বিষয়বস্তুতে চলুন

জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ ঢাকা
লালবাগ কওমি মাদ্রাসা
ধরনকওমী ভিত্তিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
স্থাপিত১৯৫০ (1950) (১৩৭০ হিজরি)[]
আচার্যমজলিশে শূরা
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ
৫২
শিক্ষার্থী১২০০ (মোট)[]
অবস্থান
লালবাগ, ঢাকা
,
বাংলাদেশ
শিক্ষাঙ্গনশহুরে
ভাষাবাংলা, উর্দু , আরবি
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট
মানচিত্র

জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ (আরবি: الجامعة القرآنية العربية، لالباغ ) কওমী মাদ্রাসার উচ্চতর ডিগ্রিভিত্তিক ইসলামী পড়াশোনার জন্যে ঢাকায় অবস্থিত একটি কওমী মাদ্রাসা। [][] এতে কিন্ডারগার্টেন থেকে স্নাতকোত্তর স্তর পর্যন্ত শিক্ষার ৭টি বিভাগ রয়েছে।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]
খতমে বুখারী ২০২৩

এই ইনস্টিটিউট জাফর আহমদ উসমানী, মোজাদ্দেদে আজম শামসুল হক ফরিদপুরী, নেতৃত্বে ইসলামী পণ্ডিত ও ওলামাদের একটি দল এর প্রতিষ্ঠাতা। [] মুফতি দীন মুহামমদ খান ও হাফেজ্জী হুজুর শাওয়াল ১৩৭০ হিজরীতে লালবাগ শাহী মসজিদ নামের সাথে মিলিয়ে মসজিদটির পাশে আশেপাশে এ মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার প্রথম পরিকল্পনা করেছিলেন। হাফেজি হুজুরই প্রথম ব্যক্তি যিনি অনেক সমস্যা ও সমস্যার মাঝে কুরআন (হিফজুল কুরআন) মুখস্থ করার ক্লাস শুরু করেছিলেন। তবে সেই ব্যক্তিত্বদের চেষ্টার কারণে জামিয়াহ এখন দেশে-বিদেশে সুপরিচিত হয়ে উঠেছে। জামিয়াহ লালবাগ এ অঞ্চলের প্রায় ৭০০ টি মাদ্রাসার দেখাশোনা করে যাতে তারা তাদের পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের উন্নতি করতে পারে। []

বিভাগ

[সম্পাদনা]

জামিয়ায় নিম্নোক্ত শিক্ষা বিভাগ রয়েছে [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]  :

  • কিন্ডারগার্টেন বিভাগ: এখানে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক ইসলামিক জ্ঞানের পাশাপাশি ভাষার প্রাথমিক জ্ঞান শেখানো হয়।
  • হিফজুল-কুরআন (কোরআন মুখস্থ): শিক্ষার্থীদের কীভাবে তাজবীদ (উচ্চারণ) দিয়ে কোরআন মুখস্থ করতে শেখানো হয়।
  • প্রাথমিক বিভাগ: এই কোর্সটি দীর্ঘ চার বছর দীর্ঘ।
  • মাধ্যমিক বিভাগ: এই কোর্সটি দীর্ঘ দুই বছর দীর্ঘ।
  • উচ্চমাধ্যমিক বিভাগ: এটি একটি দুই বছরের কোর্স।
  • স্নাতক বিভাগ: স্নাতক কোর্স দীর্ঘ দুই বছর দীর্ঘ।
  • স্নাতকোত্তর বিভাগ: ইসলামী আইনশাসন বিভাগের অধীনে দ্বি-বার্ষিক ফিকহ কোর্স, হাদীস বিভাগের অধীনে দ্বি-বার্ষিক হাদীস কোর্স, কুরআন গবেষণা বিভাগের অধীনে দুই বছরের তফসির কোর্স, দুই বছরের আদাব (আরবি ভাষা) কোর্স ভাষা বিভাগ।

জামেয়াহ ইলম-ই-ওয়াহী (divineশিক ইসলামী জ্ঞান) এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উর্দু এবং ফারসি পড়ানো হয়[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

গ্রন্থাগার ও প্রকাশনা

[সম্পাদনা]
  • বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে ইসলামী ইতিহাসের মূল্যবান বই, ইসলামিক দর্শন, বিভিন্ন স্তরের পাঠ্য পুস্তক, জার্নাল, ম্যাগাজিন ইত্যাদির আরবি, উর্দু, ফারসি, বাংলা ও ইংরেজি ভাষাগুলির প্রচুর স্টক রয়েছে। এই লাইব্রেরিতে বইগুলির আনুমানিক সংখ্যা প্রায় ২২,০০।
  • ফতোয়া-ই-জামিয়া: মাদ্রাসায় সমাজের বিষয়গুলির জন্য দায়িত্ব রয়েছে। এটি ফতোয়া-এ-জামিয়াহ নামে একটি বই হিসাবে প্রকাশিত সমস্ত বিষয়গুলির জন্য সঠিক পরামর্শ এবং আইনি মতামত দেয়। বর্তমানে ১২ খণ্ড প্রকাশিত হয়েছে।

সু্যোগ - সুবিধা

[সম্পাদনা]

সমস্ত শিক্ষার্থী মাদ্রাসার বাসিন্দা। জামিয়া সকল শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে শিক্ষা দেয়। এটি তাদের পাঠ্য-পুস্তককে ধার দেয়। পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের খাবার বিনামূল্যে দেয়া হয় পুরস্কার হিসেবে । তদুপরি, জামিয়াহ অনাথ এবং দরিদ্র ও দুস্থ শিক্ষার্থীদের খাদ্য ও আবাসন সরবরাহ করে।

উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১০ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৯
  2. "Number of students of the Jamia"Jamia Lalbagh। ২২ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত।
  3. "Creating a Practicing Muslim: A Study of Qawmi Madrasah in Bangladesh (PDF Download Available)"ResearchGate (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৭
  4. Singh, N.K. (২০০৩)। Encyclopaedia Of Bangladesh (Set Of 30 Vols.)। Anmol Publications Pvt. Limited। পৃ. ২৫৯। আইএসবিএন ৯৭৮৮১২৬১১৩৯০৩। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১৫
  5. "লালবাগ মাদরাসা: দেশের দ্বীনি শিক্ষার এক অনন্য প্রতিষ্ঠান"The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০২১
  6. মোঃ রুহুল আমীন (২০১২)। "ফরিদপুরী, মওলানা শামসুল হক"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর (সম্পাদকগণ)। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন ৯৮৪৩২০৫৯০১ওসিএলসি 883871743ওএল 30677644M
  7. "Articles on Education of Bangladesh"। bdeduarticle.com। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১৫

গ্রন্থপঞ্জি

[সম্পাদনা]