জামিয়া লুৎফিয়া আনওয়ারুল উলুম হামিদনগর বরুণা
বরুনা মাদ্রাসা | |
| ধরন | ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় |
|---|---|
| স্থাপিত | ১৯৪১ |
| প্রতিষ্ঠাতা | লুৎফুর রহমান বর্ণভী |
| উপাচার্য | শেখ খলিলুর রহমান হামিদি[১] |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | ৫৫ (মোট) |
| শিক্ষার্থী | ১৫০০[২] |
| অবস্থান | |
| শিক্ষাঙ্গন | গ্রাম্য |
| ওয়েবসাইট | http://www.borunamadrasha.com/ |
| দেওবন্দি আন্দোলন |
|---|
| সিরিজের অংশ |
জামেয়া লুথফিয়া আনোয়ারুল উলুম হামিদনগর, বরুনা মাদ্রাসা নামেও পরিচিত, বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলের একটি সবচেয়ে পুরাতন এবং প্রসিদ্ধ কওমি মাদ্রাসা।[৪] ১৯৪১ সালে, দারুল উলুম দেওবন্দ শায়খুল ইসলাম স্যাইয়াদ হুসাইন আহমদ মাদানী এর একজন শিষ্য এবং খলীফা লুৎফুর রহমান বর্ণভী "জামেয়া লুথফিয়া আনোয়ারুল উলুম হামিদনগর" মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় ও পার্থিব বিষয়ে শিক্ষা নিতে ১৫০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত এবং ৫৫জন শিক্ষক কর্মরত আছেন। মাদ্রাসাটি দিনদিন এগিয়ে যাচ্ছে।[২]
বিভাগসমূহ এবং স্তরবিন্যাস
[সম্পাদনা]এই মাদ্রাসাটি প্রাথমিক শ্রেণী থেকে শুরু করে উচ্চতর ডিগ্রী তাকমিল ফীল হাদিস (টাইটেল) পর্যন্ত ইসলামি শিক্ষা প্রদান করে থাকে। নিচের বিভাগসমূহে উচ্চতর ডিগ্রী প্রদান করা হয়:
এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ।
প্রকাশনা
[সম্পাদনা]
- মাসিক হেফাজতে ইসলাম
বাংলায় একটি মাসিক ম্যাগাজিন যা "জামেয়া লুথফিয়া আনোয়ারুল উলুম হামিদনগর" মাদ্রাসা প্রকাশ করে থাকে। হুসাইন আহমদ মাদানির শিষ্য লুৎফুর রহমান বণর্ভী ১৯৭৩ সালে এই পত্রিকাটি প্রতিষ্ঠা করেন। পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন আবদুর রহব ইসামতি, পরবর্তীতে আবদুল গফুর মোমেনশাহী। প্রথমে পত্রিকাটি হাতে লিখে প্রকাশ করা হত। এভাবে কিছুকাল চলার পর পাঠক ও গ্রাহকদের আগ্রহে হুসাইন আহমদ মাদানির নামানুসারে ‘মাদানি প্রেস’ নামে একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ প্রেস থেকে পত্রিকাটি দীর্ঘদিন নিয়মিত চলার পর দিন দিন পাঠক চাহিদা বৃদ্ধি পেতে থাকে। অতঃপর পত্রিকাটি ১৯৮৩ সালের জুন মাস থেকে আবদুস সালাম চৌধুরী ও পরবর্তীকালে আবদাল হোসেন খানের সম্পাদনায় সাপ্তাহিক পত্রিকায় রূপান্তরিত হয়। এভাবে দীর্ঘদিন চলার পর মাঝখানে অনিয়মিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যের ভক্তদের বিশেষ সহযোগিতায় মার্চ ২০০৪ সাল থেকে মাসিক হিসেবে নিয়মিতভাবে জামিয়া লুৎফিয়া আনওয়ারুল উলুম হামিদনগর বরুণা থেকে প্রকাশিত হচ্ছে।[৫][৬][৭][৮][৯]
উল্লেখ যোগ্য শিক্ষার্থী
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৯ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭।
- 1 2 "Archived copy" (পিডিএফ)। ২৪ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০১১।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: শিরোনাম হিসাবে আর্কাইভকৃত অনুলিপি (লিঙ্ক) - ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ২৬ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ নূর, আহমেদ (৫ মে ২০২১)। "হেফাজত নামটাও ছিনতাই করা"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২১।
- ↑ গোলাম ছরোয়ার, মুহা. (নভেম্বর ২০১৩)। "বাংলা ভাষায় ফিকহ চর্চা (১৯৪৭-২০০৬): স্বরূপ ও বৈশিষ্ঠ্য বিচার (ফিকহ চর্চায় পত্র-পত্রিকা)" (পিডিএফ)। পিএইচডি অভিসন্দর্ভ, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ৩৬১। ১৫ মে ২০২২ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০২১।
- ↑ নজরুল ইসলাম, শাহ (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩)। "আলোর মিনার শায়খে বর্ণভী (রহ.)"। দৈনিক জনতা।
- ↑ খালিদ হোসেন, আ ফ ম (২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০)। "ভাষা চর্চায় এগিয়ে যাচ্ছে কওমি মাদ্রাসা"। দৈনিক সময়ের আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২১।
- ↑ "সারাদেশের নিবন্ধিত পত্র-পত্রিকার পরিসংখ্যান"। চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর। ২০ জানুয়ারি ২০২১। পৃ. ৬৯। ৩১ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০২১।