গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রাতিষ্ঠানিক লোগো | |
প্রাক্তন নাম | বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ (২০১১–২০২৫) |
|---|---|
| নীতিবাক্য | জানুন, চিন্তা করুন, পরিবর্তন সাধন করুন |
| ধরন | সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় |
| স্থাপিত | ৮ জুলাই ২০০১ |
| প্রতিষ্ঠাতা | শেখ হাসিনা |
| ইআইআইএন | ১৩৬৬১৯ |
| আচার্য | রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন |
| উপাচার্য | অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ৩০০ |
| শিক্ষার্থী | ১২০০০ জন (প্রায়)[১] |
| অবস্থান | , , ৮১০৫ (বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পোস্ট কোড) , ২২°৫৭′৫৮″ উত্তর ৮৯°৪৯′০২″ পূর্ব / ২২.৯৬৬১° উত্তর ৮৯.৮১৭১° পূর্ব |
| শিক্ষাঙ্গন | ৫৫ একর (২২ হেক্টর) |
| ভাষা | বাংলা, ইংরেজি |
| সংক্ষিপ্ত নাম | গোবিপ্রবি |
| অধিভুক্তি | বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল |
| ওয়েবসাইট | gstu |
![]() | |
| পূর্বে গোপালগঞ্জ সদরের পোস্ট কোড-৮১০০ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবহার করলেও, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পোস্ট কোড- ৮১০৫ ব্যবহার করে | |
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোবিপ্রবি) বাংলাদেশের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। পূর্বে এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত ছিলো।[২] এটি বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। কারিগরি শিক্ষা প্রসারের জন্য ২০০১ সালের ৮ জুলাই বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন' পাস হয়। বিভিন্ন বাধার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। ২০১০ সালের ২০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর আইন বাস্তবায়নের জন্য সরকার এসআরও জারি করে। অবশেষে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়।[৩]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]
বিশ্ববিদ্যালয়টির তৈরীর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। ১২টি বৃহত্তর জেলায় ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা তৎকালীন সরকার গ্রহণ করে। প্রথম পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ৬টি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়ন করা হয়। এই ৬টির মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পটি ছিল একটি। ১৯৯৯ সালের ১৫ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক্স বিভাগের প্রফেসর ড. এম. খায়রুল আলম খানকে প্রকল্প পরিচালক নিযুক্ত করে গোপালগঞ্জে পাঠানো হয়। প্রকল্প পরিচালক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্বাচন, জমি অধিগ্রহণ (প্রায় ৫৫ একর) এবং জমি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করেন। ইতোমধ্যে ২০০১ সালের ৮ জুলাই মহান জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন প্রণীত হয়। ২০০১ সালের ১৩ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ১৪ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে প্রফেসর ড. এম. খায়রুল আলম খানকে নিয়োগের সুপারিশ করেন এবং রাষ্ট্রপতি ১৯ জুলাই ২০০১ উক্ত নিয়োগ অনুমোদন করেন।
২০০২ সালের ১৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্পটি সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. খায়রুল আলম খানের নিয়োগ বাতিল করে এবং তাকে তার পূর্বতন প্রতিষ্ঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়। ২০০৯ সালের নভেম্বরে স্থগিত প্রকল্পটি পুনর্জীবিত হয় এবং ২০১০ সালের ৫ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রফেসর ড. এম. খায়রুল আলম খানকে আবারও প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করে এবং ২০ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ আইন-২০০১ বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় এসআরও জারী করে।
পরবর্তীকালে ১৪ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান প্রফেসর ড. এম. খায়রুল আলম খানকে পুনরায় ৪ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন এবং ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মেয়াদ শেষ করেন।
২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈবপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন উপাচার্য হিসেবে ৪ বছরের জন্য নিয়োগ লাভ করেন। তিনি ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় মেয়াদেও নিয়োগ পান। কিন্তু ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারী, ক্ষমতার অপব্যবহার সহ নানাবিধ অভিযোগে ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের মুখে ঐ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি পদত্যাগ করেন। এরপর উপাচার্যের চলতি দায়িত্ব পান ড. মো. শাহজাহান।[৪] তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির ইলেকট্রনিকস ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগের সভাপতি ছিলেন। ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর পূর্ণমেয়াদী উপাচার্যের দায়িত্ব পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের (অবসরপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব। ৬ সেপ্টেম্বর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে তার কর্মস্থলে যোগদান করেন। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ২০২৪ সালের ২০ আগস্ট তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।[৫]২০২৪ সালের ২৪ অক্টোবর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগের ড. হোসেন উদ্দিন শেখর ৪ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।[৬][৭] একই দিন উপ-উপাচার্য হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসান ৪ বছরের জন্য নিয়োগ লাভ করেন।[৮]
২০২৫ সালের ১৬ জানুয়ারি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ থেকে পরিবর্তন করে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করে।[৯]
উপাচার্যগণ
[সম্পাদনা]নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গ গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন:
| ক্রমিক নং | নাম | মেয়াদ |
|---|---|---|
| ১ | এম. খায়রুল আলম খান | ২০০১ – ২০০২, ২০১০ – ২০১৪ |
| ২ | খোন্দকার নাসিরউদ্দিন | ২০১৫ – ২০১৯ |
| ৩ | এ. কিউ. এম. মাহবুব | ২০২০ – ২০২৪ |
| ৪ | হোসেন উদ্দিন শেখর | ২০২৪ – বর্তমান[৬][৭] |
শিক্ষা পদ্ধতি
[সম্পাদনা]এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্স ক্রেডিট সিস্টেম পদ্ধতি চালু রয়েছে। সেমিস্টার পদ্ধতির এ শিক্ষা ব্যবস্থায় কোর্স যথাসময়ে শেষ হয় বিধায় কোনো সেশনজট থাকে না৷ আটটি সেমিস্টারে শিক্ষাপর্ব শেষ হয় ৷ হাতে-কলমে শিক্ষা দানের জন্য এখানে রয়েছে গবেষণাগার বা ল্যাবরেটরি ৷ সম্পূর্ণ ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা ও পরীক্ষা নেওয়া হয়, তবে ক্লাস লেকচারের ক্ষেত্রে ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষা ব্যবহার করা হয়।
ভর্তি কার্যক্রম
[সম্পাদনা]গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়া সমন্বিত জিএসটি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। GST পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে তৈরি করা জাতীয় মেধাতালিকা থেকে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিভাগে ভর্তির জন্য আবেদন করার সুযোগ পান। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদে ভর্তির জন্য GST পরীক্ষার ভিন্ন ভিন্ন ইউনিটের ফলাফল প্রয়োজন হয়; যেমন, প্রকৌশল, স্থাপত্য, বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান এবং কৃষি অনুষদে ভর্তির জন্য 'A' ইউনিট, কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ভর্তির জন্য 'B' ইউনিট এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ভর্তির জন্য 'C' ইউনিটের ফলাফল ব্যবহৃত হয়। তবে, স্থাপত্য বিভাগে ভর্তির জন্য GST পরীক্ষার পাশাপাশি একটি পৃথক অঙ্কন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয় এবং কিছু বিভাগের ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে নির্দিষ্ট বিষয় পঠিত থাকার শর্ত রয়েছে।
ভর্তি প্রক্রিয়ায় সরকারি নিয়ম অনুসারে কোটা ব্যবস্থা সংরক্ষিত থাকে। ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মোট আসনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য ৫%, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটা ১%, প্রতিবন্ধী কোটা ১% এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য পোষ্য (ওয়ার্ড) কোটা ১% সংরক্ষিত রয়েছে। এর পাশাপাশি নির্ধারিত আসনে বিকেএসপি কোটাও প্রযোজ্য।
একাডেমিক কার্যক্রম
[সম্পাদনা]প্রথম পর্যায়ে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে চারটি অনুষদ; প্রকৌশল, বিজ্ঞান, ব্যবসা অধ্যয়ন এবং মানবিক অনুষদে পাঁচটি বিভাগ যথাক্রমে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ও ইলেক্ট্রনিক্স, গণিত, ব্যবস্থাপনা এবং ইংরেজি বিভাগ খোলা হয় এবং প্রতি বিভাগে ৩২ জন করে মোট ১৬০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে আরও নতুন ২টি অনুষদ (জীব বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান) ও ৬টি বিভাগ চালু হয়। বিভাগগুলো হলো- ফার্মেসি, তড়িৎ এবং ইলেকট্রনিক প্রকৌশল, ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল, পরিসংখ্যান, অর্থনীতি ও সমাজ বিজ্ঞান। ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয় এবং ১১ বিভাগে মোট ৫২০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে আরও ৩টি বিভাগ ও একটি গবেষণা ইনস্টিটিউট চালু হয়েছে। বিভাগগুলো হলো বাংলা, লোক প্রশাসন ও অ্যাকাউন্টিং এবং তথ্য ব্যবস্থা। গবেষণা ইনস্টিটিউটটির নাম হলো "বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ স্টাডিজ ইনস্টিটিউট"।
২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ১৪টি বিভাগে ৭৪৭ জন এবং উক্ত ইনস্টিটিউটে পিএইচডি'র ২জন ও এম ফিল কোর্সে ৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ প্রদান করা হয়।[১০] ২০১৫ সালে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, মার্কেটিং, আইন বিভাগ চালু করা হয়। ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ টি নতুন বিভাগ চালু হয়। বিভাগগুলো হলো- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফিশারিজ ও মেরিন বায়োসাইন্স, এনিমেল হাসবেন্ডারি অ্যান্ড ভেটেরনারি সায়েন্স, সাইকোলজি, ফিনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং, টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাস বিভাগ চালু হয়। [১১] ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই, শেখ হাসিনা আইসিটি ইনস্টিটিউটসহ নতুন ৩ টি বিভাগ চালু করা হয়। বিভাগগুলো হলো- আর্কিটেকচার, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলোজি ও উদ্ভিদবিজ্ঞান।[১২] ২০২৫ সালের ২৩ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ৩৬তম একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশে এনিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন নামে একটি স্বতন্ত্র অনুষদ খোলার বিষয়টি একই বছর ৩ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত ৪১তম রিজেন্ট বোর্ডের ৪১/২ সিদ্ধান্তে অনুমোদিত হয়।[১৩]
অনুষদ ও বিভাগ
[সম্পাদনা]| ক্রমিক নং | অনুষদ | বিভাগের নাম | প্রতিষ্ঠার শিক্ষাবর্ষ/সাল |
|---|---|---|---|
| ১ | প্রকৌশল অনুষদ | কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) | ২০১১-২০১২ |
| ২ | ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) | ২০১২-২০১৩ | |
| ৩ | অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (ACCE) | ২০১২-২০১৩ | |
| ৪ | সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (CE) | ২০১৭-২০১৮ | |
| ৫ | ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং (FE) | ২০১৮-২০১৯ | |
| ৬ | স্থাপত্য অনুষদ | আর্কিটেকচার (ARC) | ২০১৮-২০১৯ |
| ৭ | বিজ্ঞান অনুষদ | গণিত (MAT) | ২০১১-২০১২ |
| ৮ | পদার্থবিজ্ঞান (PHY) | ২০১১-২০১২ | |
| ৯ | পরিসংখ্যান (STA) | ২০১২-২০১৩ | |
| ১০ | রসায়ন (CHE) | ২০১৬-২০১৭ | |
| ১১ | পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (ESD) | ২০১৬-২০১৭ | |
| ১২ | জীববিজ্ঞান অনুষদ | ফার্মেসি (PHR) | ২০১২-২০১৩ |
| ১৩ | বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি (BMB) | ২০১৫-২০১৬ | |
| ১৪ | বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (BGE) | ২০১৫-২০১৬ | |
| ১৫ | মনোবিজ্ঞান (PSY) | ২০১৭-২০১৮ | |
| ১৬ | উদ্ভিদ বিজ্ঞান (BOT) | ২০১৮-২০১৯ | |
| ১৭ | কলা অনুষদ | ইংরেজি (ENG) | ২০১১-২০১২ |
| ১৮ | বাংলা (BAN) | ২০১৩-২০১৪ | |
| ১৯ | ইতিহাস (HIS) | ২০১৭-২০১৮ | |
| ২০ | আইন অনুষদ | আইন (LAW) | ২০১৫-২০১৬ |
| ২১ | সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ | অর্থনীতি (ECO) | ২০১২-২০১৩ |
| ২২ | সমাজবিজ্ঞান (SOC) | ২০১২-২০১৩ | |
| ২৩ | লোক প্রশাসন (PAD) | ২০১৩-২০১৪ | |
| ২৪ | আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (IR) | ২০১৫-২০১৬ | |
| ২৫ | রাষ্ট্রবিজ্ঞান (PSC) | ২০১৭-২০১৮ | |
| ২৬ | ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ | ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ (MGT) | ২০১১-২০১২ |
| ২৭ | অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (AIS) | ২০১৩-২০১৪ | |
| ২৮ | মার্কেটিং (MKT) | ২০১৫-২০১৬ | |
| ২৯ | ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং (F&B) | ২০১৭-২০১৮ | |
| ৩০ | ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট (THM) | ২০১৭-২০১৮ | |
| ৩১ | কৃষি অনুষদ | কৃষি (AGRI) | ২০১৫-২০১৬ |
| ৩২ | ফিশারিজ ও মেরিন বায়োসায়েন্স (FMB) | ২০১৭-২০১৮ | |
| ৩৩ | এনিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ | এনিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন (ASVM) | ২০১৭-২০১৮ |
ইনস্টিটিউটসমূহ
[সম্পাদনা]| ইনস্টিটিউটের নাম | প্রতিষ্ঠাকাল |
|---|---|
| ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ | ২০১৩-২০১৪ |
| কৃষি ইনস্টিটিউট | - |
| আইসিটি ইনস্টিটিউট | ২০১৮ |
ক্যাম্পাস
[সম্পাদনা]

প্রায় ৫৫ একর জমিতে ২০০১ সালের ৮ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ২০০৯ সালের ২৪ নভেম্বর একনেকে ৯১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাশ হয়। অবকাঠামোর মধ্যে রয়েছে একাডেমিক ভবন, তিনটি ছাত্র হল, দুইটি ছাত্রী হল, প্রশাসনিক ভবন, লাইব্রেরি ভবন, ক্যাফেটারিয়া, মসজিদ, মন্দির, ভিসির বাসভবন, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য দুইটি ডরমিটরি, কর্মচারীদের কোয়ার্টার, পানি শোধনাগার, মুক্তমঞ্চ, কফি হাউজ, ম্যুরাল কম্পলেক্স, সীমানা প্রাচীর ইত্যাদি। শিক্ষা প্রকৌশল দপ্তরের তত্ত্বাবধানে এসব অবকাঠামোর নির্মাণকাজ শেষ হয়।
বর্তমানে ছাত্রদের ৫০০ আসন বিশিষ্ট ০৩টি এবং ছাত্রীদের ২৫০ আসন বিশিষ্ট দুটি হলে ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে। কর্তৃপক্ষ পাঁচটি হল, একাডেমিক ভবন ও লাইব্রেরি ভবনের নামকরণ করেছে। হল পাঁচটির নাম যথাক্রমে "স্বাধীনতা দিবস হল", "বিজয় দিবস হল", "শহীদ তিতুমীর হল"(সাবেক শেখ রাসেল হল), "বনলতা হল (সাবেক বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল) এবং "অপরাজিতা হল" (সাবেক শেখ রেহানা হল)। একাডেমিক ভবনের নাম স্যার আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবন এবং লাইব্রেরি ভবনের নাম একুশে ফেব্রুয়ারি লাইব্রেরি ভবন করা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের দুইটি ডরমিটরি, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী কোয়ার্টার, লাইব্রেরি ভবন, উপাচার্যের বাসভবন, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটারিয়া, সীমানা প্রাচীর এবং প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণ কাজও শেষ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি কেন্দ্রীয় মন্দির এবং একটি কেন্দ্রীয় মসজিদ রয়েছে।

এখানে আধুনিক ল্যাবরেটরি এবং ইন্টারনেট (ব্রডব্যান্ড ও ওয়াই ফাই) সংযোগের ব্যবস্থা রয়েছে।

২০২৪ সালের আগষ্টের মাসের শেষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ ও ম্যুরাল কম্পলেক্স শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ম্যুরাল কম্পলেক্সের নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের জন্য সম্প্রতি একনেকের সভায় ১০৫ কোটি টাকার অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত। ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত অবকাঠামোর মধ্যে রয়েছে একাডেমিক ভবন-২, ছাত্র ও ছাত্রীদের ২টি হল, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন, কর্মচারীদের কোয়ার্টার, বঙ্গবন্ধুর মুরাল, মেইন গেট, অডিটোরিয়াম, লাইব্রেরি ভবনের সম্প্রসারণ, দৃষ্টিনন্দন জলাধার, জিমনেশিয়াম নির্মাণ, পুকুর খনন ইত্যাদি।
আবাসিক হল
[সম্পাদনা]গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থার জন্য মোট পাঁচটি হল রয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রদের জন্য তিনটি এবং ছাত্রীদের জন্য দুইটি হল বিদ্যমান।
| ক্রমিক নং | হলের নাম |
|---|---|
| ১ | বিজয় দিবস হল |
| ২ | স্বাধীনতা দিবস হল |
| ৩ | শহীদ তিতুমীর হল |
| ক্রমিক নং | হলের নাম |
|---|---|
| ১ | বনলতা হল |
| ২ | অপরাজিতা হল |
গ্রন্থাগার
[সম্পাদনা]গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের নাম একুশে ফেব্রুয়ারি লাইব্রেরি। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর অংশে অবস্থিত একটি দুই তলা ভবন, যা ২ কোটি ৪৬ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় এবং ২০১৪ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করা হয়।[১৪]
গ্রন্থাগারটি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে খোলা থাকে। এখানে একাডেমিক বইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন লেখকের বিখ্যাত বই, গবেষণা, জার্নাল এবং ম্যাগাজিনের একটি সমৃদ্ধ সংগ্রহ রয়েছে।
লাইব্রেরিটিতে একটি "মুক্তিযুদ্ধ কর্নার" স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিভিন্ন বই, দলিল ও গবেষণাপত্র সংরক্ষিত আছে। ২০২৪ সালে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর, লাইব্রেরির বঙ্গবন্ধু কর্ণার সাময়িকভাবে বন্ধ, পরবর্তীতে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সহশিক্ষা কার্যক্রম ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
[সম্পাদনা]গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রম ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রয়েছে। এছাড়াও বিভাগ ভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠন রয়েছে। গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগ না থাকলেও সংবাদ সংগ্রহের ও পরিবেশনের জন্য শিক্ষার্থীদের তিনটি সক্রিয় সাংবাদিক সংগঠন রয়েছে।
| ক্রমিক নং | ধরণ | সংগঠনের নাম |
|---|---|---|
| ১ | শিক্ষা ও গবেষণামূলক | গোবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি (GSTUDS) |
| ২ | ওহম রিচার্স ক্লাব (ওহম আর সি)[১৫] | |
| ৩ | আই ইইই গোবিপ্রবি স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ[১৬] | |
| ৪ | পরিবেশ বিজ্ঞান ক্লাব (ইএসসি) | |
| ৫ | গোবিপ্রবি বিজ্ঞান ক্লাব (GSTUSC) | |
| ৬ | গোবিপ্রবি ইসলামিক লাইব্রেরী (GSTUIL) | |
| ৭ | সাংস্কৃতিক | সাদাকালো সঙ্গীত ক্লাব[১৭] |
| ৮ | কুপজল | |
| ৯ | ট্যুরিজম থিয়েটার[১৭] | |
| ১০ | গোবিপ্রবি ফটোগ্রাফিক সোসাইটি[১৭] | |
| ১১ | রংধনু সাংস্কৃতিক ক্লাব[১৭] | |
| ১২ | ডেড পোয়েটস সোসাইটি[১৭] | |
| ১৩ | স্বেচ্ছাসেবী | আইন ডিবেটিং ক্লাব[১৭] |
| ১৪ | অরিত্রি | |
| ১৫ | কাম ফর রোড চাইল্ড (CRC), গোবিপ্রবি | |
| ১৬ | গ্রীন ভয়েস (পরিবেশবাদী যুব সংঘ), গোবিপ্রবি শাখা | |
| ১৭ | সাংবাদিক | গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব (গোবিপ্রবি প্রেসক্লাব) |
| ১৮ | গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ফোরাম (গোবিপ্রবি সাংবাদিক ফোরাম) | |
| ১৯ | গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি) |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Ali, Md. Akkas। "BSMRSTU (Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Science & Technology University)"। www.bsmrstu.edu.bd।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "অধ্যাদেশ নং ০৫, ২০২৫।--বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত কতিপয় আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫" (পিডিএফ)। dpp.gov.bd। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত।
- ↑ "আসন সংখ্যায় দেশের চতুর্থ বৃহত্তম বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়"। ক্যাম্পাসলাইভ। ৩ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেলেন অধ্যাপক শাহজাহান"। যুগান্তর। ১০ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্যের পদত্যাগ"। প্রথম আলো। ২০ আগস্ট ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০২৪।
- 1 2 নিউজ, সময়। "বশেমুরবিপ্রবির নতুন ভিসি ঢাবি অধ্যাপক হোসেন উদ্দিন শেখর | বাংলাদেশ"। Somoy News। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২৫।
- 1 2 "বশেমুরবিপ্রবির নতুন ভিসি হোসেন উদ্দিন শেখর"। দেশ রূপান্তর। ২৯ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২৫।
- ↑ "নতুন উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পেল বশেমুরবিপ্রবি"। Dhakatimes News। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২৫।
- ↑ "পরিবর্তন হলো শেখ পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০২৫।
- ↑ Saha, Sudarshan। "BSMRSTU (Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Science And Technology University, Gopalganj)"। www.bsmrstu.edu.bd।
- ↑ SAMAKAL। "বশেমুরবিপ্রবি'তে নতুন ৮ বিভাগ চালু"। বশেমুরবিপ্রবি'তে নতুন ৮ বিভাগ চালু (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২৫।
- ↑ "বশেমুরবিপ্রবিতে নতুন বিভাগ ও ইনস্টিটিউট"। jjdin (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২৫।
- ↑ ১৭ নভেম্বর অফিস আদেশ (পিডিএফ], গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সংগ্রহীত ২৪ নভেম্বর, ২০২৫
- ↑ "Library"। www.gstu.edu.bd। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২৫।
- ↑ "ওহম রিচার্স ক্লাব ওয়েব সাইট"। ২১ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ "বশেমুরবিপ্রবিতে আই ইইই স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে"।
- 1 2 3 4 5 6 "BSMRSTU Clubs"। bsmrstu.edu.bd।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
উইকিমিডিয়া কমন্সে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।
