। জেলার দ্বিতীয় স্টেডিয়ামটি শিবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। স্টেডিয়ামটি মূলত ফুটবল[৩], ক্রিকেট, ভলিবল ও কনসার্ট[৪][৫] আয়োজনের জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। বাংলাদেশের অন্যান্য সকল ক্রীড়া ভেন্যুর মতই এই স্টেডিয়ামটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধিভুক্ত ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার তত্ত্বাবধানে রয়েছে।[১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৬০ সালে জেলার কালেক্টরেট আমবাগানসংলগ্ন স্থানে প্রথম চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছিল। আয়তনে ছোট হওয়ায় ঐ স্টেডিয়ামে বিভিন্ন খেলাধুলা ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে অসুবিধার হচ্ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জেলায় আরেকটি আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০০৬ সালের জুন মাসে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ শহরের রেহাইচর মৌজায় নতুন স্টেডিয়াম ও সাঁতারপুল নির্মাণের জন্য আট একর জমি ২ কোটি টাকা মূল্যে অধিগ্রহণ করে। সেপ্টেম্বর, ২০০৬ হতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টি এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড আবু হোসেন তোজাম্মেল হক জয়েন্ট ভেঞ্চার নির্মাণ কাজ শুরু করে।[৬] স্টেডিয়াম ও সাঁতারপুল নির্মাণে ১০ কোটি টাকা ব্যয় হয়। ২০১০ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাছে স্টেডিয়ামটি বুঝিয়ে দেয়।[১] ২৩ এপ্রিল, ২০১১ সালে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জেতা সাবেক সংসদ সদস্য ও ক্রীড়া সংগঠক ড. আ আ ম মেজবাহুল হকের নামে নামকরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে স্টেডিয়ামটি উদ্বোধন করা হয়।[১][২]
কাঠামো ও বৈশিষ্ট্য
[সম্পাদনা]স্টেডিয়ামটি ডিম্বাকার। মাঠ প্রাকৃতিক ঘাসে আবৃত। স্টেডিয়ামের উত্তরপূর্ব কোনে প্যাভিলিয়ন রয়েছে। দক্ষিণ পশ্চিম অংশে এখনো গ্যালারি নেই। গ্যালারিতে প্রবেশের জন্য আটটি প্রবেশমুখ রয়েছে। মাঠ ক্রিকেট খেলার উপযোগী। স্টেডিয়ামের প্রবেশদ্বারের পাশে জেলার সাঁতারপুল অবস্থিত।
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- 1 2 3 4 5 "চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্টেডিয়াম চালু হয়নি চার বছর"। www.jugantor.com। ২৪ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- 1 2 3 "সঠিক কক্ষেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ"। কালের কণ্ঠ। ২১ নভেম্বর ২০১৪। ২৪ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- 1 2 "বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে ফাইনালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২৪ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "চাঁপাইনবাবগঞ্জে উন্নয়ন কনসার্টে গান গেয়ে দর্শক শ্রোতাদের মাতালেন মমতাজ"। দৈনিক গৌড় বাংলা। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "চাঁপাইনবাবগঞ্জে আসছে 'উন্নয়ন কনসার্ট'"। ৩০ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "এভাবেই পড়ে থাকবে?"। www.prothom-alo.com। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার খেলাধুলা ও বিনোদন ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে